বনি ইসরাইল ইতিহাস খুব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। ওস্তাদ আবু তোহা মোহাম্মদ আদনান।প্রথম শুনলে কমেন্ট করুন। скачать в хорошем качестве

বনি ইসরাইল ইতিহাস খুব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। ওস্তাদ আবু তোহা মোহাম্মদ আদনান।প্রথম শুনলে কমেন্ট করুন।

ফিলিস্তিনের ইতিহাস আমাদের জানা অনেক প্রয়োজন সারাক্ষণ তো মোবাইল দেখি একটু সময় নিয়ে ভালো ভাবে জেনে নি ইতিহাস। ইব্রাহিম (আঃ) এর দুই সন্তান ১.ইসমাইল (আ:)→ এই বংশে জন্ম সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। ২.ইসহাক (আ:) [ইসহাক (আ:) এর সন্তান ইয়াকুব (আঃ)] ইয়াকুব (আঃ) আরেক নাম {ইসরাইল (আঃ), এর অর্থ আল্লাহর বান্দা } [১২ ছেলে ] ১.ইয়াহুদা{হযরত দাউদ (আঃ),হযরত সুলাইমান (আঃ), হযরত ঈসা (আঃ), হযরত যাকারিয়া (আঃ)‌,হযরত ইয়াহিয়া (আঃ)} ২.সিমোন ৩.লেভি{হযরত হারুন (আঃ),হযরত মূসা (আঃ),হযরত ইলিয়াস(আঃ),হযরত আলাইসা (আঃ)} ৪.রেউবেন ৫.দান ৬.নাফতালি ৭.গাদ ৮.আশের ৯.ইসসাচার ১০.জেবুলুন, [২ জন ] ১১.ইউসুফ (আঃ)। ১২.বেনিয়ামিন{হযরত ইউনুস (আঃ)} {বড় ছেলে:ইয়াহুদা} সবচেয়ে বেশি বনি ইসরাইলের মধ্যে বংশধর বৃদ্ধি হয়েছে, ইয়াকুব(আঃ) এর বড় ছেলে ইয়াহুদার বংশ থেকে,অন্য ভাইদের বংশ ছোট হতে হতে সবাই এই বংশের নামে চলেছে। কিছু অল্প সংখ্যায় ছিল ভালো বাকি সব ইয়াহুদী । যে বুদ্ধি দিয়েছিল অন্য ৯ ভাইকে ইউসুফ (আঃ) কে কুয়ায় পেলে দেয়ার, কুবুদ্ধি পূর্ণ এই সেই বড় ভাই ইহুদা তার বংশের বেশি আজ সেই জালিম তখন থেকে আমাদের ভাইয়েদের রক্ত নিয়ে খেলতেছে। তারা আজকে নয় শুধু, তারা ইউসুফ (আঃ) থেকে শুরু করেছিল, তাদের হেদায়েত এর জন্য ঈসা (আঃ) নবী পর্যন্ত ১ লক্ষের অধিক নবী পাঠিয়েছেন বনি ইসরাইল বংশে আল্লাহ । আমরা তো আজ দেখতেছি মানুষ মারতেছে কিন্তু এই জালেমরা শত শত নবীকে জবাই করে মেরে পেলেছে এরা এমন ঘৃণিত জাতি, তাদের এইসবে বুক কাপেনা। যে মূসা (আঃ) কে আজরাইল ভয় পেয়েছে তাকেও এই জাতি যন্ত্রণা দিয়ে ছাড়ছে। ইয়াহুদী : তাদেরকে আল্লাহ সুখেও রাখছে দুঃখে রাখছে কিন্তু তারা সবসময় নাফরমানি করছে। তাদের যখন আল্লাহ ধন সম্পদ দিছে তারা তখন বলা শুরু দিছে আল্লাহ ফকির আমরা ধনী (নাউজুবিল্লাহ)। যখন তাদের ফকির করে দিয়েছে তখন তারা বলা শুরু দিছে আল্লাহর হাত ছোট হয়ে গেছে আল্লাহর কাছে নাই আমাদের দিবে কোথায় থেকে(নাউজুবিল্লাহ)। তারা এমন নিকৃষ্ট, বেহায়া, জালিম,অবাধ্য তেড়া জাতি। হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগ: নবী (সা:) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত এর সময় মদিনায় ইয়াহুদীদের তিনটা বড় গোএ ছিল ১.বনু কাইনুকা ২.বনু নাজির ৩.বনু কুরাইযা নবী (স:) তিন বার যুদ্ধ করে তাদের মদিনা থেকে বিতাড়িত করছে তখন তারা আশ্রয় নিয়ে আরবের আরেক জায়গা (খাইবারে), এরপর নবীজি ৭ম হিজরিতে খাইবার বিজয়ের মধ্যে দিয়ে তাদেরকে সেখান থেকে বিতাড়িত করছে,এরপর অনেক পুরুষ মারা গেছে সে যুদ্ধে বাকি মহিলারা কিছু পুরুষ পালিয়ে আরবের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ক গেছে, এরপর হযরত ওমর (রা:) যখন মুসলমানদের ২য় খলিফা হলেন তখন ওমর (রা:) ঘোষণা দিনের পুরা আরব সিমান্ত থেকে তাদের বাহির করতে তখন তাদের পুরো আরব সিমান্ত থেকে বের করে দেয়া হলো, সে সময় তারা গিয়েছে ইউরোপে কারণ ইউরোপিয়ানরা খ্রিস্টান, বহুদিন ধরে সেখানে বসবাস করতে শুরু করল । কিভাবে তারা ইসরাইল দেশ গঠন করলো: ইসলামের ৪ টা খেলাফত প্রসিদ্ধ ছিল। ১.খেলাফতে রাশেদা ২.উমাইয়া খেলাফত ৩.আব্বাছি খেলাফত ৪.উসমানি খেলাফত ১৯২০ খৃস্টাব্দে সর্বপ্রথম উসমানী খেলাফত /তুর্কি খেলাফত শেষ হয়। তখন পুরো পৃথিবীতে শুরু হলো সেকুলারিজম, ইউরোফিয়ানরা মত দিল পৃথিবীতে সব ধর্ম যে যার মতো স্বাধীন ধর্ম পালন করতে পারবে। সেকুলার শাসকদের মতবাদ দিল যে যার মতো আমাদের অঞ্চলে বসবাস করতে পারবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে। এই সেকুলার শাসক ছিল মিসর, সিরিয়া, ইরাক, ফিলিস্তিন এই আঞ্চলের শাসকরাই সেকুলার শাসক, তাদের মতবাদ ছিল ধর্ম নিরপেক্ষ মতবাদ কেউ কারে প্রতি জুলুম করতে পারবে না যে যার মতো করে থাকুক ।তারপর থেকে ইয়াহুদীরা সেকুলার শাসকদেরকে ১৯০৯ সাল হতে কোনো রকম হাতে পায়ে ধরে একটা জায়গা খুজা শুরু দিয়েছে। আশ্রিতা হয়ে থাকার জন্য সেকুলারদের বললো আমাদেরকে (বর্তমান) বাইতুল মুকাদ্দাছ জেরুজালেমের পাশে ফিলিস্তরের আঞ্চলে অনেক জায়গা খালি পড়ে আছে আমাদের কাছে কিছু জমি যেন সেখানের মালিকরা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে তাদের থেকে কিনে নিবো কোনো রকম ঘর বাড়ি তুলে থাকবো এই বলে তারা কিনতে কিনতে আস্তে আস্তে ১৯০৯ থেকে ১৯৪৭ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত টানা ৩৭ বছর জমি কিনছে। সব ইয়াহুদী সেখানে গিয়ে উঠে । ১৯৪৮ সালে একদিন ইয়াহুদীরা সবাই একসংজ্ঞা হয়ে বলতে শুরু দিছে এটা আমাদের দেশ নাম দিল ইজরাইল। সবাই তখন অবাক হয়ে গেল এটা তাদের দেশ কিভাবে হয় এটাতো মুসলমানদের ভুমি এটা সাহাবায়ে কেরামদের বিজয় করা ভূমি এটাতো রাসুল (সা:) এর সাহাবি আবু উবাইদা আরো অনেক সাহাবি মিলে আবু উবাইদা নেতৃত্বে বিজয় করা ভূমি। এটা তো মদিনা থেকে উটের পিঠে/পাশে পায়ে হেঁটে আসে খলিফাতুল মুসলিমিন ওমর (রা:) বিজয়ের কাগজে স্বাক্ষর করেছেন ফিলিস্তিন মুসলমানের ভূমি, (১৯০৯ তারও আগে)। তাহলে তাদের দেশ কোথা থেকে আসলে সে ১৯৪৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৭৬ বছর ফিলিস্তিন মুসলমানের প্রাণের দাবি এটা মুসলমানদের ভূমি এটা সাহাবায়ে কেরামের রক্তঝরা বিজয় করা ভূমি এটা ইজরায়েল কোন দেশ হতে পারে না এই দাবিতে তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আঁকড়ে ধরে আছে মুসলমানরা। আমাদের সম্পৃক্ততা কি : ইয়াহুদীদের ধর্মগুরু ইয়াহুদীদের বলে আমাদের শুধু ফিলিস্তিন দখল করে শেষ হবে না আমরা ফিলিস্তিন থেকে শুরু করে মদিনা পর্যন্ত দখল করতে হবে, অনেক আগে মুসলমানদের নবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা থেকে আমাদের বাহির করে দিয়েছিল আমাদের পূর্ব পুরুষদের এখন তাই আমরা আবার মদিনা দখল করবো। এটাই ইয়াহুদীর লক্ষ্য এখন। (সুলতান নুরউদ্দিন জংগী (রা:) জামানায় মদিনা থেকে হযরত মুহাম্মদ (সা:) লাশ মোবারক ইয়াহুদীরা ছুরি করতে চেষ্টা করেছে😭 তারা চায় মুসলমানদের এই গুরুত্বপূর্ণ ঈমানের জায়গা ভালোবাসা জায়গা চিনিয়ে নিতে ) আমাদের তাই এই ইয়াহুদীদের বিপক্ষে কথা বলা প্রতিবাদ করা দায়িত্ব কর্তব্য প্রয়োজনে জীবন লাগলে জীবন দিতে প্রস্তুত থাকা জরুরী। বর্তমানে ফিলিস্তিনের ৭৮%+ ইয়াহুদীদের দখলে -২২% মুসলমানদের তাই সময় বেশি নাই যে আঘাত আজ আমার ভাইয়ের উপর হচ্ছে