У нас вы можете посмотреть бесплатно এরিস্টটলের জীবণী । Biography of Aristotle in Bengali или скачать в максимальном доступном качестве, которое было загружено на ютуб. Для скачивания выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
এরিস্টটল বিশ্ববিখ্যাত গ্রিক বিজ্ঞানী ও দার্শনিক। তাঁকে প্রাণিবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। অ্যারিস্টটল খ্রিষ্টপূর্ব তিনশো চুরাশি সালে থারেস উপকূলবর্তী স্টাগিরাস নামক এক গ্রিক উপনিবেশে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা নিকোম্যাকাস ম্যাসিডোনিয়ার রাজা আমিন্টাসের রাজসভায় গৃহচিকিৎসক ছিলেন। এ চিকিৎসা ব্যবসায়ই তাদের পরিবারিক জীবিকা উপার্জনের একমাত্র উপায় ছিল। তার পিতার প্রেরণায় তিনি ডাক্তার হবার চেষ্টা করেছিলেন। জীবনের শুরু থেকেই মেসিডোনিয়ার রাজসভার সাথে সম্পর্ক থাকা, তার ভবিষ্যৎকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। এরিস্টটলের শৈশবেই তার পিতা নিকোমেকাস মারা যান। পিতা মারা যাওয়ার পর অভিভাবক হিসেবে প্রোক্সেনাস তাঁকে লালনপালন করেন। অ্যারিস্টটল সতেরো-আঠারো বছর বয়সে এথেন্সে প্লেটোর একাডেমিতে যোগ দেন। এথেন্স তখন বিশ্বে জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে গণ্য হত। সেখানে তিনি প্লেটোর একাডেমিতে সরাসরি প্লেটোর অধীনে প্রায় বিশ বছর শিক্ষা গ্রহণ করেন। খ্রিষ্টপূর্ব তিনশো সাতচল্লিশ সালে প্লেটোর মৃত্যুর পর অ্যারিস্টটলই একাডেমির প্রধান হবার যোগ্য ছিলেন। কিন্তু প্লেটোর দর্শনের সাথে অ্যারিস্টটলের নিজের দর্শনের কিছুটা দূরত্বের দরুন প্লেটোর আত্মীয় স্পিউসিপ্পাসকে একাডেমির প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। প্লেটোর মৃত্যুর কিছুদিন পর অ্যারিস্টটল এথেন্স ত্যাগ করেন। এরপর অ্যাটারনিয়াস এর শাসক হারমিয়াসের আমন্ত্রণে অ্যারিস্টটল সেখানে যান। তিনি সেখানে তিন বছর থাকেন এবং রাজার ভগ্নি পিথিয়াসকে বিয়ে করেন। পরবর্তী জীবনে তিনি আর একজন নারী হারপিলিসকে বিয়ে করেন এবং তাদের এক ছেলে সন্তান জন্ম হয়। তিন বছর সেখানে থাকার পর অ্যাটারনিয়াস পারস্য সম্রাট দখল করে নেয় এবং অ্যারিস্টটল মাইটিলেনি চলে যান। তারপর ম্যাসিডোনিয়ার রাজা দ্বিতীয় ফিলিপের অনুরোধে খ্রিষ্টপূর্ব তিনশো তিতাল্লিশ অব্দ থেকে আলেকজান্ডারকে শিক্ষাদান শুরু করেন। আলেকজান্ডার হলেন দ্বিতীয় ফিলিপের ছেলে। অ্যারিস্টটল যখন আলেকজান্ডারকে শিক্ষাদান শুরু করেন, তখন আলেকজান্ডারের বয়স ছিল তেরো বছর। রাজা দ্বিতীয় ফিলিপ এবং আলেকজান্ডার উভয়েই অ্যারিস্টটলকে পরম শ্রদ্ধা করতেন। অ্যারিস্টটল পাঁচ বছর আলেকজান্ডারকে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাদান করেন। ফিলিপের মৃত্যুর পর আলেকজান্ডার রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করেন এবং অ্যারিস্টটল এথেন্স ফিরে যান। প্লেটোর মৃত্যুর পর তিনি এবারই প্রথম এথেন্স আসেন। এথেন্সে এসে তিনি দেখলেন প্লেটোর একাডেমিতে প্লেটোনিজমের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে এবং এথেন্সের প্রধান দর্শন এখন প্লেটোনিজম। ফলে তিনি লাইসিয়াম নামক এলাকায় নিজের স্কুল "লাইসিয়াম" প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী তের বছর তিনি শিক্ষকতা ও তার দর্শন প্রচার করে কাটান। তিনি দিনে তার ঘনিষ্ঠ ছাত্রদের জন্য ও রাতে এথেন্সের সাধারণ জ্ঞানপিপাসু জনগণের জন্য লেকচার দিতেন। খ্রিষ্টপূর্ব তিনশো তেইশ সালে আলেকজান্ডারের অকাল মৃত্যুতে এথেন্সের সরকারকে উৎখাত করা হয়। তখন অ্যারিস্টটলের উপর ধর্মীয় বিশ্বাসহানিতার অভিযোগ আনা হয়। শাস্তি থেকে রক্ষা পাবার জন্য তিনি দ্রুত ইউবোয়ার ক্যালসিসে চলে যান। তিনি ভয় করছিলেন তার অবস্থাও যেন প্লেটোর শিক্ষক সক্রেটিসের মতো না হয়। ক্যালসিসে গিয়ে প্রথম বছরই তিনি পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হন এবং খ্রিষ্টপূর্ব তিনশো বাইশ সালে বাষোট্টি বছর বয়সে অ্যারিস্টটল এর মৃত্যু হয়।