У нас вы можете посмотреть бесплатно পূজো কেন পিছিয়ে গেলো ? মল-মাস কী ? INAUSPICIOUS MONTH - SASANKA SEKHAR PEACE FOUNDATION или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
মল-মাস আজ মহালয়া। মহ্ কথাটার অর্থ পূজা করা। এর সঙ্গে আ যোগ করলে মহা অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ। মহালয় অর্থাৎ শেষ্ঠ লয়ের পূজা । অর্থাৎ এই দিন নিজেকে পরমাত্মায় লিন হয়ে যাবার পূজার দিন। আমরা সাধারণত জানি মহালয়া মানে পিতৃ-তর্পনের শেষ দিন। এর পর দিন থেকে মাতৃ পক্ষ শুরু হবে। পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে এই দিন তর্পন-আদি করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ পূর্ব্ব পুরুষের স্মরণ দিবস ও তাদের উদ্দেশ্যে জল দান করা হয়ে থাকে। শোনা যায়, এই দিন নাকি, সাপ তার খোলস পাল্টায়। আমাদের কামবীজ, আমাদের জীবাকাঙ্খা ও অবিদ্যা লোপ পাবার দিন, এই মহালয়া । আর একটা কথা শোনা যায়, মহৎ আলয়। অর্থাৎ যেখানে বহু তীর্থের অবস্থান। যমলোকং পরিত্যাজ্য আগতা যে মহালয়ে - পিতৃলোকদিগের উৎসবের আলয়। একে বলা হয়, প্রেতপক্ষ। এইসময়, পিতৃলোকের সবাই শ্রাদ্ধ ভোজনের জন্য আনন্দ সহকারে এসে থাকেন। অশ্বিনের শুক্ল পক্ষের আগে যে কৃষ্ণপক্ষ, অর্থাৎ আশ্বিনী অমাবস্যা তিথিতে এই আগমন শেষ হয়। এই সময় হিন্দুদের মধ্যে তর্পন ইত্যাদি করবার বিধি আছে। মহালয়ের পরে শুরু হয়, মাতৃপক্ষ। অর্থাৎ জগৎ সৃষ্টির শুভক্ষণ। মায়ের খেলা শুরু হয় এই সময় থেকে। এখন থেকে বাসন্তী পুজো পর্যন্ত এই পর্ব চলতে থাকে। এর পরে আবার সৃষ্টির নতুন পর্ব বীজ রোপনের সময়। অর্থাৎ কামবীজ, সংকল্পের বীজ, অজ্ঞানের বীজ, অবিদ্যার বীজ রোপন ক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। আমাদের আলোচ্য বিষয় মল মাস। আমরা সাধারণত দেখে থাকি, মহালয়ের পরের ষষ্ঠীর দিন থেকে মায়ের আরাধনা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এবার অর্থাৎ ২০২০ সালে এই মাতৃপূজার দিন পিছিয়ে গেছে, এক মাস। এর কারন হচ্ছে, কার্তিক মাস নাকি মলমাস। এই মলমাসে কোনো শুভ কার্য করতে নেই, বলে হিন্দুদের বিশ্বাস। এই মলমাস ব্যাপারটা কি ? আমরা জানি মাস দুই রকম। এক চন্দ্রমাস ও দুই সূর্য্যমাস বা সৌরমাস । বৈদিক ঋষিগণ মনে করতেন, নক্ষত্র ২৭ টি। অভিজিৎ নক্ষত্র ধরলে ২৮ টি। বিশাখা, অনুরাধা, জৈষ্ঠা, মুলা, পূর্বাষাঢ়া, উত্তরাষাঢ়া, শ্রবণ, ঘনিষ্ঠ, শতভিষা, পূর্বভাদ্র, উত্তরভাদ্র, রেবতী, অশ্বিনী, ভরনী, কৃর্তিকা, রোহিনী, মৃগশিরা, আদ্রায়, পূর্নবসু, পুষ্যা, অশ্লেষা, মঘা, পূর্বফাল্গুনী, উত্তর-ফাল্গুনী, হস্তা, চিত্রা ও স্বাতী। এবং অভিজিৎ। এদের নাম অনুসারেই বিভিন্ন মাসের নামকরণ করা হয়েছে। তো এই ২৭-২৮টি নক্ষত্রকে পরিক্রমা করতে হয়, চন্দ্রকে এমনকি সূর্যকেও । চন্দ্রের পরিক্রমার সময় লাগে ২৭-২৮ দিন। আর সূর্য্যের পরিক্রমা করতে লাগে ৩০ দিন। আমরা জানি বারোটি সৌর মাস নিয়ে এক বছর । অর্থাৎ ৩৬০ দিনে এক বছর। এই সৌর মাস সবসময় স্থির। চন্দ্রমাস ২৮ দিনে, আর সৌর মাস ৩০ দিনে। অতয়েব চন্দ্র মাস অনুসারে বছর পূর্ন হবার কথা ৩৩৬ দিনে। আর সৌরমাস অনুসারে ৩৬০ দিনে বছর পূর্ন হবার কথা। এটি স্থুল গণনা। বৈদিক ঋষিগণ এই চন্দ্র মাস ও সৌর মাসের পার্থক্য ঘোচাতে একটা নতুন মাসের সৃষ্টি করে থাকেন, যাক বলা হয় মল মাস বা চোর মাস। আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান, দেখলেন, সৌরবছর ৩৬৫ দিনে আর চন্দ্রবছর ৩৫৪ দিনে। অর্থাৎ এই দুই সৌরবৎসর, ও চন্দ্রবৎসর এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, ১০ দিন ২১ ঘন্টা ৩৫ মিনিট অর্থাৎ প্রায় ১১ দিন। এই স্থূল হিসেবের পার্থক্য সময়গুলোকে যোগ করে, ৩০ দিন হলে একটি মাস হয়। একেই মল মাস বলা হয়ে থাকে। দেখা গেছে, ১৯ বছরের মধ্যে মল মাস হয়, ৭ টি। অর্থাৎ গ্রহের গতিসঞ্চার অনুসারে, ২৮, ৩১,৩২, ৩৩, ৩৫ মাসের ব্যবধানে একটা করে মল মাসের দেখা মেলে। সাধারণ ভাবে তিন বছরে একটা মল মাস হয়ে থাকে। যে সৌর মাসে দুটো অমাবস্যা, বা তিনটি প্রতিপদ আসে, সেই মাসকেই মল মাস বলা হয়ে থাকে। এই মল মাসের নিজস্ব কোনো নাম নেই। যে মাসে এই দুটো অমাবস্যা বা তিনটি প্রতিপাদ দেখা যায়, সেই মাসকেই মল মাস বলা হয়ে থাকে। অশ্বিন মাসে ১, ১৫, ও ৩০ তারিখে প্রতিপাদ পড়েছে। এইজন্য এবছর অর্থাৎ ১৪২৭ বঙ্গাব্দে অশ্বিন মাসকে বলা হচ্ছে মল মাস। এই মলমাসে, হিন্দুদের মধ্যে কেউ কেউ কোনো শুভ কর্ম্ম করেন না। আবার বৈষ্ণবগন এই মলমাসকেই পুরুষত্তম মাস বলে থাকেন , এই মাসেই নাকি যেকোনো কর্ম্ম লক্ষগুণ বেশি শুভ ফল প্রদান করে থাকে। আসলে যার যেমন বিশ্বাস, তিনি সেই মতো, কার্য্য করে থাকেন। ২০২০ সালের মায়ের পুজো তাই একমাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্রাহ্মণ পন্ডিতদের যেমন ইচ্ছে। ওম শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ। হরি ওম। SASANKA SEKHAR PEACE FOUNDATION - ETERNAL PEACE SEEKER