У нас вы можете посмотреть бесплатно নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণ গাইড | Nijhum Dwip Travel Guide или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
নিঝুম দ্বীপ বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী একটি ছোট দ্বীপ। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় দ্বীপটি অবস্থিত। হরিণ, পাখি ও চিংড়ির জন্য দ্বীপটি বিখ্যাত। শীতের সময় ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির দেখা যায়। তাছাড়া খুব কাছ থেকে হরিণের চলাচল দেখা যায় এখানে। নোয়াখালী জেলা তথা বাংলাদেশ মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ হলো হাতিয়া দ্বীপ। হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ হলো নিঝুম দ্বীপ। মানে ২ বার বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। অনেক দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে এ দ্বীপে যেতে হয়। তবে যাতায়াত কষ্টসাধ্য হলেও এর সৌন্দর্য খুবই উপভোগ্য। বারবার যেতে চাওয়ার মতো এমন একটি দ্বীপ এই নিঝুম দ্বীপ। বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে নিঝুম দ্বীপে যাওয়া যায়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও ভোলা ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে জাহাজ ছেড়ে আসে। তাছাড়া সড়ক পথে হাতিয়া যাওয়া যায়। ঢাকার সায়দাবাদ, চট্টগ্রামের কদমতলী সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নোয়াখালীর বাস পাওয়া যায়। তাছাড়া গাড়ি ভাড়া করে নোয়াখালী আসা যায়। হাতিয়ায় যেতে হলে নোয়াখালীর সদর থেকে চেয়ারম্যান ঘাট যেতে হবে। দূর দূরান্ত থেকে যে গাড়ি গুলো নোয়াখালী আসে সেগুলো সাধারণত চেয়ারম্যান ঘাট পর্যন্ত যায়না। সেগুলো শেষ গন্তব্য সাধারণত সোনাপুর। সোনাপুর থেকে সিএনজি ও বাসে করে চেয়ারম্যান ঘাট যাওয়া যায়। সোনাপুর থেকে চেয়ারম্যান ঘাট বাসে ৭০ টাকা ও সিএনজিতে জন প্রতি ১০০ টাকা করে নেয়। সোনাপুর থেকে ১ ঘন্টার মতো সময় লাগে চেয়ারম্যান ঘাট পৌঁছাতে। চেয়ারম্যান ঘাট থেকে শিপ, টলার, ও স্পিড বোটে হাতিয়ায় যাওয়া যায়। শিপের ভাড়া ২০০ টাকা এবং সময় লাগে প্রায় দেড় ঘন্টা। টলারের ভাড়া ১৫০ টাকা এবং সময় লাগে প্রায় ২ ঘন্টা। স্পিড বোটে জন প্রতি প্রায় ৩০০ টাকা এবং সময় লাগে প্রায় ২০ মিনিট। হাতিয়ার ঘাট থেকে নিঝুম দ্বীপের ঘাটে সড়ক পথে সিএনজি ও বাইকে করে যাওয়া যায়। এখানে দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিঃমিঃ এবং কিছুটা রাস্তা ভালো না। সর্বশেষ এক-দেড় কিলো মাটির রাস্তা এবং চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। হাতিয়ার ঘাট থেকে নিঝুম দ্বীপের ঘাট পর্যন্ত সিএনজি ভাড়া জন প্রতি প্রায় ৩০০ টাকা এবং বাইকে ভাড়া জন প্রতি প্রায় ২৫০ টাকা। রিজার্ভ নিলে সিএনজি ১২০০-১৫০০ টাকা এবং বাইক ৫০০-৬০০ টাকা। যেহেতু দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিঃমিঃ এবং দুর্গম পথ হওয়ায় ভাড়া কম বেশি হতে পারে বিভিন্ন সময়ে। তাই দূরত্ব যেনে বর্তমান সময়ে কেমন ভাড়া হতে পারে তা অনুমান করে নেওয়া ভালো। নিঝুম দ্বীপের ঘাটে গিয়ে আবার নদী পার হতে হবে। নদী পার হতে সময় লাগবে প্রায় ১০-১৫ মিনিট এবং দিতে হবে ৫০ টাকা জন প্রতি। নিঝুম দ্বীপ পৌঁছানোর পরে বাইক ও রিকশা ছাড়া বিকল্প চলাচলের ব্যবস্থা নেই এবং ঘাটের আসেপাশে থাকার কোন ব্যবস্থা নেই। কিছুটা দূরে কয়েকটি হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে এখানে। তাবু করে থাকার ব্যবস্থাও আছে। নিঝুম দ্বীপে খুব উন্নত থাকার ও খাবার ব্যবস্থা নেই। থাকার হোটেল গুলো মোটামুটি নিম্ন মানের এবং ভাড়া অনেক কম। একটি রুম ৫০০ থেকে ২০০০ টাকায় পাওয়া যায়। প্রতি রুমে ২ থেকে ৬ জন পর্যন্ত থাকা যায়। এখানের নামার বাজার নামক স্থানে থাকার ও খাবার ব্যবস্থা রয়েছে। ঘাট থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৭-৮ কিমি। ঘাট থেকে নামার বাজার যেতে বাইকে খরচ পড়বে এক-দেড়শ টাকা। এই নামার বাজারে কয়েকটি খাবার হোটেল রয়েছে যেগুলোতে মোটামুটি কিছু খাবার পাওয়া যায়। ভাতের সাথে ইলিশ, চিংড়ি, চেঁওয়া সহ বিভিন্ন মাছ, মুরগী, সবজি পাওয়া যায়। পরটা, তেল ছাড়া রুটি, সবজি, খিচুড়ি পাওয়া যায়। চাইলে বাজার থেকে মাছ কিনে হোটেলে রান্না করে খাওয়া যায়। বাজারে তাজা ইলিশ, চিংড়ি সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়। হাঁসের মাংস পাওয়া যায়। মাছমাংস বারবিকিউ করার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানের খাবার যথেষ্ট সুস্বাদু। তাছাড়া বোতলজাত মিনারেল ওয়াটার পাওয়া যায়। এ দ্বীপ প্রচুর খেজুর গাছ থাকায় শীতের সময় খেজুরের রস একটি বড় আকর্ষণ। প্রচুর খেজুরের রসের পাশাপাশি খাঁটি মধুও পাওয়া যায়। নিঝুম দ্বীপের কিছু হোটেলে মিষ্টি পাওয়া যায় এবং এগুলো খেতে খুব অসাধারণ। নিঝুম দ্বীপের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান গুলো হলো জাতীয় উদ্যান, নামার বাজার, উপরের বাজার, সিগনেচার স্পট, পালকির চর, বন্দরটিলা ও সূর্যদ্বীপ ইত্যাদি। জাতীয় উদ্যানে মূলত হরিণের দেখা পাওয়া যায়। কেওড়া গাছের বনের ভেতরে তারা দলবেঁধে চলাচল করে। মাঝে মাঝে লোকালয়ে চলে আসে। জাতীয় উদ্যানের সৌন্দর্য এক কথায় অসাধারণ। তারউপর হরিণের বিচরণ। সিগনেচার স্পট, পালকির চর, বন্দরটিলা ও সূর্যদ্বীপ ইত্যাদি স্থান গুলোতে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। বাইক ভাড়া করে এগুলো ঘুরে দেখা যায়। তাছাড়া নৌকা ও টলার ভাড়া করে আশেপাশের মনপুরা দ্বীপ সহ বিভিন্ন দ্বীপ ভ্রমণ করা যায়। নিঝুম দ্বীপের আয়তন প্রায় ৯২ বর্গকিলোমিটার এবং এখানে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা রয়েছে। নিঝুম দ্বীপে পাখি, হরিণ, গরু ও মহিষ ছাড়া অন্য কোনো হিংস্র প্রাণী নেই। এটি ইলিশ ও চেঁওয়া মাছের জন্য বিখ্যাত। সুন্দরবনের মতো এটি একটি ম্যানগ্রোভ বন, প্রচুর কেওড়া গাছ রয়েছে। এখানের পাখি বা হরিণ দেখতে হলে খুব ভোরে উঠতে হবে। নিঝুম দ্বীপ দুর্গম এরিয়ায় হওয়ায় ভ্রমণ যেমন কষ্টসাধ্য তেমনি এর সৌন্দর্য খুবই উপভোগ্য। ঢাকা থেকে প্রায় প্রতিদিন শিপ ছেড়ে আসে এবং চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে সকাল ৯ টায় সোম ও বৃহস্পতিবার শিপ ছেড়ে আসে। তাছাড়া ভোলা, বরিশাল থেকে শিপ ছেড়ে আসে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রায় সময় ঢাকা চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন স্থান থেকে শিপ ছেড়ে আসে না। অনেক সময় নিঝুম দ্বীপ থেকে নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাট পর্যন্ত টলারে যাতায়াত করে। সড়ক পথ ভালো না হওয়ায় এটি একটি সহজ ও আরামদায়ক যাতায়াত ব্যবস্থা। তখন নিঝুম দ্বীপের এমন বন, সমুদ্র ও নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখা যায়। চরের মধ্যে শতশত গরু মহিষের পাল দেখা যায়। দু'পাড়ের সৌন্দর্য খুবই উপভোগ্য। নিঝুম দ্বীপ থেকে নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাট পর্যন্ত জন প্রতি টলার ভাড়া ৫০০ টাকা। রবিউল মিয়াজি | Robiul Miaazi