У нас вы можете посмотреть бесплатно বৈচিত্রে বাংলাদেশ: হাজার রঙে হাজং (Unique Bangladesh: Hajong in Thousand Hues) или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
হাজং। বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যসমৃদ্ধ এক জাতি। পাহাড়, নদী আর মাটির গন্ধে বোনা তাদের জীবনধারা। বৈচিত্রে বাংলাদেশে জানবো সেই বৈচিত্র্যময় গল্প।হাজার হাজার বছর আগে এক যাত্রার গল্প—এ গল্প হাজংদের। জন্ম তিব্বতের পাহাড়ে, এরপর এক দীর্ঘ পথচলায় তারা পাড়ি জমায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বাংলাদেশে তারা এসেছিল পরিযায়ী পাখির মতো দল বেঁধে, ঠাঁই খুঁজতে। কিংবদন্তি বলে—হাজংরা সূর্যদেবতার বংশধর, সূর্যবংশী ক্ষত্রিয়। ইতিহাস তাদের লিখে রাখেনি বইয়ের পাতায়, তাদের গল্প শোনা যায় অনেকটা লোককাহিনির মতো, মানুষের মুখে মুখে। বাংলাদেশের হাজংরা বিশ্বাস করেন, তাদের শিকড় আসামের হাজো এলাকায়। সেখান থেকেই হাজংরা গারো পাহাড়ের পাদদেশে গড়েন নতুন ঠিকানা। ধীরে ধীরে তারা খাসিয়া, জৈন্তিয়া পাহাড় পেরিয়ে নতুন জায়গায় গড়ে তোলেন বসতি। হাজংদের অধিকাংশেরই বসবাস ভারতে-আসামের নওয়াগাঁও, তুরা পাহাড়ের পাদদেশ, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া ও শান্তিপুরে। বাংলাদেশে হাজংদের বসতি শেরপুরের শ্রীবর্দী , ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ি; ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাটে; নেত্রকোণার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায়, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও বিশম্ভরপুরে এবং সিলেটে। হাজংদের ভাষার নাম ‘হাজং ভাষা’। উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, হাজং ভাষা একসময় ছিল তিব্বতি-বর্মী শিকড়ের। তবে সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে ভাষার ধারা। এখন হাজংরা যে ভাষায় কথা বলে তা মূলত একটি ইন্দো-আর্য ভাষা। হাজং ভাষার নিজস্ব কোন লিপি নেই। ভারতে হাজং ভাষা বাংলা অসমীয়া লিপি এবং ল্যাটিন লিপিতে লেখা হয়। বাংলাদেশের হাজংরা ব্যবহার করেন বাংলা লিপি, তবে উচ্চারণটা একটু অন্যরকম। হাজং জাতিস্বত্বার অধিকাংশই একত্রে দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে ভালবাসে। সমাজ পরিচালনায় সমগ্র হাজং অঞ্চল চারটি ভাগে বিভক্ত- পাড়া, গাঁও, চাক্লা ও পুরাগাঁও বা পরগনা। হাজংরা হিন্দু ধর্মাবলম্বী। তাদের প্রতিটি ঘরে ঠাকুরঘর বা ‘দেওঘর’ থাকে।হাজংরা শুধু কৃষিজীবী নয়, তারা উৎসবমুখর এক জাতি। আশ্বিন-কার্তিক মাস এলেই হাজং পল্লিগুলো বদলে যায় উৎসবের আমেজে। এই সময় তারা পালন করে ‘দীপান্বিতা’ বা ‘দেওয়ালী’ উৎসব। এ উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু হলো—চরমাগা অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে তারা ‘মহিষাসুর বধ পালা’ মঞ্চায়ন করে। হাজংদের ধর্মীয় উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অংশ বাস্তুপূজা। বাস্তুভিটার রক্ষক এবং গ্রামের মঙ্গলকারক বাস্তু দেবতাদের উদ্দেশে প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তিতে গ্রামবাসীরা উদযাপন করে এ পূজা। হাজংদের রয়েছে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, টংক আন্দোলনসহ বিভিন্ন গৌরবময় সংগ্রামী ইতিহাস। এই জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় বিদ্রোহ উনিশ শতকে সংগঠিত হাতিখেদা বিদ্রোহ। সময়টা ১৯৩৭ থেকে ১৯৫২। ব্রিটিশ রাজ ও জমিদারি শোষণের যুগে নেত্রকোনার সুসং পরগনায় হাজংরা দাঁড়িয়েছিল খাজনার বিরুদ্ধে। নাম হয়েছিল টংক আন্দোলন। এই আন্দোলনে শুধু পুরুষ নয়—নারীরাও হাতে তুলেছিলেন লাঠি, মুখে তুলেছিলেন প্রতিবাদের তার মধ্যে হাজং মাতা রাশিমণি ও কুমুদিনী হাজং এর নাম চিরস্বরণীয়। হাজার বছরের শিকড় যার গানের সুরে বাজে, সে কি শুধুই একজন শিল্পী? না, সে এক জাতিসত্তার প্রতিনিধি। হাজং সমাজের সেই প্রতিনিধি, সেই তারার নাম—অনিমেষ রায়। প্রকৃতির সরলতা আর হাজং সংস্কৃতির ঐতিহ্য যেন তার সুরে অনুরণিত হয়। কোক স্টুডিওতে নাসেক নাসেক গানের মাধ্যমে শ্রোতাদের মনোযাগ কাড়েন অনিমেষ। তিনি এই গানটি শুধু গাইলেন না, বরং হাজং জাতিসত্তার সুর তুলে ধরলেন বিশ্বের সামনে।হাজং শুধু একটি জাতিগোষ্ঠী নয়। তারা বাংলাদেশের বুকে বয়ে চলা নদীর স্রোতের মতো-যা বয়ে চলেছে ও চলবে-সংস্কৃতি, সংগ্রাম আর স্বকীয়তার দীপ্ত আলো নিয়ে। Video link- • বৈচিত্রে বাংলাদেশ: হাজার রঙে হাজং (Unique ...