У нас вы можете посмотреть бесплатно শিশুর কলিজা খাওয়া আজিমুন্নেসা বেগমের জীবন্ত সমাধি/The Grave of Azimunnisa Begum или скачать в максимальном доступном качестве, которое было загружено на ютуб. Для скачивания выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
#আজিমউন্নিসা_বেগমের_জীবন্ত_কবর আজিমউন্নিসা বেগমের জীবন্ত কবরের কাহিনী হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা। কিন্তু যারা জানেন, তারা এই কাহিনীর কথা মনে করে হয়তো এখনো শিউরে উঠেন। আজিমউন্নিসা বেগম ছিলেন বাংলার প্রথম নবাব মুর্শিদকুলি খান এর মেয়ে। তাঁর স্বামী সুজাউদ্দীন মুহাম্মদ খানও পরবর্তীতে বাংলার নবাব হয়েছিলেন। আজিমউন্নিসা বেগম, জয়নবউন্নিসা বেগম নামেও পরিচিত। কথিত আছে, আজিমউন্নিসা বেগম একবার এক জটিল রোগে আক্রান্ত হন। কিছুতেই তিনি সেরে উঠছিলেন না। এমন সময় কোন এক কবিরাজ তাঁকে আরোগ্য লাভের জন্য শিশুদের কলিজা খাবার পরামর্শ দেন (কলিজা থেকে তৈরী ঔষধও হতে পারে)। কবিরাজের পরামর্শ মতো তিনি গোপনে শিশু হত্যা করে তাদের কলিজা খেতে থাকেন। কাকতালীয়ভাবে তিনি অল্প দিনেই আরোগ্য লাভ করেন। কিন্তু রোগটি আবার ফিরে আসতে পারে এই ভেবে তিনি ভীত হয়ে উঠেন। তাই তিনি গোপনে শিশু হত্যা করে তাদের কলিজা খাওয়া চালিয়ে যেতে থাকেন। ধীরে ধীরে তিনি শিশুদের কলিজার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। আজিমউন্নিসা ছিলেন খুবই মেজাজী ও একই সাথে ক্ষমতাবান একজন রমনী। তাঁর ভৃত্যদের কেউই তাঁকে নিষেধ করার কিংবা নবাবের কাছে নালিশ করার সাহস পেলেন না। এভাবেই তিনি প্রতিদিন গোপনে শিশু হত্যা করতে থাকেন। কিন্তু খবরটি ঠিকই একদিন নবাবের কানে পৌঁছে যায়। নবাব এই ঘটনায় খুবই ক্ষিপ্ত হন। তিনি আজিমউন্নিসা বেগমকে শাস্তিস্বরুপ জীবন্ত কবর দেয়ার হুকুম দেন। নবাবের নির্দেশ মতো মসজিদের সিঁড়ির নিচে তাঁকে জীবন্ত কবর দেয়া হয়। তবে এই কাহিনীর ঐতিহাসিক মূল্য নিয়ে বিতর্ক আছে। কারণ লোকমুখে প্রচলিত এই কাহিনীর স্বপক্ষে কোন ঐতিহাসিক দলিল পাওয়া যায়না। আজিমউন্নিসা বেগম কবে মারা যান সেটাও নিশ্চিত করে জানা যায়না। অনেকে বলেন, আজিমউন্নিসা বেগমকে জীবন্ত কবর দিয়েছিলেন তাঁর পিতা নবাব মুর্শিদকুলি খান। কিন্তু ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, মুর্শিদকুলি খান মারা যান ১৭২৭ সালে। অন্যদিকে, আজিমউন্নিসা বেগমকে যে মসজিদের সিঁড়ির নিচে কবর দেয়া হয়েছিল, সেটি নির্মিত হয় মুর্শিদকুলি খানের মৃত্যুর পরে। অনেকের মতে আজিমউন্নিসা বেগমই সেই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। সেই হিসেবে আজিমউন্নিসা বেগমকে হত্যার আদেশ যে তাঁর পিতা মুর্শিদকুলি খান দেননি, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। যদি কাহিনীটি আদৌ সত্য হয়ে থাকে, এক্ষেত্রে তাঁকে তাঁর স্বামী নবাব সুজাউদ্দীন মুহাম্মদ খানই শাস্তি দিয়েছিলেন বলে ধরে নেয়া যেতে পারে। যে মসজিদের সিঁড়ির নিচে আজিমউন্নিসা বেগমকে জীবন্ত কবর দেয়া হয়েছিল বলে জনশ্রুতি আছে, তা ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে প্রায় পুরোপুরি ভেঙ্গে যায়। কিন্তু তাঁর কবরটি এখনো অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। আজিমউন্নিসা বেগমের কবরটি দেখতে হলে যেতে হবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার মহিমপুরে। আর যে কাউকে 'কলিজা খাকি' বললেই আজিমউন্নিসা বেগমের কবরটি দেখিয়ে দিবে।