যে কারণে রোহিঙ্গা এত নি/র্যাতিত এবং আরাকান রাজ্যের ইতিহাস | Del H Khan | Beyond Border | Deepto News скачать в хорошем качестве

যে কারণে রোহিঙ্গা এত নি/র্যাতিত এবং আরাকান রাজ্যের ইতিহাস | Del H Khan | Beyond Border | Deepto News

যে কারণে রোহিঙ্গা এত নি/র্যাতিত এবং আরাকান রাজ্যের ইতিহাস | Del H Khan | Beyond Border | Deepto News রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের পেছনে বিভিন্ন ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, এবং সামাজিক কারণ রয়েছে। মূলত, রোহিঙ্গা মুসলিম জনগণ মিয়ানমারের আরাকান (বর্তমানে রাখাইন) রাজ্যে বসবাস করে, যেখানে তাদের অনেক পুরনো ইতিহাস রয়েছে। তবে বিভিন্ন কারণের জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচারের শিকার হয়ে আসছে। রোহিঙ্গাদের ইতিহাস: রোহিঙ্গাদের আদি বসবাস মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে, যা বর্তমানে রাখাইন রাজ্য নামে পরিচিত। এ রাজ্যের ইতিহাস বহু শতাব্দী প্রাচীন, এবং এটি মুসলিম, বৌদ্ধ, এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সহাবস্থানের একটি স্থান ছিল। মুসলিম রোহিঙ্গা জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে আলাদা একটি পরিচয় রয়েছে, যা তাদের ভাষা, সংস্কৃতি, এবং ধর্মের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। নির্যাতনের কারণ: রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের একাধিক কারণ রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: 1. **জাতিগত ও ধর্মীয় বৈষম্য**: মিয়ানমারের মূল জনগণ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী, এবং তারা রোহিঙ্গা মুসলিম জনগণের পরিচয় ও ধর্মকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন যে রোহিঙ্গারা তাদের দেশের অবৈধ অভিবাসী, বিশেষ করে ১৯৪৮ সালের স্বাধীনতার পর থেকে তারা মিয়ানমারে অবৈধভাবে বসবাস করছে। 2. **ঐতিহাসিক রাজনৈতিক সমস্যা**: ১৮৪২ সালে ব্রিটিশরা যখন বার্মাকে উপনিবেশ করে, তখন অনেক ভারতীয় মুসলিমদের আরাকানে এনে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার পর মিয়ানমার সরকার এই জনগণকে বিদেশি হিসেবে বিবেচনা করতে শুরু করে এবং তাদেরকে নিজেদের দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে। 3. **রাখাইন রাজ্যে ভূমির মালিকানা ও আধিপত্য**: রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইন জনগণ তাদের ভূমির মালিকানা ও আধিপত্যের জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিল। এই কারণে তীব্র সংঘাতের সৃষ্টি হয়। 4. **২০১২ সালের দাঙ্গা**: ২০১২ সালে আরাকান রাজ্যে বৌদ্ধ এবং মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে মারাত্মক দাঙ্গা ঘটে। এই দাঙ্গা থেকে শুরু করে রোহিঙ্গাদের প্রতি নিপীড়ন আরও তীব্র হয়ে ওঠে। এতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয় এবং লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে চলে যায়। 5. **রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিক অধিকার না দেওয়া**: মিয়ানমারের সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করেছে, তাদেরকে "অনুপ্রবেশকারী" হিসেবে গণ্য করেছে। তাদেরকে বেসিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, যেমন ভোটাধিকার, শিক্ষা, চিকিৎসা, এবং চাকরির সুযোগ। 6. **২০১৭ সালের রোহিঙ্গা গণহত্যা**: ২০১৭ সালে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, এবং হত্যা চালায়। এর ফলে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়, এবং এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরোধিতা ও নিন্দার ঝড় ওঠে। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: বিশ্বব্যাপী রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি সহানুভূতির পাশাপাশি, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নানা ধরণের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে মিয়ানমার সরকার তাদের ভূমিকা অস্বীকার করে এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতা ও নির্যাতনকে "সন্ত্রাসবাদ দমন" হিসেবে দাবি করেছে। এই সমস্যা এখনো সমাধান হয়নি, এবং রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের বিষয়। #DelHKhan #DelHKhanPodcast #DelHKhanTalkShow #DeeptoTalkShow #beyondborders #BeyondBorderTalkShow #DelHKhan_With_BeyondBorder #deeptotvnews #DeeptoTVTalkShow #deeptonews #newsupdate #SMAkash #saverohingya #RohingyaGenocide #StandWithRohingya #JusticeForRohingya #RohingyaRights #EndRohingyaPersecution #rohingyarefugees #rohingyacrisis #ArakanHistory #RohingyaFreedom #StopRohingyaGenocide #RohingyaExodus #SaveRohingyaLives #RohingyaSolidarity #RohingyaAwareness For more news check out our online news portal: https://deeptonews.com ** COPYRIGHT WARNING ** The copyright of this content is reserved solely by Kazi Media Limited. Unauthorized reproduction, redistribution, and/or re-upload of this copyrighted content is strictly prohibited and illegal. Legal action will be taken against those who violate the copyright of this content. Contact Us: Phone: +88 091-21056 Email: [email protected] Address: Deepto TV 7/A/GA Tejgaon Industrial Area, Dhaka 1208, Bangladesh