У нас вы можете посмотреть бесплатно ২৬ এর আগে বড় দলবদলের সম্ভাবনা আছে? কারা দলবদল করতে পারেন? или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
ধমনী শিরা, পাচন তন্ত্র, রেচন তন্ত্র, প্রজনন তন্ত্রে কী বইছে সেটা কথা নয়, পেশাদার সমাজ সেবকেরা থুড়ি রাজনীতিবিদেরা দল বদলান তাঁদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে। ২০১৯ এর ছবিখানা ভাবুন, জগৎ প্রকাশ নাড্ডা শোভন চট্টোপাধ্যায় কে পদ্মফুল উত্তরীয় পরিয়ে দিচ্চেন, পাশে মুকুল রায়, জয় প্রকাশ মজুমদার। তিনি কে তিন, তিন জনেই তৃণমূলে ফিরেছেন, ধমনী শিরা নয়, অস্ত্বিত্ব টিঁকিয়ে রাখতে। আবার ধরুন ২০০০ থেকে ২০১০/১১, লক্ষণ শেঠ, আবদুর রেজ্জাক মোল্লা, ভেবেছিলেন, এনারা তৃণমূলে আসবেন, কংগ্রেসে যাবেন, বিজেপিতে যাবেন? সর্বভারতীয় রাজনীতিতে এই দল বদল কে বিজেপি এক শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। তাদের অসম থেকে মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ থেকে বিহার, মহারাষ্ট্র থেকে বাংলা দলবদলুরাই আজ প্রথম সারিতে। কেন ভাই? বিজেপির আদর্শ আর নীতির জন্য? হরিনাম খাবলা খাবলা। বিজেপি ক্ষমতায় আছে, তার হাতে ইডি সি বি আই আছে, সেদলে গেলে ইডি সি বি আই ছোঁবে না, নেতা মন্ত্রী হতে পারবো। এই শোভন বাবু বিজেপি জয়েন করার পরে ওয়াই ক্যাটাগরির সুরক্ষা পেয়েছিলেন এই বিজেপির কাছ থেকে। আজ বিজেপির জায়গাতে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসুক, দেখবেন উলটো গঙ্গা বইছে, বিজেপইর এই সাত সেয়ানারা তখন আবার সেই কংগ্রেস মুখো। এর সঙ্গে নীতি আদর্শ, ধমনী শিরা, রেচন তন্ত্র, জনন তন্ত্রের কোনও সম্পর্কই নেই। দু দল মানুষ দল বদলাবেন না। তারা কারা? যাঁরা জীবন পরিচর্যাতেই দলকে আত্মস্থ করেছেন, দল কি? দল কেন? দলের নীতি কী? আদর্শ কী? কোনটাই জানা নেই, ঠক করে জানা নেই, কিন্তু জানেন জ্যোতি বসুর দল করি, ইন্দিরা গান্ধীর দল করি, বিজু পট্টনায়েকের দল করি, এনাফ, দ্যাট ইজ এনাফ। এনারা আসলে তলার সারির পোস্টার লাগানো কর্মী, না এনারা দল বদলান না। অন্য এক ছোট অংশ আদর্শের জন্য। সে ভুল হোক, ঠিক হোক, আপনার পছন্দ হোক, না হোক, আইনী হোক বা বে আইনি হোক, সেই আদর্শ সেই দলের সঙ্গে তারা থাকবেন। মাওবাদীদের এক বড় অংশ, কমিউনিস্ট পার্টির এক বড় অংশ, আর এস এস হিন্দুত্ববাদীদের এক বড় অংশ। হ্যাঁ এনারা দল বদলাবেন না। রাজনীতি করবেন না, বসে যাবেন, কিন্তু দল বদলাবেন না। স্বপ্নেও ভাবতে পারেন বিমান বসু অন্য দলে যাবেন? ভাবা যায় না কারণ এক আদর্শগত লক্ষ নিয়েই এঁরা দল করতে এসেছেন। কিন্তু সমাজ সেবা, দেশ সেবা এগুলো এক বিশাল ছড়িয়ে থাকা বিষয়, কত কিছুই তো এই সেবার মধ্যেই ঢুকে পড়ে বা পড়তে পারে, আর সে সব সেবার জন্য একটাই দল আছে তাও নয়, অজস্র দল, যাদের এক এবং একমাত্র লক্ষ দলকে ক্ষমতায় রাখা, যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকতেই হবে, এটাই এক এবং একমাত্র লক্ষ্য। কেন? কারণ এক নিরবিচ্ছিন্ন ক্ষমতা ভোগ করা। কিন্তু চিরদিন তো ক্ষমতায় থাকা যায় না, সম্ভব নয়, কাজেই ক্ষমতার ভরকেন্দ্রের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে নেওয়া, যখন যে দল ক্ষমতায় তখন সেই দলে থেকেই মানুষের, দেশের সেবা করা, থুড়ি নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখা। দেখুন না কত্ত বড় উদাহরণ, নিতীশ কুমার, দেশের সবথেকে বড় দুই যুযুধান গোষ্টির দুধারেই তিনিই ব্যাটস ম্যান, তিনিই ক্যাপ্টেন, ধর্মনিরপেক্ষ মহাগটবন্ধনের তিনিই মুখ্যমন্ত্রী, আবার হিন্দুত্ববাদীদের তিনিই মুখ্যমন্ত্রী। এবং সেটা এক বার নয়, বার বার, আবারও হতেই পারে, এবারেই বিহারের ভোটে তিনি যদি গোটা ১৮/২০ টা আসন পান, তাহলেও তিনি সেই মুখ্যমন্ত্রী হবার চেষ্টা করবেন, এবং যে কোনওদিকেই যেতেই পারেন, দুই জোটই তাঁকে নিয়েও নেবেন, মাথায় বসাবেন। কারণ? কারণ ঐ নিরবিচ্ছিন্ন ক্ষমতা ভোগ করাটাই এনাদের লক্ষ্য। হ্যাঁ এসব ভূমিকা ছেড়ে আসা যাক মোদ্দা কথায়, ২০১৯, ২০২১ এ আমরা দেখেছিলাম দলবদলের চেহারা, কেবা আগে প্রাণ করিবেক দান বলে বিজেপি মুখো তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা। এবং একবারও ভাববেন না যে যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁদের বাইরে কেউ ছিল না। আলবৎ ছিল, ২০২১ এ তারা তৃণমূল দলের মধ্যেই ছিল, তারা জানিয়েছিল যদি বিজেপি কোনওভাবে ১২০ র ধারে কাছে যায় তাহলে তারা তাদের ধমনি শিরা ফেলে রেখেই দল ভেঙে বিজেপিকে সমর্থন করবে, এ নিয়ে নিউটাউনের হোটেলে, ভূবনেশ্বরে, কলকাতার এক ব্যবসায়ীর মধ্যপ্রদেশের ফার্ম হাউসে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছিল, তাঁরা সাফ জানিয়েছিলেন, আপাতত তাঁরা বের হতে পারছেন না কিন্তু বিজেপি ১১৮/১২০ পেলে তাঁরা সব শক্তি দিয়েই দল ভাঙবেন এবং সেই দল ভাঙার ইস্যুও হাতে গরম রাখা হয়েছিল, হ্যাঁ ভাইপো, হ্যাঁ অভিষেকের দলে এসেই সিনিয়রদের ওপরে চাপিয়ে দেওয়া, এই ইস্যুতেই দল ভাঙার বৈঠকে হাজির ছিলেন দুজন মন্ত্রীও। কিন্তু নির্বাচনের পরে ফলাফল দেখেই সেদিকে আর এগোনর প্রশ্নই ছিল না। কিন্তু সেই যোগাযোগ, সেই কথাবার্তা? দিনের আলোর মধ্যে রাতের তারার মত সব আছে, সবাই আছে।