У нас вы можете посмотреть бесплатно তাজমহলের অজানা রহস্য | তাজমহল কেন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য ? Unknown facts about Tajmahal или скачать в максимальном доступном качестве, которое было загружено на ютуб. Для скачивания выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
মুঘল আমলে নির্মিত ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রায় অবস্থিত পৃথিবীর অন্যতম বিষ্ময়কর এক স্থাপনার নাম তাজমহল। তাজমহল নিয়ে অনেক গল্প ও কল্পকাহিনী প্রচলিত রয়েছে। তবে এসবের বেশিরভাগেরই যথাযথ প্রমাণ না থাকলেও কাহিনীগুলো বহু বছর ধরে মানুষের মুখে মুখে রটে বেড়াচ্ছে। আজ আমরা তাজমহল সম্পর্কিত কয়েকটি রহস্যময় কল্পকাহিনী সম্পর্কে জানাবো। মুঘল সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম যিনি মমতাজ মহল নামে পরিচিত, তার স্মৃতির উদ্দেশে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান। সৌধটি নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে যা সম্পূর্ণ হয়েছিল প্রায় ১৬৫৩ খ্রিষ্টাব্দে। মমতাজ ছিলেন সম্রাট শাহজাহান এর তৃতীয় স্ত্রী। ১৯ বছরের পরিণয় জীবনে তাদের মোট সন্তান হয়েছিল ১৪টি। শেষ সন্তান জন্মদানের সময় তার প্রয়াণ ঘটে। এতে শাহজাহান এতোটাই কষ্ট পান যে তিনি তার স্ত্রীর স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যার নাম রাখা হয় তাজমহল। প্রায় ২২ বছর ধরে ২০ হাজার শ্রমিকের অক্লান্ত পরিশ্রমে তৈরি হয় ঐতিহাসিক এই সমাধিস্তম্ভ। ১৯৮৩ সালে তাজমহলকে ইউনেস্কো বিশ্বঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম হলো তাজমহল এবং একে বলা হয় 'বিশ্ব ঐতিহ্যের সর্বজনীন প্রশংসিত শ্রেষ্ঠকর্ম। তাজমহল সম্পর্কে একটি খুবই প্রচলিত কল্পকাহিনী হলো এমন স্মৃতিস্তম্ভ যেন দ্বিতীয়টি আর নির্মিত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য শাহজাহান কারিগরদের হাত কাঁটতে আদেশ দিয়েছিলেন। যদিও আমরা তাজমহলকে নিখুঁত বলে বিবেচনা করি তবে এটি তা নয়। মহলটির মূল হলের সিলিংয়ে একটি ছোট গর্ত রয়েছে। কথিত আছে যে কারিগরদের একজন ইচ্ছে করেই এই গর্তটি রেখে দিয়েছিলো যেন শাহজাহানের নিখুঁত মহলের স্বপ্ন সত্য হতে না পারে। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর সকল কারিগরের হাতকাটার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে পেরে তিনি এটি করেছেন বলে ধারণা করা হয়।। ধারণা করা হয়ে থাকে যে, তাজমহলের ভেতর অসংখ্য গুপ্ত কক্ষ রয়েছে। শাহজাহানের সময় থেকেই এই কক্ষগুলো তৈরি করা হয়েছিল এবং বর্তমান ব্যবস্থাতেও এই কক্ষগুলোতে খুব বেশি পরিবর্তন করা হয়নি। অনেকের ধারণা, তাজমহলের ভেতরে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সম্রাট শাহজাহান। কারণ, শ্বেতপাথরের নিচেই একটি লাল পাথরের তৈরি সিঁড়ি চলে গিয়েছে এবং নদীমুখ করে থাকা ২২টি ঘরের মাঝে একটি ঘর রয়েছে যেটিকে মন্দিরের প্রবেশকক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। শাহজাহান বেশ শক্ত করেই এই ঘরের মুখ পাথরের সাহায্যে সিলগালা করে দিয়েছিলেন। মুঘল অন্য কোনো নিদর্শনের মাঝে এমন কোনো স্থাপনা পাওয়া যায়নি, যেখানে এমন চাতুরতার আশ্রয় নেয়া হয়েছিল। একটি জনপ্রিয় পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে যে মহলটির রঙ দিনের সময় এবং আকাশের অবস্থার সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। ভোরের আলোয় হালকা গোলাপী সন্ধ্যায় এটি দুধের মতো সাদা দেখায়। চাঁদনি রাতে একটি হালকা নীল রঙের আভায় এক মনোমুগ্ধকর রূপ নেয়। এই পরিবর্তনগুলো তাজমহলকে দিয়েছে অনন্য এক বৈচিত্র্য।আল্লাহ তাআলা’র ৯৯টি নামের অসাধারণ এক ক্যালিগ্রাফির সমন্বয় রয়েছে তাজমহলের অভ্যন্তরে। প্রতি বছর যারা তাজমহল দেখতে আসেন তারা এই ক্যালিগ্রাফি দেখে আশ্চর্য হন। প্রশ্ন হচ্ছে, তাজমহল কি আসলে একটি কবর, নাকি ভালোবাসার নিদর্শন, নাকি অজানা এক রহস্যের ভান্ডার? তাজমহলের ভেতরে পাওয়া ২২টি কক্ষের ভেতর বৈদিক চিত্রকলার নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। শাহজাহান এই চিত্রকলাগুলোকে প্লাস্টার করে আবৃত করারও কোনো প্রয়োজন মনে করেননি। তিনি শুধু সিলগালা করে কক্ষগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন। তাহলে এই ২২টি কক্ষের প্রয়োজন আসলে কি ছিল? জনগণের নিকট থেকে তাদের লুকানোরই বা দরকার ছিল কি? এমন সব নানা প্রশ্নে ঘুরপাক খাচ্ছে রহস্যসন্ধানীরা।