У нас вы можете посмотреть бесплатно আত্মহত্যা কি।মানুষ নিজেকে কেন আত্মহত্যায় জড়ায়।What is suicide?This Video for you। или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
আত্মহত্যা কি?মানুষ কেন আত্মহত্যা করে। আত্মত্যা থেকে নিজেকে কিভাবে বাঁচাবেন? নেপোলিয়ন বেনাপোর্ট বলেছিলেন, “আত্মহত্যা জীবনের সবচেয়ে বড় কাপুরুষতার পরিচয়।” আসলেই তাই, আত্মহত্যা কখনো সব কিছুর সমাধান নয়। আত্মহত্যা শুধু আমাদের দেহটার মৃত্যু ঘটায়, তবে আসল মৃত্যুটা আপনার আত্মহত্যার পিছনে যে কারণ সে কারণেই হয়ে থাকে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকগণ আত্মহত্যার চেষ্টা করাকে মানসিক অবসাদজনিত গুরুতর উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। পৃথিবীর প্রায় সব ধর্মেই আত্মহত্যাকে পাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশে আত্মহত্যার প্রচেষ্টাকে এক ধরণের অপরাধরূপেই ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশে বিদ্যমান আইনে আত্মহত্যা কোন অপরাধ না হলেও আত্মহত্যার চেষ্টা করা অপরাধ। সম্প্রতিকালে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা আমাদের সমাজে কিছুটা হলেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে যা মোটেও কাম্য নয়। এইসব নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা আমাদের জীবনকে হতাশাগ্রস্থ করে তোলে,এবং আমাদের ঠেলে দেয় আত্মহত্যার মত ভুল সিদ্ধান্তে। আত্মহত্যা কি কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের জীবন বিসর্জন দেয়া বা স্বেচ্ছায় নিজের প্রাণনাশের প্রক্রিয়াবিশেষকে আত্মহত্যা বা আত্মহনন বলে।যিনি নিজেই নিজের জীবন প্রাণ বিনাশ করেন, তিনি আত্মঘাতক, আত্মঘাতী বা আত্মঘাতিকা, আত্মঘাতিনীরূপে আমাদের সমাজে পরিচিত হন। আত্মহত্যার কারণ একজন মানুষ নানা কারণে আত্মহত্যা করতে পারেন এর মধ্যে ব্যক্তিত্ব্যে সমস্যা, গুরুতর মানসিক রোগ বা স্বল্পতার মানসিক, মাদকাসক্তি, এনজাইটি, ডিপ্রেশন অথবা প্ররোচনা ইত্যাদি। এক গবেষণা দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৩৯ দশমিক ৬ জন আত্মহত্যা করে।তাদের মধ্যে গড়ে ৩৫ শতাংশ নারী-পুরুষ তাদের পারিবারিক সমস্যার কারণে আত্মহত্যার পথ বেচেঁ নিচ্ছে।এছাড়াও ২৪ শতাংশ নারী -পুরুষ সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণে আত্মহত্যা করছে। এবং কোন অজানা কারণে আত্মহত্যা করছে এমন মানুষের সংখ্যা ৩২ শতাংশ। আর্থিক ও লেখাপড়ার কারণে আত্মহত্যা করেছে যথাক্রমে ৪ ও ১ শতাংশ মানুষ। বিশ্বে ছেলেদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেশি হলেও বাংলাদেশে এই হার নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সাধারণত কম বয়সী মেয়েদের মধ্যে এর প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। স্বল্পশিক্ষা, দারিদ্র্য, দাম্পত্য কলহের জন্য অনেকে আত্মহত্যা করে। এ ছাড়াও প্রেম-সম্পর্কিত জটিলতা, আর্থিক অনটন, দীর্ঘস্থায়ী রোগ, পারিবারিক দ্বন্দ্ব আত্মহত্যার পেছনের অন্যতম কারণ। গ্রামের সাবসেন্টারে কিংবা উপজেলা হাসপাতালে থাকাকালীন সময়ে অনেক চিকিৎসককে আত্মহত্যার রিপোর্ট লেখতে হয়। আমাদের দেশে বেশির ভাগ নারী পুরুষ আত্মহত্যা করেন কীটনাশক পান করে। তাছাড়া অনেককে গলায় দড়ি পেঁচিয়েও আত্মহত্যা করতে দেখা যায়। এ দৃশ্য অত্যন্ত ভয়াবহ ও হৃদয়বিদারক। আত্মীয়স্বজনদের কান্না আহাজারি আর বিলাপে হাসপাতাল ভারী হয়ে উঠে। প্রতিবছর বাংলাদেশে এক লাখেরও অধিক নারী-পুরুষ আত্মহত্যা করেন। আর বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৮ লাখ পুরুষ ও নারী আত্মহত্যা করে, যা যে কোনো যুদ্ধে নিহতের চেয়েও অনেক বেশি। অর্থাৎ প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১ জন নারী বা পুরুষ আত্মহত্যা করছেন।। বিষণ্নতা-রোগ মুক্ত মানুষের তুলনায় আক্রান্ত ব্যক্তির আত্মহত্যায় মৃত্যুর ঝুঁকি ২০ গুণ বেশি। আপাতদৃষ্টিতে, অন্যদের কাছে আত্মহত্যার কারণ ছোট মনে হলেও এর কারণ ওই মুহূর্তে ওই ব্যক্তির জন্য অনেক বড় কারণ হয়ে সামনে আসে বলেই সে আত্মহত্যার পথকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে বেঁচে নেয়। বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানসিক কারণে বাংলাদেশে বেড়ে যাচ্ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। আত্মহত্যায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী মেয়েরা। বয়োঃসন্ধিক্ষণে আত্মহত্যার প্রবণতা কমিয়ে আনতে শিশুকাল থেকেই মা-বাবার আন্তরিক সাহচর্য থাকার কোন বিকল্প নাই। কিশোর বয়সে ছেলেমেয়েরা বেশী স্পর্শকাতর থাকে। এ সময় অভিভাবক, স্কুল শিক্ষক বা বন্ধুদের কোন আচরণ তাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া করছে কী না, তাদের আচার-আচরণে কোন পরিবর্তন দেখা গেল কী না তার উপর নজর রাখতে হবে। আত্মহত্যা প্রতিরোধে করণীয় আত্মহত্যা প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের পারিবারিক বন্ধনগুলো দৃঢ় করতে হবে আর পরিবারে প্রত্যেকের সঙ্গে গুণগত সময় কাটাতে হবে। পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব সবাইকে একসঙ্গে মানসিকভাবে পাশে থাকতে হবে। শিশুদের মানসিক বিকাশের সময় তাদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা সফলতার মতো ব্যর্থতাকে মেনে নিতে পারে। আত্মহত্যার উপকরণ কেনার সহজলভ্যতা কমাতে হবে যেমন- ঘুমের ওষুধ, কীটনাশক ইত্যাদি। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে। যেকোনো ধরনের মানসিক সমস্যা বা আত্মহত্যার ইঙ্গিত পেলে দ্রুত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। বিষণ্নতা, মাদকাসক্তি, ব্যক্তিত্বের বিকার, সিজোফ্রেনিয়াসহ সব মানসিক রোগের দ্রুত শনাক্ত করা ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। আত্মহত্যার সংবাদ পরিবেশনের সময় গণমাধ্যমগুলোকে সব সময় অনুমোদিত নির্দেশিকা মেনে চলা অতান্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথাগত প্রচারমাধ্যমের পাশাপাশি বিকল্পধারার ইন্টারনেটভিত্তিক প্রচারমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোর ব্যবহারকারীদেরও সতর্কতার সঙ্গে আত্মহত্যার বিষয় নিয়ে মন্তব্য ও ছবি পোস্ট করতে হবে। এখানেও কোনো আত্মহত্যার ঘটনাকে খুব মহৎ করে দেখানোর কোনো ভাবে চেষ্টা করা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোর কর্তৃপক্ষেরও নিজস্ব নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। আত্মহত্যার পেছনে যেসব কারণ দায়ী এসব চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে না পারলে এ প্রবণতা কোনো ভাবে থামানো সম্ভব নই। আত্মহত্যা প্রতিরোধে একটি সার্বক্ষণিক হটলাইন এখন শুধু সময়ের দাবি। আত্মহত্যা একটি প্রতিরোধযোগ্য বিষয়। সঠিক সময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারলে অবশ্যই আত্মহত্যা ঠেকানো যায়। এ জন্য সবাইকে যার যার ক্ষেত্র থেকে একযোগে কাজ করা বড্ড প্রয়োজন। আসুন আমরা আত্মহত্যাকে না বলি। #motivation