У нас вы можете посмотреть бесплатно শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত কাকে বলে? শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত সৃষ্টি হয় কেন? или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত [Orographic or Relief Rainfall] :- জলীয়বাষ্পপূর্ণ আর্দ্রবায়ু ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় বায়ুপ্রবাহের গতিপথে উঁচু পাহাড়-পর্বত-মালভূমি থাকলে বায়ুপ্রবাহ সেখানে বাধা পায় এবং উঁচু পাহাড়-পর্বত-মালভূমির গা বেয়ে উপরে উঠে যায় । উপরের শীতল বায়ুর সংস্পর্শে সেই জলীয় বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ বায়ু শীতল ও ঘনীভূত হয়ে পর্বত বা মালভূমির প্রতিবাত ঢালে (বায়ুমুখী ঢালে) বৃষ্টিপাত রূপে নেমে আসে । শৈলরাশির অবস্থিতির জন্য বৃষ্টিপাত সংঘটিত হওয়ার দরুন এই বৃষ্টিপাতকে শৈলৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত [Orographic or Relief Rainfall] বলে । শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাতের প্রক্রিয়া:- [i] জলীয়বাষ্প পূর্ণ আর্দ্রবায়ু ভূপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় যদি কোনো উঁচু পাহাড়, পর্বত বা মালভূমিতে বাধাপ্রাপ্ত হয় তবে ওই বায়ু পর্বত বা মালভূমির গা বেয়ে আরও ওপরে ওঠে এবং উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে ক্রমশ শীতল হয় । [ii] পাহাড়ের উঁচু অংশ যদি বরফাবৃত থাকে তাহলে জলীয় বাষ্পপূর্ণ ওই বায়ু বরফের সংস্পর্শে এসে অথবা উঁচুতে ওঠার ফলে এমনিতেই আরো শীতল ও ঘনীভূত হয়ে পাহাড়ের প্রতিবাত ঢালে বা বায়ুমুখী ঢালে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায় । [iii] সমুদ্রের কাছে উঁচু পর্বত বা মালভূমি থাকলে, প্রবল বেগে প্রবাহিত জলীয় বাষ্পপূর্ণ আর্দ্রবায়ু উঁচু পর্বত বা মালভূমি দ্বারা সমকোণে বাধা পেলে এবং পর্বতের উপরিভাগ বরফাচ্ছন্ন থাকলে শৈলোৎক্ষেপ প্রক্রিয়ায় বৃষ্টিপাত বেশি হয় । [iv] সাধারণত মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত সবচেয়ে বেশি হয় । উদাহরণ:- দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ভারতের হিমালয় এবং অন্যান্য পাহাড়-পর্বতে প্রতিহত হয়ে যে বৃষ্টিপাত ঘটায় এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আরব সাগরীয় শাখা পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিমঢালে প্রতিহত হয়ে যে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায় তা শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাতের উদাহরণ । প্রতিবাত ঢাল [Windward Side]:- বায়ুপ্রবাহ এসে পাহাড়-পর্বতের গায়ে যেদিকে প্রতিহত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায় পাহাড়-পর্বতের সেই দিককে প্রতিবাত ঢাল [Windward Side] বলে । প্রতিবাত ঢালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় । অনুবাত ঢাল [Leeward Side] :- বায়ুপ্রবাহ এসে পাহাড়-পর্বতের গায়ে যেদিকে প্রতিহত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায় পাহাড়-পর্বতের সেই দিককে প্রতিবাত ঢাল [Windward Side] বলে ।আর এই পাহাড়-পর্বতের প্রতিবাত ঢালের বিপরীত দিককে অনুবাত ঢাল [Leeward Side] বলে । প্রতিবাত ঢালে বৃষ্টিপাত ঘটানোর পর তাতে আর জলীয়বাষ্প থাকে না । জলীয়বাষ্পহীন ওই শুকনো বাতাস পাহাড় অতিক্রম করে পাহাড়ের অপর দিকের অনুবাত ঢালে গেলে সেখানে আর বৃষ্টিপাত হয় না । বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল [Rain-ShadowRegion]:- জলীয়বাষ্পপূর্ণ আর্দ্রবায়ু পাহাড়-পর্বতে বাধা পেয়ে প্রতিবাত ঢালে বৃষ্টিপাত ঘটানোর পর তাতে আর জলীয় বাষ্প থাকে না । জলীয় বাষ্পহীন ওই শুকনো বাতাস পাহাড়-পর্বত অতিক্রম করে পাহাড়ের অপর দিকে অনুবাত ঢালে গেলে এবং উপর থেকে নীচে নামার দরুন উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে আর বিশেষ বৃষ্টিপাত হয় না বা পরিমাণে কম হয় । পাহাড়ের বায়ুমুখী দিকের বিপরীত দিকের প্রায় বৃষ্টিহীন অনুবাত ঢালকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল [Rain-ShadowRegion] বলা হয় । উদাহরণ (১):- দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমিবায়ুর আরবসাগরীয় শাখা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে পশ্চিম উপকূলের পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং পাহাড়ের পশ্চিম ঢালে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায় । পশ্চিমঘাট অতিক্রম করে এই বায়ুপ্রবাহ দাক্ষিণাত্যের মালভূমি ও মধ্যপ্রদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, কিন্তু জলীয় বাষ্পের ঘাটতি পড়ে বলে এখানকার বৃষ্টিপাত কম হয় । তাই পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বাংশকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলে । উদাহরণ (২):- বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ আদ্র বায়ু বাংলাদেশের উপর দিয়ে এসে গারো-খাসি-জয়ন্তিয়া পাহাড়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ওই সব পর্বতের বায়ুমুখী প্রতিবাত ঢালে অবস্থিত মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জি-মৌসিনরাম অঞ্চলে প্রবল শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায় । মেঘালয়ের রাজধানী শিলং এইসব পর্বতের অনুবাত ঢালে অবস্থিত হওয়ায় বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলের মধ্যে পড়ে, তাই এখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুবই কম ।