У нас вы можете посмотреть бесплатно নবাব আব্দুল লতিফ - [ ১৮২৮ - ১৮৯৩ ] সংস্কার আন্দোলনে ভূমিকা или скачать в максимальном доступном качестве, которое было загружено на ютуб. Для скачивания выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
নবাব আব্দুল লতিফ (১৮২৮ - ১৮৯৩ খ্রি:) ঃ সংস্কার আন্দোলনে ভূমিকা নবাব আব্দুল লতিফ ছিলেন উনবিংশ শতকে বাংলার মুসলমান সমাজের জাগরনের অন্যতম অগ্রদূত । তিনি ইংরেজ রাজশক্তির ছত্রছায়ায় থেকেই রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে চরমভাবে অধঃপতিত বাংলার মুসলমান সমাজকে উন্নতি ও প্রগতির পথে এগিয়ে নিতে আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন । পরিচয় , শিক্ষা ও কর্মজীবন নবাব আব্দুল লতিফ ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে ফরিদপুর জেলার রাজাপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন । তার পিতা কাজী ফকীর মাহমুদ ছিলেন কলকাতা সদর দিওয়ানি আদালতের একজন আইনজীবী । কলকাতা মাদ্রাসায় উচ্চশিক্ষা লাভের পর আব্দুল লতিফ প্রথমে ঢাকার প্রথম স্কুল ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে ( প্রতিষ্ঠাকাল ১৮৩৫) শিক্ষকতা শুরু করেন । ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতা মাদ্রাসায় অ্যাংলো - এরাবিক বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন । ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে “ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট “ হিসেবে সরকারী চাকরীতে যোগ দেন । পরবর্তীকালে “ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট “ পদে পদোন্নতি লাভ করেন । ১৮৮৪ সালে বিশেষ পেনসন সুবিধাসহ সরকারী চাকরি থেকে অবসর গ্রহন করেন আব্দুল লতিফ । তিনি আয়কর কমিশনার এবং কলকাতা পৌর কর্তৃপক্ষের শান্তিপাল বা “ জাস্টিস অব পিস “ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন । নিজের ধর্মের মানুষের অগ্রগতির জন্য প্রচেষ্টা , সরকারী প্রশাসনিক কাজে নিষ্ঠা ও দক্ষতা এবং জনহিতকর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৬২ সালে সরকার তাকে বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য মনোনীত করে । মুসলমানদের মধ্যে তিনিই প্রথম এ গৌরবের অধিকারী । ইংরেজ শাসকদের প্রতি আনুগত্য এবং মুসলমান সমাজের জন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৮৭৭ সালে সরকার তাকে “ খান বাহাদুর “ ১৮৮০ সালে “ নবাব “ , ১৮৮৩ সালে “ সিআইই “ এবং ১৮৮৭ সালে উচ্চতর সন্মান “ নবাব বাহাদুর “ উপাধিতে ভূষিত করে । মুসলিম সমাজের অগ্রগতির জন্য আব্দুল লতিফের গৃহীত উদ্যোগ নবাব আব্দুল লতিফ একজন শিক্ষিত মানুষ ছিলেন । তিনি বুঝতে পেরেছিলেন মুসলমানদের সামাজিক অগ্রগতির জন্য তাদের শিক্ষিত বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে । এ কারনে তিনি মুসলিম সমাজকে সংগঠিত করেন এবং তাদের মধ্যকার গোঁড়ামি দূর করে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করেন । মুসলিম সমাজের অগ্রগতির জন্য তার অবদান অনন্য । যেমন - মুসলমানদের মধ্যে ইংরেজ আনুগত্য সৃষ্টি ঃ ভারতবর্ষে মুসলমানদের জেহাদি আন্দোলন এবং ১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের ( সিপাহি বিদ্রোহ ) কারনে ইংরেজরা মুসলমানদের সন্দেহ ও অবিশ্বাস করত। এজন্য তারা মুসলমানদের অবহেলা করতে থাকে এবং মুসলমান সম্প্রদায় বিভিন্ন বিষয়ে বঞ্চিত হয় । নবাব আব্দুল লতিফ উপলব্ধি করেন , এ অবস্থা চলতে থাকলে বাংলা তথা ভারতের মুসলমানদের ধ্বংস অনিবার্য । এ অবস্থায় নবাব আব্দুল লতিফ নিজে রাজদণ্ডধারী ইংরেজদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে । তার ধারনা হয়েছিল , নিজেদের স্বার্থেই মুসলমানদের মধ্যে ইংরেজ শাসকদের প্রতি আনুগত্য সৃষ্টি করা প্রয়োজন ।এ কারনে আব্দুল লতিফ মুসলমানদের ইংরেজবিদ্বেষী মনোভাব পরিহার করে তাদের সাথে সহযোগিতাপূর্ণ আচরন করার জন্য নানা ধরনের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি গ্রহন করেন । তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মুসলমানদের মধ্যে ইংরেজ বিরোধী মনোভাব কমে আসে । ফলে ইংরেজ সরকার মুসলমানদের বিভিন্ন সুযোগ- সুবিধা প্রদান করে । মুসলমান সমাজে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঃ বাংলার মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষা , বিশেষ করে আধুনিক পাশ্চাত্য তথা ইংরেজি শিক্ষা বিস্তারে নবাব আব্দুল লতিফের অবদান অসামান্য । ইংরেজিকে “ বিধর্মীর ভাষা “ আখ্যা দিয়ে তা না শিখে ভারতের মুসলমানরা সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে পিছিয়ে পড়েছিল । আব্দুল লতিফ মনে করতেন , অগ্রগতির জন্য বাংলার মুসলমানদের আধুনিক ইংরেজি শিক্ষা গ্রহন করা উচিত । বাংলার মুসলমানদের মধ্যে আধুনিক শিক্ষার পক্ষে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে নবাব আব্দুল লতিফ ১৮৫৩ সালে “ মুসলিম ছাত্রদের পক্ষে ইংরেজি শিক্ষার সুফল “ শিরোনামে এক প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা আহবান করেন । তার প্রচেষ্টায় সরকার মুসলমান শিক্ষার্থীদের জন্য কলকাতা মাদ্রাসায় অ্যাংলো - ফারসি বিভাগ খোলে এবং উর্দু ও বাংলা ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা করে । হুগলী মাদ্রাসায় অ্যাংলো- ফারসি বিভাগ চালুর পিছনেও নবাব আব্দুল লতিফ মুখ্য ভূমিকা পালন করেন । তার দাবি ও চেষ্টাতেই হিন্দু কলেজকে প্রেসিডেন্সি কলেজে রূপান্তরিত করা হয় । ফলে ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলমান ছাত্রদের আধুনিক উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরি হয়।