У нас вы можете посмотреть бесплатно Rabibrate Debabrata – A programme celebrating Debabrata Biswas – Pt-01 Reminiscence by Biva Sengupta или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
২০২৪ সনের ২৯শে ডিসেম্বর। সে এক স্বপ্নের দিন। পুণের উপাসনা গ্লোবাল ফোরামের-এর কর্ণধার শর্মিলা মজুমদার, আমাদের সকলের প্রিয় শর্মিলাদির আহ্বানে আমরা দেবব্রত বিশ্বাস অনুগামীরা মিলেছিলাম জোড়াসাঁকো স্থিত রবীন্দ্র-ভবনের অন্তর্গত রথীন্দ্র মঞ্চে, আমাদের সকলের জীবন যিনি এক সুরে বেঁধে দিয়েছেন, সেই দেবব্রত বিশ্বাসের উদ্দেশ্যে স্মৃতি-তর্পণের অভিলাষে। এই অনুষ্ঠানের বীজ বপন করা হয়েছিল অবশ্য আরও এক বছর আগে – ২০২৩-এর ডিসেম্বরে। পুণে থেকে আসছেন শর্মিলাদি আর আমি যাচ্ছি ব্যাঙ্গালোর থেকে কলকাতায়। দুজনে একে অপরকে তার আগে সামনাসামনি আদৌ দেখিনি। ২০২০-তে মুম্বাই-এর একটি সংস্থার ফেসবুক লাইভের ‘দেবব্রত স্মরণ’ অনুষ্ঠানে আমি যোগ দিয়েছিলাম। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন শর্মিলাদিও। সেই থেকেই আলাপ। শর্মিলাদিরই উদ্যোগে ২০২৩-র ডিসেম্বরে জর্জ বিশ্বাস গৃহে, অধুনা যা ‘মাড কাফে’, আমরা দেবব্রত বিশ্বাস স্মরণে মিলিত হয়েছিলাম এক চিত্তাকর্ষক আলোচনা সভায়। সেদিন প্রধান বক্তা ছিলেন দেবব্রত বিশ্বাসের প্রথম বায়োগ্রাফার, দেবব্রত বিশ্বাসের স্নেহধন্য চন্দনদা – চন্দন দাশ শর্মা। স্মৃতির ভাণ্ডার থেকে তুলে এনেছিলেন জর্জদা সম্পর্কিত নানা মণি-মাণিক্য। আমরা মুগ্ধ শ্রোতারা অবাক বিস্ময়ে তা শুনেছিলাম। ছিলেন দেবব্রত-শিষ্য অরুণ গঙ্গোপাধ্যায়-ও। তাঁর স্মৃতি থেকেও তাঁর মাস্টারমশাই-এর কত গল্পই না শুনেছিলাম। সেদিনের ঘরোয়া অনুষ্ঠানের শেষে, শর্মিলাদি, পরের বছর, অর্থাৎ ২০২৪শে, এই অনুষ্ঠানটি বড় করে করার স্বপ্ন আমাদের দেখিয়েছিলেন। স্থির হয়েছিল ২০২৪-এর ২৩শে অগাস্ট, অর্থাৎ দেবব্রত বিশ্বাসের সঠিক জন্মদিনে আমরা কলকাতার কোনো বড় মঞ্চে জর্জ বিশ্বাস স্মরণে একত্রিত হব। আমরা স্থির করেছিলাম, যে সব মানুষ স্বয়ং দেবব্রত বিশ্বাসকে চাক্ষুষ দেখেছেন, তাঁর সঙ্গ করেছেন, তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে ধন্য হয়েছেন – সেই সব বিরল মানুষ-মানুষীদের একটি ছাতার তলায় নিয়ে আসব এই অনুষ্ঠানে। আগে দেবব্রত বিশ্বাস স্মরণের নামে বেশ কিছু বাণিজ্যিক সংস্থার অনুষ্ঠানে দেখেছি এমন সব মানুষকে বক্তৃতা দিতে বা সঙ্গীত পরিবেষণ করতে, যারা দেবব্রত বিশ্বাসকে কস্মিনকালেও চোখেই দেখেন নি বা তাঁর সঙ্গীত পরিবেষণ বা সঙ্গীত চিন্তা নিয়ে তাঁদের কোনও সম্যক ধারণাই নেই। এ ধরণের অবিবেচক অনুষ্ঠানে আমাদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিলনা। আমরা প্রথম থেকেই স্থির করেছিলাম কেবলমাত্র দেবব্রত বিশ্বাসের সঙ্গপ্রাপ্ত মানুষজনদেরই অনুরোধ করব মঞ্চে এসে বক্তব্য রাখার জন্য। আরও একটি ভাবনা কাজ করেছিল। পর পর কয়েকজন সংগীতশিল্পীকে বসিয়ে এলোমেলো কিছু গান নয়, আমরা মানুষ দেবব্রত বিশ্বাসের খোঁজে নিমজ্জিত হব তাঁর সঙ্গপ্রাপ্ত বিভিন্ন মানুষের স্মৃতি রোমন্থনের মাধ্যমে। কিন্তু বিধি বাধ সাধলেন। একটি অনভিপ্রেত নিকৃষ্ট ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা হারালাম আমাদের একজন ডাক্তার বোনকে। আমাদের অনুষ্ঠানের সময় ঘিরে সমগ্র কলকাতা নগরী উত্তাল হয়ে উঠল সেই নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে। আমরা পুনর্বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম, এখন নয়, এই বছরই অন্য কোনো সময়ে আমরা আমাদের অনুষ্ঠান পুনরায় সংঘটিত করব। স্বয়ং দেবব্রত বিশ্বাসও কি এই আবহে কোনও অনুষ্ঠান করতে আগ্রহী হতেন? যে মানুষটির কণ্ঠে আমরা শুনেছি, “আমার প্রতিবাদের ভাষা, আমার প্রতিরোধের আগুন দ্বিগুণ জ্বলে যেন দ্বিগুণ দারুণ প্রতিশোধে…”, তিনি কি করতেন এমতাবস্থায়? অবশ্যই তিনি কঠিন স্বরে বলতেন, “অনুষ্ঠান নয়, একলা রাতের অন্ধকারে আমি চাই পথের আলো।“ আমরা স্থির করলাম ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ পুনরায় আয়োজন করব আমাদের দেবব্রত প্রণতি অনুষ্ঠান জোড়াসাঁকোর রবীন্দ্র ভবন সংলগ্ন রথীন্দ্র মঞ্চে। অনুষ্ঠানের নাম স্থির হল – ‘রবিব্রতে দেবব্রত’। আমরা মনে করেছিলাম রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত জোড়াসাঁকোর পুণ্যভূমিতে দেবব্রত বিশ্বাসের স্মৃতি উদযাপন হবে শিল্পীর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের প্রথম পদক্ষেপ। আমাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম দেবব্রত বিশ্বাসের একান্ত প্রিয়পাত্র কর্ণাটক সরকারের পূর্বতন চিফ সেক্রেটারি, অধীপ চৌধুরী মহাশয়কে; নিমন্ত্রণ করেছিলাম দেবব্রত বিশ্বাসের প্রথম জীবনীকার চন্দন দাশ শর্মাকে। দেবব্রত বিশ্বাসের ছাত্র-ছাত্রিবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বনামধন্য কোয়ান্টাম সাইন্স বৈজ্ঞানিক ডঃ পার্থ ঘোষ, প্রখ্যাত সংবাদ পাঠক এবং আবৃত্তিকার তরুণ চক্রবর্তী, লব্ধপ্রতিষ্ঠ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী বিভা সেনগুপ্ত, পদ্মিনী দাসগুপ্ত(ঘোষ), পরাগ বরণ পাল, অরুণ গঙ্গোপাধ্যায়, টর্পেডো মুখোপাধ্যায়, পূর্বা সূর এবং বুলবুল সরকার। দেবব্রত স্নেহধন্য গুণীজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রয়াত আবৃত্তিকার প্রদীপ ঘোষ কন্যা পৃথা ঘোষ, গবেষক তুলসী প্রসাদ বাগচী, সুবীর অধিকারী, কেতন মৈত্র এবং বিশ্বজিৎ মিত্র। উপস্থিত না থাকতে পারা স্বত্বেও ভিডিও বার্তা প্রেরণ করেছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত লেজেন্ড স্বাগতালক্ষ্মী দাসগুপ্ত, দেবব্রত বিশ্বাসের একনিষ্ঠ ছাত্র শিবাজী পাল, ডান্সারস গিল্ডের কর্ণধার পার্বতী গুপ্ত, নৃত্যশিল্পী ডঃ মহুয়া মুখোপাধ্যায় এবং শিল্পী অমিতাভ মুখোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে পরিপূর্ণ প্রেক্ষাগৃহ এবং ঘন ঘন করতালি আমাদের জানান দিল দেবব্রত বিশ্বাস সংস্কৃতিবান বাঙালী মানসে, জীবনে ও যাপনে আজও কতটা প্রাসঙ্গিক, কতটা আকাঙ্ক্ষিত। জর্জ বিশ্বাস ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন বক্তার স্মৃতি থেকে ঝরে পড়ল হাজার দেবব্রত পুষ্প। শ্রোতৃবৃন্দ সেই ঝরে পড়া ফুলের দল থেকে গেঁথে নিলেন তাঁদের নানা দেবব্রতর মালা। দু ঘণ্টার অনুষ্ঠান যখন আড়াই ঘণ্টা পেরল, তখন প্রতীয়মান হল যে দেবব্রত বিশ্বাসের মত মাউন্ট এভারেস্ট-কে একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে বাঁধা নিতান্তই অসম্ভব। বড় স্ক্রিনে দেবব্রত বিশ্বাসের ছবির দিকে তাকিয়ে দেখি, উনি মুচকি মুচকি হাসছেন। যেন বলছেন – আমারে বাঁধবি তোরা, সেই বাঁধন কি তোদের আছে? আজ রইলো ‘রবিব্রতে দেবব্রত’-র প্রথম পর্ব। এই পর্বে স্মৃতিচারণা করেছেন দেবব্রত বিশ্বাসের পরম প্রিয় শিষ্যা বিভা সেনগুপ্ত। নমস্কারান্তে, জয়ন্তানুজ ঘোষ ২৭শে জুন, ২০২৫