У нас вы можете посмотреть бесплатно জাগো তবে অরণ্য কন্যারা (পৃষ্ঠা: ১২১-২২) | সুফিয়া কামাল | ৮ম শ্রেণি | Bangla Kobita | или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
জাগো তবে অরণ্য কন্যারা-সুফিয়া কামাল মৌসুমি ফুলের গান মোর কণ্ঠে জাগে নাকো আর চারিদিকে শুনি হাহাকার। ফুলের ফসল নেই, নেই কারও কণ্ঠে আর গান ক্ষুধার্ত ভয়ার্ত দৃষ্টি প্রাণহীন সব মুখ ম্লান । মাটি অরণ্যের পানে চায় সেখানে ক্ষরিছে স্নেহ পল্লবের নিবিড় ছায়ায়। জাগো তবে অরণ্য কন্যারা! জাগো আজি, মর্মরে মর্মরে ওঠে বাজি বৃক্ষের বক্ষের বহ্নিজ্বালা মেলি লেলিহান শিখা তোমরা জাগিয়া ওঠো বলো। কঙ্কণে তুলিয়া ছন্দ তান জাগাও মুমূর্ষু ধরা-প্রান ফুলের ফসল আনো, খাদ্য আনো ক্ষুধার্তের লাগি আত্মার আনন্দ আনো, আনো যারা রহিয়াছে জাগি তিমির প্রহর ভরি অতন্ত্র নয়ন, তার তরে ছড়াও প্রভাত আলো তোমাদের মুঠি ভরে ভরে। ---------------------------------------------------------------------- পাঠের উদ্দেশ্য এ কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রকৃতিজগতের প্রতি সহানুভূতিশীল হবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে আগ্রহী হবে এবং প্রকৃতির ঐশ্বর্য রক্ষায় সচেতন হবে। পাঠ-পরিচিতি ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ কবিতাটি সুফিয়া কামালের ‘উদাত্ত পৃথিবী’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত। প্রকৃতির রূপ-সচেতন কবি চারপাশের অরণ্য-নিধন লক্ষ করে ব্যথিত। তাই মৌসুমি ফুলের গান আর তার কণ্ঠে জাগে না। বরং চারপাশে সবুজ প্রকৃতির বিলীন হওয়া দেখে তাঁর মন হাহাকার করে ওঠে। কবি তাই অরণ্য-কন্যাদের জাগরণ প্রত্যাশা করেন। তিনি চার দিকে দিকে আবার সবুজ বৃক্ষের সমারোহের সৃষ্টি হোক; ফুলে ও ফসলে ভরে উঠুক পৃথিবী; মানুষের অস্তিত্ব রক্ষা পাক বিপন্নতার হাত থেকে। কবি পরিচিতি সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালের ২০শে জুন বরিশাল জেলার শায়েস্তাবাদ গ্রামে তাঁর মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল কুমিল্লায়। সে আমলে মেয়েদের লেখাপড়ার মোটেই সুযোগ ছিল না। তিনি নিজের চেষ্টায় লেখাপড়া শিখে ছোটবেলা থেকেই কবিতাচর্চা শুরু করেছিলেন। কিছুকাল তিনি কলকাতার একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। সুদীর্ঘকাল ধরে সাহিত্যচর্চা, সমাজসেবা ও নারীকল্যাণ-মূলক নানা কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর কবিতা সহজ, ভাষা সুললিত, ছন্দ ব্যঞ্জনাময়। কবি সুফিয়া কামালের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো : সাঁঝের মায়া, মায়া কাজল, ‘মোর যাদুদের সমাধি পরে’। তাঁর গল্পগ্রন্থ : কেয়ার কাঁটা; স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ : ‘একাত্তরের ডাইরি’; শিশুদের জন্য তিনি লিখেছেন : ‘ইতল বিতল’ ও ‘নওল কিশোরের দরবারে’। কবি সুফিয়া কামাল তাঁর কবিপ্রতিভার জন্য অনেক পুরস্কার লাভ করেছেন। সেসব হলো : বাংলা একাডেমি পুরস্কার, মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক, একুশে পদক, বুলবুল ললিতকলা একাডেমী পুরস্কার, মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার ইত্যাদি। তিনি ১৯৯৯ সালের ২০ শে নভেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।