Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб Ancient greek political thought main features; প্রাচীন গ্রীসের রাষ্ট্রচিন্তা, মূল বৈশিষ্ট্য। в хорошем качестве

Ancient greek political thought main features; প্রাচীন গ্রীসের রাষ্ট্রচিন্তা, মূল বৈশিষ্ট্য। 4 года назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru



Ancient greek political thought main features; প্রাচীন গ্রীসের রাষ্ট্রচিন্তা, মূল বৈশিষ্ট্য।

ভূমিকা; রাষ্ট্রচিন্তার সূচনা কবে বা কিভাবে হয়েছিল সে সম্পর্কে সঠিক কিছু বলা না গেলেও সুসংবদ্ধ রাষ্ট্রচিন্তা বলতে আমরা যাকে বুঝি তার তার সুত্রপাত প্রাচীন গ্রিসেই হয়েছিল। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে প্রাচীন গ্রীসে রাষ্ট্রচিন্তার সূচনা হয়। রাষ্ট্র, সরকার, নাগরিক প্রভূতি ধারণা হয়তো আগেও ছিল কিন্তু গ্রীকদের চিন্তায় এগুলি প্রথম অর্থবহ হয়ে ওঠে এবং রাজনৈতিক তাঠপর্য লাভ করে। গ্রিকদের কৌতুহলি মনোভব, বাস্তবতার প্রতি আগ্রহ, যুক্তির প্রতি আস্থা এবং সমালোচনার মানুষিকতা রাষ্ট্রচিন্তার উন্মেষে এক অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলেছিল। গ্রীক রাষ্ট্রচিন্তার গুরুত্বপূর্ণ্য বৈশিষ্ট্যগুলি হল । ১) যুক্তিবাদের প্রাধান্য; গ্রীক রাষ্ট্রচিন্তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল দার্শনিকদের যুক্তিবাদিতা। তারা বিশ্বাস করতেন যে, জীবন ও জগৎ যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত, সমাজের প্রতিটি ঘটনার পেছনে যুক্তি অবিরত কাজ করেছে। সমাজের প্রতিটি ঘটনাকে মানুষ যুক্তি দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করার পর সিন্ধান্তে উপনিত হয়। সফিস্ট দার্শনিকরা এব্যাপারে আগ্রহী ভুমিকা গ্রহণ করেছিল। তারা ছিলেন যুক্তির স্বাভাবিক ও সাবলীন গতিতে বিশ্বাসী, ফলে যুক্তি তার স্বাভাবিক পথ ধরে অবশেষে যে সিন্ধান্তে গিয়ে পৌছাবে সেই সিন্ধান্তকেই তারা সত্য হিসাবে গ্রহন করবে। ২) রাষ্ট্রকেন্দ্রিক চিন্তাধারা; প্রাচীন গ্রীসের রাষ্ট্রচিন্তা নগর রাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল এবং আবর্তিত হয়েছিল। সমাজ, রাজনিতি, নাগরিক জীবন, প্রভুতি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হলেও রাষ্ট্রের ওপর তাদের নজর ছিল সর্বাধিক ফলে প্রাচিন গ্রিসের রাষ্ট্রচিন্তা এক অন্য মাত্রা লাভ করে। তাদের মতে রাষ্ট্র হল যুক্তিবাদি চিন্তাধারা ও আচরণের ফসল। রাষ্ট্র একটি স্বাভাবিক প্রতিষ্ঠান। অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উর্দ্ধে রাষ্ট্র অবস্থিত। গ্রীক দার্শনিকরা রাষ্ট্রের জীবতত্ত্ব ও ভাববাদী ধারনায় বিশেষভাবে আস্থাশীল ছিলেন। তাই তারা মনে করতেন রাষ্ট্র একটি নৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং সদ্গুনের প্রতীক। ৩) ব্যাক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী রাষ্ট্রচিন্তা; গ্রীক দার্শনিকরা ছিলেন মানবতাবাদী। তাদের রাষ্ট্রচিন্তার মূলকেন্দ্র মানুষ বা ব্যাক্তি। গ্রীক দার্শনিকরা তাদের চিন্তাধারায় ব্যাক্তিকে একটি বিসেষ স্থান দিতে দ্বিধা করেনি। তাদের মতে, প্রকাশ্যে মতামত ব্যক্ত করা , বিবেকের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করা, প্রভূতি ছিল বিশেষ গুরুত্বপুর্ণ্য । ব্যাক্তিত্বের পুর্ণাঙ্গ বিকাশ হলে জাতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে বলে তারা মনে করতেন। ব্যাক্তি মানুষ সম্পর্কে এই প্রবল আগ্রহের ফলে গ্রীকরা একপ্রকার ব্যাক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী হয়ে পড়েছিল। ব্যাক্তি স্বাধীনতার প্রতি অত্যাধিক আগ্রহবশত আইন শৃঙ্খলার গুরুত্বকে তারা কিছুটা উপেক্ষা করেছেন বলা যায়। যার পরিণতি স্বরূপ প্রাচীন গ্রীসে অরাজকতা প্রকট হয়েছিল। অবশ্য ব্যাক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ প্রাধাণ্য পেলেও রাষ্ট্রীয় সমাজের কথা গ্রীক মননে কখনই অনুপস্থিত ছিলনা। সি এল ওয়েপার এর মতে, গ্রীকদের আগে কোনো মনুষ্যগোষ্ঠী একসঙ্গে ব্যাক্তি-মানুষ ও রাষ্ট্রের প্রতি এতটা গভীর আগ্রহ প্রদর্শন করেনি। ৪) আইন কেন্দ্রীক চিন্তাধারা; শাসক ও শাসিতের মধ্যে সম্পর্ক, বিভিন্ন ব্যাক্তির মধ্যকার সম্পর্ক, সমাজ পরিচালনা ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় গ্রীক দার্শনিকরা আইনি দৃষ্টিতে বিচার বিবেচিনা করেছেন। ফলে সমাজের সকল স্তরে আইনের আধিপত্য লক্ষ্য করা যেত। আইন সম্পর্কে গ্রিকদের এই ধারণা বিভিন্ন পর্যায়ে গড়ে ওঠে। হোমার ও হেসিয়ডের সাহিত্যে আইনকে ধর্মের সাথে যুক্ত করা হয়েছিল। আইন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রথা ও ঐতিহ্যের ওপর। পরবর্তীকালে যখন রাজতন্ত্রের জায়গায় অভিজাততন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় তখন আইনের ধর্মীয় ধারণা দুর্বল হয়ে পড়ে। গ্রীকরা লিখিত আইনের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়। স্পার্টায় লাইকারগাস এর আইন গড়ে উঠল। এথেন্সে সোলন ড্রেকোর আইন সংস্কারের মাধ্যমে মনুষ্যসৃষ্ট আইনের ওপর জোর দেয়। এইভাবে আইনের ধর্মনিরপেক্ষীকরন ঘটানো হয়। ৫) মৌলিকতা ও রক্ষণশীলতা; মৌলিকতা ও রক্ষনশীলতা গ্রীক রাষ্ট্রচিন্তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রাচীন গ্রীসের রাষ্ট্রচিন্তা যুগধর্মকে অতিক্রমকে করে যেতে পারেনি। এই কারনেই প্লেটোর মত দার্শনিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখাকে সুবিচারের অন্যতম মানদন্ড বলে মনে করেছেন বা অ্যারিস্টটল ক্রিতদাস প্রথার সংরক্ষণে সোচ্চার হয়েছেন। কিন্তু একথাও ভুললে চলবেনা যে গ্রীক দার্শনিকরাই প্রথম বলেছিলেন শ্রেণীগত অবস্থানের ওপর রাষ্ট্রের রূপ বিচার করা সম্ভব। শাসক শ্রেণীর আধিপত্য সম্পর্কে প্লেটোর পক্ষপাতিত্ব ছিল সন্দেও নেই, কিন্তু শাসক শ্রেণীর নৈতিক ও মানসিক উৎকর্ষ, ত্যাগের আদর্শ, কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলার জীবন যে আদর্শ রাষ্ট্র পরিচালনার মানদন্ড – প্লেটোর রাজনীতি সচেতন চিন্তাধারাই এই কথা আমাদের প্রথম জানিয়েছে। এছাড়া গ্রীক রাষ্ট্রচিন্তার অন্যান্য বৈশিষ্ট্য হিসাবে সমন্বয়মূলক চিন্তাধারা, নৈতিকতা, ন্যায়বিচারের প্রাধান্য প্রভুতির কথা বলা যেতে পারে।

Comments