Penal Code 1860, Class : 01, Jony Law School, SI J Alam Jony скачать в хорошем качестве

Penal Code 1860, Class : 01, Jony Law School, SI J Alam Jony

মাত্র একদিনে কিভাবে সম্ভব পেনাল কোড আয়ত্ত্বে আনা তা আজ আলোচনা করা হবে। যাদের কাছে পেনাল কোড খুব কঠিন মনে হয় তাদের জন্য সহজ পদ্ধতিতে মৌলিক বিষয়গুলো মাত্র ২৪ ঘণ্টায় আয়ত্ত্বে আনার কৌশল ও পদ্ধতি । আমি সব সময়ই আইনের কঠিন কঠিন বিষয়গুলো সহজভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে আসছি। অনেকের কাছে বিষয়গুলো অচেনা লেগেছে, না বুঝে তর্কে লিপ্ত হয়ে যান। আরে ভাই, একটা বিল্ডিং এর ফাউন্ডেশন যদি শক্তিশালী না হয় সেখানে বড় বিল্ডিং করা যায় না। ছাদের পরিবর্তে টিনের চাল দিয়ে থাকতে হয়। যাই হোক, যার যেটা পছন্দ সে সেটা নিয়েই থাক। কাউকে জোর করা হবে না। আমার কাছে আইন শেখার কোন শর্টকার্ট নেই। আইন শিখতে হবে প্রতিটি শব্দের অর্থসহ এবং ব্যাখ্যাসহ। তোতা পাখির মত মুখস্তে আমি বিশ্বাস করি না। আজ তারেই ধারাবাহিকতায় আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি, ২৪ ঘণ্টায় পেনাল কোড আয়ত্তে আনার কৌশল বা পদ্ধতি। ধারা মুখস্ত করার জন্য পাগল না হয়ে, কোন কোন বিষয়গুলো পেনাল কোডে আলোচিত হয়েছে সে বিষয়গুলোর শিরোনাম ও ব্যাখ্যাগুলো বুঝার চেষ্টা করুন তাহলে পেনাল কোড খুব সহজ মনে হবে। তাহলে চলুন পেনাল কোড সম্পর্কে কিছু তথ্য আমরা জেনে নিই। অপরাধ হচ্ছে সভ্যতার অবদান। যতদিন সভ্যতা ছিল না ততদিন অপরাধকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হতো না; তখনকার আমলে মানুষ যা খুশি তা করতে পারতো। সমাজের পরিবর্তনের মাধ্যমে যখন থেকে সভ্যতা আসলো তখন থেকে মানুষ বুঝতে পারলো এভাবে চলতে পারে না। অপরাধ করলে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এভাবে অপরাধ চিহ্নিত হতে থাকে। মানুষের যার যা অধিকার ও দায়িত্ব, তার বাহিরে যাওয়ার নামই হচ্ছে অপরাধ। কিছু কাজ আছে যেগুলো করা অপরাধ এবং কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো না করাও অপরাধ। পেনাল কোডে অপরাধের চেষ্টা ও উদ্যোগ গ্রহণেরও শাস্তির বিধান রয়েছে। আপনারা যদি পেনাল কোড খুব ভালভাবে গবেষণা করেন তবে সেখানে কয়েকটি বিষয় দেখতে পারবেন ১। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ ২। জনসাধারণের বিরুদ্ধে অপরাধ ৩। ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ ৪। সম্পত্তির বিরুদ্ধে অপরাধ। ১। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ : পেনাল কোডের শুরুর দিকে অর্থাৎ ধারা ১২১ হতে ১৩০ পর্যন্ত এবং আরো কিছু রাষ্ট্র বিরোধী অপরাধের বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে। ২। জনসাধারণের বিরুদ্ধে অপরাধসমূহ : বেআইনী সমাবেশ, দাঙ্গা ইত্যাদি অপরাধগুলো হচ্ছে জনসাধারণের বিরুদ্ধে অপরাধ। ৩। ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ : এ ধরণের অপরাধই বেশি পেনাল কোডে। যেমন, কাউকে আঘাত করা, আহত করা, হত্যা করা, প্রতারণা করা ইত্যাদি। ৪। সম্পত্তির বিরুদ্ধে অপরাধ : চুরি, দস্যুতা, ডাকাতি, ক্ষতিসাধন ইত্যাদি। এখন প্রশ্ন হলো, আপনি পেনাল কোড পড়া শুরু করবেন কিভাবে ? আমার দৃষ্টিতে আপনি যদি পেনাল কোডের ৫১১টি ধারা মুখস্ত করতে যান তবে তা হয়তো সম্ভব হবে, তবে পরীক্ষার প্রশ্নে যেহেতু ধারা বিপরীতে কি আছে তা জানতে চাওয়া হয় না; সেহেতু আপনি ভাল করতে পারবেন না। আপনাকে ভাল করতে হলে অবশ্যই বিষয়ভিত্তিক ভাগ করে নিয়ে পেনাল কোড পড়তে হবে। এক্ষেত্রে আমি যে নিময়টি অনুসরণ করতাম তা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে। ১। সংজ্ঞাসমূহ (ধারা ১১-৭৫)। ২। সাধারণ ব্যতিক্রম (ধারা ৭৬-৯৫)। ৩। আত্মরক্ষার সংজ্ঞা ও বিস্তারিত (ধারা ৯৬-১০৬)। ৪। অপরাধের সহায়তা, প্ররোচনা, হুকুম, ষড়যন্ত্র ইত্যাদি সংক্রান্ত (১০৭ হতে ১২০-খ ধারা)। ৫। রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধসমূহ (১২১ হতে ১৩০ ধারা)। ৬। সশস্ত্র বাহিনী সংক্রান্ত অপরাধসমূহ (১৩১ হতে ১৪০ ধারা)। ৭। বেআইনী সমাবেশ, দাঙ্গা, মারামারি সংক্রান্ত (১৪১ হতে ১৬০)। ৮। সরকারি কর্মচারী কর্তৃক অপরাধ অনুষ্ঠিত এবং সরকারি কর্মচারী সম্পর্কিত অপরাধসমূহ (১৬১ হতে ১৭১ ধারা)। ৯। সরকারি কর্মচারীর বৈধ আদেশ অমান্য, বাধা দান, সরকারি কর্মচারীকে হুমকি প্রদান ইত্যাদি সংক্রান্ত (১৭২ হতে ১৯০ ধারা)। ১০। মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, তৈরী করা, সাক্ষ্য লুকিয়ে ফেলা ইত্যাদি সংক্রান্ত (১৯১ হতে ২২৯ ধারা)। ১১। বাটখারা, মাপকাঠি ইত্যাদি সংক্রান্ত (২৬৪ হতে ২৬৭ ধারা)। ১২। গণ-উপদ্রব, খাদ্যে ভেজাল, অশ্লীলতা ইত্যাদি সংক্রান্ত (২৬৮-২৯৪ ধারা)। ১৩। ধর্ম সংক্রান্ত অপরাধসমূহ (২৯৫-২৯৮ ধারা)। ১৪। অপরাধজনক নরহত্যা, খুন, খুনের চেষ্টা, আত্মহত্যার চেষ্টা ইত্যাদি সংক্রান্ত (২৯৯ হতে ৩১১ ধারা)। ১৫। গর্ভপাত ও জন্ম গোপনকরণ (৩১২ হতে ৩১৮ পর্যন্ত)। ১৬। আঘাত, গুরুতর আঘাত ও সরকারি কর্মচারীকে আঘাত সংক্রান্ত (৩১৯ হতে ৩৩৮-ক ধারা)। ১৭। অবৈধ বাধা, অবরোধ সংক্রান্ত (৩৩৯ হতে ৩৪৮ ধারা)। ১৮। অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ, আক্রমণ সংক্রান্ত (৩৪৯ হতে ৩৫৮ ধারা)। ১৯। মানুষ হরণ, অপহরণ, দাসত্ব ও জোরপূর্বক শ্রম সংক্রান্ত (৩৫৯ হতে ৩৭৪ ধারা)। ২০। নারী ধর্ষনের সংজ্ঞা, অস্বাভাবিক অপরাধ (৩৭৫ ও ৩৭৬ ধারা। ২১। চুরি সংক্রান্ত (৩৭৮ হতে ৩৮২ ধারা)। ২২। বলপূর্বক গ্রহণ, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ইত্যাদি (৩৮৩-৩৮৯ ধারা)। ২৩। দস্যুতা ও ডাকাতি সম্পর্কিত (৩৯০-৪০২ ধারা)। ২৪। সম্পত্তি আত্মসাৎ, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, চোরাইমাল ও প্রতারণা (৪০৩-৪৪০ ধারা)। ২৫। অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ, সম্পত্তির পাত্র ভাঙ্গা (৪৪১-৪৬২ ধারা)। ২৬। জালিয়াতি সংক্রান্ত (৪৬৩-৪৭১ ধারা)। ২৭। বিবাহ ও ব্যভিচার সংক্রান্ত (৪৯৩-৪৯৮ ধারা)। ২৮। মানহানি সংক্রান্ত ( ৪৯৯-৫০২ ধারা)। ২৯। অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন, মাতলামি, অশোভন (৫০৩-৫১০ ধারা)। ৩০। অপরাধ সংঘটনের উদ্যোগ, চেষ্টা ও অভিপ্রায়, যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ধারা নেই (৫১১ ধারা)। এভাবে বিষয়ভিত্তিক ভাগ করে নিয়ে আয়ত্ত্বে আনুন এবং সে বিষয়গুলোর মধ্যে কোন কোন বিষয় লুকিয়ে রয়েছে খুজে বের করুন। এখন দেখুন আপনার কাছে ধারাগুলো সহজ মনে হয়ে এবং অনেক দিন মনে রাখতে পারবেন। তাহলে এভাবে প্যাকট্রিস চালিয়ে যান। সবাই ভাল থাকবেন। লিংক : মাত্র একদিনে ফৌজদারি কার্যবিধি আয়ত্তে আনার কৌশল :    • Law Reading Tips & Tips : CrPC ফৌজদারি কার...   হাতের লেখা সুন্দর করার পদ্ধতি    • Hand Writing Class 01 : How to improve han...   ফেসবুক গ্রুপ : www.facebook.com/groups/907950312953761/