У нас вы можете посмотреть бесплатно শিরক সম্পর্কে আপনার জানা উচিত এমন ১৫টি বিষয় | Habib Islamic & Educational channel или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
শিরক ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে বড় ও মারাত্মক গুনাহ। শিরক শব্দটি আরবি "শারাকা" মূল ধাতু থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ হলো কাউকে অংশীদার করা বা সমান ভাবা। ইসলামী পরিভাষায় শিরক বলতে আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে অন্য কাউকে উপাস্য, স্রষ্টা, রিজিকদাতা, বা ক্ষমতাবান হিসেবে অংশীদার মনে করাকে বোঝায়। কুরআন মাজিদে শিরককে "অপরাধসমূহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর" বলা হয়েছে এবং আল্লাহ তায়ালা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন যে, তিনি শিরক কোনোভাবেই ক্ষমা করবেন না যদি কেউ অনুতপ্ত না হয় (সূরা নিসা: ৪৮)। শিরক এমন একটি পাপ যা মানুষের সব আমলকে নষ্ট করে দেয় এবং আখিরাতে চিরস্থায়ী জাহান্নামে পাঠিয়ে দেয়। শিরক প্রধানত তিন প্রকার: ১. আকীদাগত শিরক (Shirk in Belief): এটি হলো এমন বিশ্বাস রাখা যে আল্লাহ ছাড়াও অন্য কেউ সৃষ্টি করতে পারে, রিজিক দিতে পারে, অথবা ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে। যেমন: গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাব বিশ্বাস করা, অলীদের অতি ক্ষমতাবান মনে করা ইত্যাদি। ২. আমলী শিরক (Shirk in Actions): যখন কেউ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে কোরবানি দেয়, মানত করে, সেজদা করে কিংবা কারো কাছে সাহায্য চায় এমনভাবে যা কেবল আল্লাহর জন্যই প্রযোজ্য। উদাহরণস্বরূপ, মাজারে গিয়ে সেজদা করা বা মাজারের পীরকে সাহায্যদাতা মনে করা। ৩. মৌখিক শিরক (Shirk in Words): এমন কথা বলা যা ইঙ্গিত করে যে আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ ভাগ্য নির্ধারণকারী। যেমন: "এই কাজটি না করলে অমুক বিপদ ঘটতো", "আমার সন্তান তো অমুক পীরের দয়ায় বেঁচে গেছে"—এই ধরণের কথাবার্তা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। শিরক ইসলাম ধর্মের মৌলিক ভিত্তিকে নস্যাৎ করে দেয়। ইসলাম একটি তাওহিদভিত্তিক ধর্ম যেখানে একমাত্র আল্লাহকেই ইবাদত ও আরাধনার উপযুক্ত মনে করা হয়। শিরক এই তাওহিদের বিপরীত কাজ, যা মুসলমানের ঈমান নষ্ট করে দেয়। শিরকের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। যারা শিরক করে তারা আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয় এবং আখিরাতে জাহান্নামে স্থায়ী শাস্তি লাভ করবে। কুরআনে এসেছে—“যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করে, সে যেন জানে যে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার আশ্রয়স্থল জাহান্নাম।” (সূরা মায়িদা: ৭২) শিরক থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো শুদ্ধ তাওহিদ বুঝে ঈমান গ্রহণ করা এবং প্রতিটি কাজ ও কথায় সতর্ক থাকা যেন তা শিরকের সীমানায় না পৌঁছে। আমাদের উচিত নিয়মিত কুরআন-হাদিস পড়ে শিরক ও তাওহিদের পার্থক্য স্পষ্টভাবে বোঝা, এবং নিজের আত্মীয়স্বজন ও সমাজকে এই মারাত্মক গুনাহ থেকে রক্ষা করা। পরিশেষে বলা যায়, শিরক একমাত্র পাপ যা ক্ষমা না হওয়ার হুমকি আল্লাহ নিজে দিয়েছেন। তাই একজন মুসলমানের জন্য তার ঈমান রক্ষা করা এবং শিরক থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকা অত্যাবশ্যক।