У нас вы можете посмотреть бесплатно তিস্তা নিয়ে চীন ভারত টানাপোড়েন, আসল ঘটনা কী или скачать в максимальном доступном качестве, которое было загружено на ютуб. Для скачивания выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
তিস্তা নিয়ে চীন-ভারত টানাপোড়েন, আসল ঘটনা কী? তিস্তা নদী নিয়ে চীন-ভারত টানাপোড়েন: আসল ঘটনা কী? তিস্তা নদী দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী, যা ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীটি ভারত ও বাংলাদেশের জন্য কৃষি, পরিবেশ এবং জলবণ্টনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তিস্তা নদী নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার জলসম্পদ ব্যবস্থাপনার জটিলতাকে আরও প্রকট করেছে। এই প্রবন্ধে তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে চীন-ভারত টানাপোড়েনের কারণ, ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং আসল পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা হবে। তিস্তা নদীর ভৌগোলিক ও কৌশলগত গুরুত্ব তিস্তা নদী হিমালয় থেকে উৎপত্তি হয়ে ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী হিসেবে মিশে যায়। এই নদী ভারত ও বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি উভয় দেশের কৃষি ও সেচ প্রকল্পগুলোর জন্য একটি প্রধান জলস্রোত। তবে ভারতের একতরফা পানি নিয়ন্ত্রণ এবং তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে পানি সংকটে ভুগছে। চীন-ভারত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মূল কারণ তিস্তা নদী নিয়ে চীন-ভারত টানাপোড়েন মূলত দুটি কারণে সৃষ্টি হয়েছে—প্রথমত, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং দ্বিতীয়ত, দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের অবকাঠামো উন্নয়নের কৌশল। ১. *চীনের বাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনা:* চীন তিব্বতে বেশ কয়েকটি বড় বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে, যা তিস্তা নদীর উজানে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এটি ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ তিস্তার পানির প্রবাহ চীনের নিয়ন্ত্রণে চলে গেলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কৃষি ও পানি সরবরাহ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ২. *ভারতের কৌশলগত উদ্বেগ:* ভারত মনে করে যে চীন বাংলাদেশে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে তিস্তা প্রকল্পে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে, যা ভারতের আঞ্চলিক আধিপত্যের জন্য হুমকি হতে পারে। বিশেষ করে চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (BRI)-এর আওতায় বাংলাদেশে অবকাঠামোগত বিনিয়োগ ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ৩. *বাংলাদেশের স্বার্থ ও চীনের প্রভাব:* বাংলাদেশ বহু বছর ধরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে, যা ভারত এখনও কার্যকর করেনি। এই পরিস্থিতিতে চীন যখন তিস্তা প্রকল্পে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়, তখন বাংলাদেশ আগ্রহ দেখায়। ভারত এটিকে চীনের প্রভাব বিস্তারের একটি কৌশল হিসেবে দেখে এবং তাই এই প্রকল্পে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আসল ঘটনা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বর্তমানে তিস্তা নদী ইস্যুতে চীন ও ভারতের মধ্যকার টানাপোড়েন দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। ভারত তার কৌশলগত স্বার্থ রক্ষার জন্য তিস্তা ইস্যুতে বাংলাদেশকে চীনের কাছ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে, তবে বাংলাদেশও তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে চায়। বাংলাদেশের জন্য আদর্শ পরিস্থিতি হবে এমন একটি সমাধান, যেখানে ভারত এবং চীন উভয় দেশই তাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের বাইরে গিয়ে বাস্তবিকভাবে পানি বণ্টন নীতি নির্ধারণ করবে। ভারতের উচিত বাংলাদেশকে ন্যায়সঙ্গত পানি বণ্টনের নিশ্চয়তা দেওয়া, যাতে চীন তিস্তা ইস্যুকে ব্যবহার করে কৌশলগত সুবিধা না নিতে পারে। অন্যদিকে, বাংলাদেশকে চীনের বিনিয়োগ গ্রহণের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে, যাতে আঞ্চলিক উত্তেজনা এড়ানো যায়। অতএব, তিস্তা নদী নিয়ে চীন-ভারত টানাপোড়েন শুধুমাত্র জলসম্পদ ব্যবস্থাপনার সমস্যা নয়, এটি একটি ভূ-রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ইস্যুও বটে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ, ভারত ও চীনের সমন্বয়ে একটি কৌশলগত সমাধান খুঁজে বের করাই হবে সবার জন্য সবচেয়ে লাভজনক পথ।