У нас вы можете посмотреть бесплатно গুহ্য কালী / নালাটেশ্বরী মন্দির Volg Video 2025 /গুহ্য কালী, অকালিপুর, বীরভূম 🥰🥰🙏🙏 или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
গুহ্যকালী হস্ত সংখ্যা - 2 টি গুহ্যকালী বা আকালী হিন্দু দেবী কালীর একটি বিশেষ রূপ। দেবীভাগবত পুরাণ মতে, তিনি দেবী শতাক্ষীর শরীর থেকে উৎপন্না অন্যতমা মহাশক্তি। কোনো কোনো সাধক এই রূপে কালীর আরাধনা করে থাকেন, তবে গৃহস্থের নিকট এই রূপ "অপ্রকাশ্য"।[৩] গুহ্যকালী কালীর এক অতি ভয়ংকরী রূপ। এই রূপ কালীর প্রচলিত রূপের চেয়ে অনেকটাই পৃথক। গুহ্যকালী দ্বিভুজা, সর্পভূষিতা ও খড়্গহস্তা। তাকে সূর্যকালী বা আকালি কালী নামেও অভিহিত করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার রামপুরহাট মহকুমার অন্তঃপাতী আকালীপুর গ্রামে দেবী আকালীর একটি বিখ্যাত মন্দির বিদ্যমান। এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন মহারাজা নন্দকুমার। গুহ্যকালী দেবনাগরী মূর্তিকল্প দেবী গুহ্যকালীর ধ্যানমন্ত্রে তার যে মূর্তিটি বর্ণিত হয়েছে তা নিম্নরূপ: গুহ্যকালীর গাত্রবর্ণ গাঢ় মেঘের ন্যায়; তিনি লোলজিহ্বা ও দ্বিভুজা; গলায় পঞ্চাশটি নরমুণ্ডের মালা; কটিতে ক্ষুদ্র কৃষ্ণবস্ত্র; স্কন্ধে নাগযজ্ঞোপবীত; মস্তকে জটা ও অর্ধচন্দ্র; কর্ণে শবদেহরূপী অলংকার; হাস্যযুক্তা, চতুর্দিকে নাগফণা দ্বারা বেষ্টিতা ও নাগাসনে উপবিষ্টা; বামকঙ্কণে তক্ষক সর্পরাজ ও দক্ষিণকঙ্কণে অনন্ত নাগরাজ; বামে বৎসরূপী শিব; তিনি নবরত্নভূষিতা; নারদাদিঋষিগণ শিবমোহিনী গুহ্যকালীর সেবা করেন; তিনি অট্টহাস্যকারিণী, মহাভীমা ও সাধকের অভিষ্ট ফলপ্রদায়িনী। গুহ্যকালী নিয়মিত শবমাংস ভক্ষণে অভ্যস্তা। আকালীপুর মন্দির গুহ্যকালীমন্দির, ভদ্রপুর বীরভূমের গুহ্যকালী দেবী প্রতিমা বীরভূম জেলার আকালীপুর গ্রামে ব্রাহ্মণী নদীর তীরে শ্মশানের পাশে মহারাজা নন্দকুমার একটি গুহ্যকালী মন্দির নির্মাণ করেন। তবে এই বিচিত্র কালীমূর্তিটি তার দ্বারা নির্মিত হয়নি। জনশ্রুতি, পৌরাণিক মগধরাজ জরাসন্ধ এই মূর্তিটি নির্মাণ করেছিলেন। কালক্রমে বিভিন্ন রাজার হাতে পূজিত হওয়ার পর কাশীরাজ চৈত সিংহের রাজ্যের এক কৃষক তার জমিতে মূর্তিটি খুঁজে পান। সংবাদ পেয়ে চৈত সিংহ মন্দির প্রতিষ্ঠা করে দেবী গুহ্যকালিকার প্রতিষ্ঠা করতে চান। এদিকে ওয়ারেন হেস্টিংসও এই মূর্তির সন্ধান পেয়ে এটিকে লন্ডনের জাদুঘরে প্রেরণে উদ্যোগী হন। মূর্তিটি হেস্টিংসের হাত থেকে রক্ষা করতে, চৈত সিংহ সেটিকে গঙ্গাবক্ষে লুকিয়ে রাখেন। মহারাজা নন্দকুমার স্বপ্নাদেশ পেয়ে সেটিকে কাশী থেকে নিজ জন্মস্থান বীরভূমের ভদ্রপুর গ্রামে নিয়ে আসেন। নন্দকুমার নিজে ছিলেন পরম শাক্ত ও দেবী মহাকালীর ভক্ত। ১৭৭৫ সালের গোড়ায় তিনি মুর্শিদাবাদ-বীরভূমের সীমান্তবর্তী আকালীপুর গ্রামে দেবী গুহ্যকালীর মন্দির নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু ওই বছর জুন মাসে তিনি ইংরেজের হাতে বন্দী হলে, মন্দির নির্মাণে ছেদ পড়ে। ফাঁসির পূর্বে তিনি পুত্র গুরুদাসকে তান্ত্রিক মতে দেবী গুহ্যকালীর প্রতিষ্ঠা সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়ে যান। লোকশ্রুতি, ওই বছর ১৫ জুলাই মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছিল। মন্দিরের দক্ষিণে "পঞ্চমুণ্ডী" আসন নামে পরিচিত একটি সিদ্ধাসন রয়েছে। আকালীপুরের দেবী গুহ্যকালীকে ভক্তেরা অতিশয় "জাগ্রত" দেবী মনে করেন। দূর-দূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা এই মন্দিরে "মানসিক" করে পূজা দেন। বীরভূমের অন্যতম শক্তিপীঠ নলাটেশ্বরী গোটা বঙ্গদেশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য শাক্তমন্দির। তার মধ্যে কিছু আবার শক্তিপীঠ নামে পরিচিত। বীরভূমের নলহাটিতে রয়েছে তেমনই এক মন্দির নলাটেশ্বরী। সারা বছরই বহু ভক্তের সমাগম হয় এই নলাটেশ্বরী মন্দির দর্শন করতে। সেখানে নিত্যপুজো ছাড়াও চলে সমারোহ হয় দুর্গা, কালী ও সরস্বতীপুজোর সময়ে। শাক্তমন্দির বলতে দুর্গা-কালী বা অন্য কোনও শাক্তদেবীর মন্দির বোঝায় কিন্তু শক্তিপীঠগুলোর আলাদা গুরুত্ব আছে। ভারতের অন্যান্য জায়গার তুলনায় পূর্ব-ভারত, বিশেষ করে বাংলায় শক্তিপুজোর সংখ্যা বেশি দেখা যায়। গোটা বঙ্গদেশজুড়ে রয়েছে অসংখ্য শাক্তমন্দির, সেগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটা আবার শক্তিপীঠ বলে পরিচিত। শাক্তমন্দির বলতে দুর্গা-কালী বা অন্য কোনও শাক্তদেবীর মন্দির বোঝায় কিন্তু শক্তিপীঠগুলোর আলাদা গুরুত্ব আছে। বিভিন্ন পুরাণের বর্ণনা অনুসারে বলা হয়ে থাকে, পিতা দক্ষের সভায় অপমানিত হয়ে শিবজায়া সতী দেহত্যাগ করলে শিব সেই মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে প্রলয়নৃত্য আরম্ভ করে দেন। সেই প্রলয় থেকে জগৎ-সংসারকে রক্ষা করবার জন্য বিষ্ণু সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর মৃতদেহ একান্নটা টুকরো করে কেটে শিবকে ভারমুক্ত করলে শিব প্রলয়নৃত্য বন্ধ করেন এবং সৃষ্টি রক্ষা পায়। ‘পীঠমালা’ গ্রন্থ অনুসারে বলা হয়, বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রের আঘাতে ছিন্ন হওয়া সতীর দেহাংশ ভারতের যে সমস্ত জায়গায় পড়েছিল সেগুলোকে পীঠস্থান বলা হয়ে থাকে। সেই সব পীঠস্থানে রয়েছে এক একটা মন্দির। বীরভূম জেলার নলহাটিতে আছে তেমনই এক মন্দির নলাটেশ্বরী। পুরাণ অনুসারে বলা হয়ে থাকে, একদা জঙ্গলাকীর্ণ ওই জায়গায় সতীর ‘নলা’ অর্থাৎ, সরু কোনও দেহাংশ পড়েছিল, আবার অন্য এক মতে, ওই জায়গায় সতীর কণ্ঠনালী পড়েছিল এবং সে জন্য জায়গাটা নলহাটি নামে পরিচিত হয়। ওই পীঠে যে দেবী কালিকার অবস্থান তাকে নলাটেশ্বরী বলা হয়ে থাকে। একটা সামান্য উঁচু টিলার উপরে অবস্থিত এই মন্দিরের প্রবেশপথের মাথায় রয়েছে গণেশের মূর্তি এবং দু’ধারে লক্ষ্মী ও সরস্বতীর মূর্তি। পৌরাণিক ব্যাখ্যা অনুসারে, প্রত্যেক শক্তিপীঠেই একজন করে পীঠরক্ষক ভৈরব থাকতে হয়। বীরভূমের এই পীঠেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নলাটেশ্বরী মন্দিরের পীঠরক্ষক হিসেবে রয়েছে যোগেশ ভৈরবের মন্দির। কালীমন্দির হিসেবে পরিচিত হলেও নলাটেশ্বরীতে কোনও প্রতিষ্ঠিত কালী-বিগ্রহ নেই। মন্দিরগাত্রেই পাথরে কালীর মুখমণ্ডল বসানো আছে। তেমন কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ না থাকলেও কিংবদন্তি অনুসারে বলা হয়, ৮৪৪ সাধারণাব্দ নাগাদ এই জায়গাটা পিঠ হিসেবে আবিষ্কৃত হয়। তখন একটা ছোট মন্দির ছিল। অষ্টাদশ শতকে নাটেরের জমিদার রানি ভবানী টিলার গায়ে এই মন্দির নির্মাণ করিয়ে দেন। বীরভূমের আরও কয়েকটা পীঠের মতোই নলাটেশ্বরী মন্দির দর্শন করতে সারা বছরই বহু ভক্তের সমাগম হয়। নিত্যপুজো ছাড়াও সমারোহ হয় দুর্গা, কালী ও সরস্বতীপুজোর সময়ে। এ ছাড়া অন্যান্য পালা-পার্বণেও তীর্থযাত্রীরা আসেন এই মন্দিরে