ধ্রুবতারা ||Heart touching story скачать в хорошем качестве

ধ্রুবতারা ||Heart touching story

গল্প #ধ্রুবতারা #লেখিকা:ফারিহা ধ্রুব:তারা! তোকে কতবার বলেছি,আমাকে বিরক্ত করবিনা। তারা:আমি তোমার কাছে আস্লে তোমার বিরক্ত লাগে?ধ্রুব:লাগবেনা?এত রাতে তুই আমার বেডরুমে কেন আসবি?তারা:আমি তোমার বিয়ে করা বউ।ধ্রুব:প্রতিদিন এক কথা ভালো লাগে না।তুই খুব ভালো করেই জানিস,আমাদের বিয়েটা কোনো বিয়েই নয়।অন্তত আমি তোকে বউ মানিনা।তারা:বিয়ে করার সময় তো ঠিকই করেছ।এখন বউ মানতে সমস্যা কি? ধ্রুব:তারা তুই এখনো অনেক ছোট। আমার মনে হয় তোর নিজেকে চিনতে আরো অনেক সময় লাগবে।সে পর্যন্ত আমাকে সময় দে।ধ্রুবর কোনো কথা না মেনে তারা বিছানার এক পাশে শুয়ে পরল।কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘুমিয়ে পরল।ধ্রুব তার ঘুমন্ত তারার দিকে এক দৃষ্টে চেয়ে আছে।মেয়েটি কত পাগলামি করে তাকে নিয়ে।প্রতিটি মুহুর্তে তাকে মনে করিয়ে দেয় যে তারা বিয়ে করেছে।তারা ধ্রুবর বড় চাচার কন্যা।এই পরিবারের একমাত্র মেয়ে।তাই তাকে নিয়ে সবার আহ্লাদের কমতি নেই।তারা তার চাচা-চাচীদের বাবা-মা বলেই ডাকে।তারাও তাকে নিজ কন্যাই ভাবে।কোন এক কারনে তাদের দাদীর ইচ্ছে হয়েছিল তারাকে এ বাড়িতেই রেখে দিবেন।তাই তিন বছর আগে তিনি যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন,ছেলেদের কাছে আবদার করলেন ধ্রুব আর তারাকে বিয়ে দেয়ার জন্য।তখন ধ্রুবর বয়স আঠারো হলেও তারা ছিল বারো বছরের একটা মেয়ে।তবুও বৃদ্ধার কাকুতি তে তখনই মৌখিক বিয়ে করিয়ে দিয়েছিল। সেই থেকে শুরু হলো তারা সারাদিন ধ্রুবর পিছনে ঘুরে।বড়রাও এ নিয়ে অনেক কথা বলে।কিন্তু ধ্রুবর খুব লজ্জা করে।তাই তারাকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু তারা তাকে প্রতিটি পদক্ষেপে জ্বালাতন করে।তারার রুমটা তিনতলায় আর ধ্রুবর দোতলায়।তারা বারান্দা দিয়ে বেয়ে বেয়ে ধ্রুবর রুমে আসে।ধ্রুবর ভয় হয় ঘরের অন্যরা যদি এসব টের পেয়ে যায় কি ভাববে?তাই সে তাকে না করে।একদিন ধ্রুব ইচ্ছে করে বারান্দার দরজা লাগিয়ে রেখেছিল।সে রাতে খুব বৃষ্টি হয়েছিল।মাঝরাতে উঠে গিয়ে দেখে তারা বারান্দায় দাড়িয়ে আছে।তারপর তারার জ্বর এসে পরেছিল।এরপর থেকে সে দরজা লাগায়না।কিন্তু তারার এভাবে আসাটা তার মোটেও পছন্দ নয়।