У нас вы можете посмотреть бесплатно ৩৯ তম ক্লাস l কোয়ান্টাম ফিজিক্স ও দর্শন: বিজ্ঞান ও জ্ঞানতত্ত্বের সংযোগ l Quantum l Dr.Liaquat Ali или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
বিজ্ঞানের ইতিহাসে এমন কিছু মুহূর্ত রয়েছে যা মানবচিন্তার ধারাকেই পাল্টে দিয়েছে। সতেরো শতকের শেষ ভাগ থেকে প্রায় তিন শতাব্দী জুড়ে নিউটনিয়ান ফিজিক্স ছিল বিজ্ঞানের অবিসংবাদিত ভিত্তি। এই সময়ে বিশ্বকে দেখা হচ্ছিল এক ধরনের যান্ত্রিক ব্যবস্থার মতো, যেখানে প্রতিটি ঘটনার একটি নিশ্চিত কারণ আছে এবং প্রতিটি ফলাফল অনিবার্যভাবে নির্ধারিত। এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিচিত “সায়েন্টিফিক ডিটারমিনিজম” নামে। নিউটনিয়ান ধারা ও ডিটারমিনিজম স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্রাবলি বিজ্ঞানের জগতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। গ্রহ-নক্ষত্রের গতিপথ থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের নানা ঘটনা—সবকিছুই যেন তার সূত্রে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। এর ফলে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে বিশ্বজগৎ সম্পূর্ণভাবে পূর্বনির্ধারিত এবং নিখুঁতভাবে ভবিষ্যদ্বাণীযোগ্য। যদিও নিউটন নিজে এই দৃষ্টিভঙ্গির পূর্ণ সমর্থক ছিলেন না, তবুও পরবর্তী কালে তাকে অনেকটা দার্শনিক রূপে উপস্থাপন করা হয়েছিল। আলোর রহস্য ও নতুন সূচনা উনিশ শতকের শেষ দিকে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান যে আলোর প্রকৃতি কেবল তরঙ্গ বা কণা—কোনও একক ধারণায় সীমাবদ্ধ নয়। ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক তাঁর কোয়ান্টাম হাইপোথিসিসের মাধ্যমে দেখান যে শক্তি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার মতো প্যাকেট আকারে নির্গত হয়। এই আবিষ্কার ছিল ডিটারমিনিজমের গড়ন ভাঙার প্রথম ধাপ। পরবর্তীতে আইনস্টাইন আলোর কণাগত বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করে বৈজ্ঞানিক জগতে আরও আলোড়ন তোলেন। কোয়ান্টাম জগত ও সম্ভাবনার রাজত্ব কোয়ান্টাম ফিজিক্স ধীরে ধীরে এক নতুন দর্শনের সূচনা করে, যেখানে নিশ্চিত সত্যের বদলে সম্ভাবনা বা প্রোবাবিলিটি মুখ্য হয়ে ওঠে। পরমাণু ও উপপরমাণবিক কণার জগতে কোনও কণার সুনির্দিষ্ট অবস্থা আগে থেকে নির্ধারণ করা যায় না; কেবল সম্ভাবনা হিসেবেই তাকে বর্ণনা করা সম্ভব। এর মাধ্যমে বিজ্ঞান একেবারে নতুন ধারা গ্রহণ করে, যেখানে অনিশ্চয়তা বা “ইনডিটারমিনিজম”-কেই মৌলিক সত্য হিসেবে মেনে নেওয়া হয়। শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল : এক প্রতীকী চিত্র এই নতুন ভাবনাকে সহজভাবে বোঝাতে পদার্থবিদ এরভিন শ্রোডিঙ্গার তাঁর বিখ্যাত “ক্যাট প্যারাডক্স” প্রস্তাব করেন। তাঁর চিন্তানির্ভর পরীক্ষায় দেখা যায়, একটি বিড়াল একই সঙ্গে জীবিতও হতে পারে আবার মৃতও হতে পারে—যতক্ষণ না কেউ তাকে পর্যবেক্ষণ করছে। অর্থাৎ পর্যবেক্ষণই নির্ধারণ করে বাস্তবতা কোন পথে যাবে। সাধারণ অভিজ্ঞতার জগতে যেখানে কেবল একটি ফলাফল সত্য হয়, কোয়ান্টাম জগতে একাধিক সম্ভাবনা একসঙ্গে সহাবস্থান করে। এইভাবে নিউটনিয়ান ডিটারমিনিজম থেকে কোয়ান্টাম প্রবাবিলিজমে বিজ্ঞানের যাত্রা কেবল পদার্থবিজ্ঞানের গতিপথই পাল্টে দেয়নি; বরং সত্য ও বাস্তবতা সম্পর্কে আমাদের দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গিও আমূল পরিবর্তিত করেছে। আজও কোয়ান্টাম মেকানিক্সের নানা প্রশ্ন অমীমাংসিত, কিন্তু তবুও এটি আমাদের শিখিয়েছে—বিশ্বব্রহ্মাণ্ড হয়তো কোনও নির্দিষ্ট নিয়মের খাঁচায় বন্দি নয়, বরং সম্ভাবনার অসীম খেলাঘরে প্রসারিত। #QuantumPhysics #কোয়ান্টামফিজিক্স #QuantumMechanics #SchrodingersCat #Einstein #Newton #MaxPlanck #PhilosophyOfScience #জ্ঞানতত্ত্ব #দর্শনেরইতিহাস #ProbabilisticUniverse #DeterminismVsIndeterminism #QuantumTheory #PhysicsAndPhilosophy #PopularScience #BanglaScienceVideo #QuantumUniverse #BanglaPhilosophy #ScienceInBangla #QuantumEpistemology