У нас вы можете посмотреть бесплатно হায় হায় একি কান্ড! ছেলে থেকে মেয়ে, তারপর বিয়ে তারপর সংসার! এ কেমন দুনিয়া??? или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
হায় হায় একি কান্ড! ছেলে থেকে মেয়ে, তারপর বিয়ে তারপর সংসার! এ কেমন দুনিয়া??? #ছেলে থেকে মেয়ে #পুরুষ থেকে মহিলা #ছেলে থেকে মেয়ে হয়ে গেলেন ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট তৃতীয় লিঙ্গকে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ তারপর থেকে ক্রমশ সমাজের মূল স্রোতে গ্রহণীয় হয়ে উঠছেন তাঁরা৷ বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠান ঘিরেও ভাঙছে অচলায়তন৷ দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের অনীক দত্ত ওরফে অ্যানির বিয়েতে এবার পশ্চিমবঙ্গ সাক্ষী থাকলো রূপান্তরকামী বিয়ের৷ মডেলিংয়ের সূত্রে আলাপ হওয়া একটি সম্পর্কের পরিণতি ছাদনাতলা৷ এমনটাই জানা গেল অ্যানির সঙ্গে জলপাইগুড়ির সাগ্নিক চক্রবর্তীর বিয়ের আসরে৷ তাঁদের দু বছর আগের সেই সম্পর্ক পরিণতি পেলো বিয়েতে৷ বিয়েটা সমাজের চোখে কেমন দাঁড়াবে বা পরিবার কী ভাবতে পারে ইত্যাদির মধ্যে না গিয়ে তিনি সরাসরি মণ্ডপেই ধরলেন রূপান্তরকামী অ্যানির হাত৷ বউভাতের আসরে পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাগ্নিক চক্রবর্তী পরিষ্কার বললেন, ‘‘সবকিছু আমি জানতাম৷ ও যে রূপান্তরকামী এটা জেনেও ওর সঙ্গে প্রেম করি৷ তবে নতুন সম্পর্কে প্রবেশের জন্যই কি লিঙ্গ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত অ্যানির? অ্যানি জানালেন, কারো জন্যে তিনি পুরুষ থেকে নারী হননি৷ নববধূর সাজে তিনি বলেন, ‘‘আমার শরীরটা পুরুষের ছিল, কিন্তু মনটা ছিল নারীর৷ আত্মাকে কেউ বদলাতে পারে না৷ শরীরটাকে বদলানো যায়৷ শরীর ও আত্মাকে মিলিত করার জন্য অনীক থেকে অ্যানি হয়েছি৷ সাগ্নিকের সঙ্গে সম্পর্কের আগেই আমি লিঙ্গান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ আমাদের সম্পর্কের জন্য নয়৷ নিজেকে সম্পূর্ণ করার জন্যই আমার এই সিদ্ধান্ত৷'' আর পাঁচজন রূপান্তরকামীর মতোই তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা৷ তিনি বলেন, ‘‘অতীতে ভালো-খারাপ দু রকমের অভিজ্ঞতাই আছে৷ আমি ছেলেদের স্কুলে পড়েছি৷ ফলে টিটকিরি শুনতে হয়েছে৷ কিন্তু শিক্ষকেরা ভীষণ সাহায্য করেছেন৷ অবশ্যই কলেজের সিনিয়র এবং বন্ধুদের কথাও বলতে হয়৷'' অ্যানি একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন৷ পাশাপাশি তিনি একজন সুদক্ষ মেক-আপ আর্টিস্ট এবং নৃত্যশিল্পী৷ তিনি স্বনির্ভর৷ রূপ পরিবর্তনের পথে নিজের অস্ত্রোপচারের খরচ নিজেই বহন করেছেন৷ অ্যানি মনে করেন না বিয়েটাই জীবনের সব৷ ক্যারিয়ার এবং পায়ের তলার মাটিটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ এই দুটিতে সাফল্য এলে তবেই স্বপ্নপূরণ ঘটবে৷ সমাজে তৃতীয় লিঙ্গের অবস্থান কোথায়? সেই নিরিখে অ্যানির বিয়ে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? রূপান্তরকামী আন্দোলনের সংগঠক বলেন, ‘‘আমাদের পিতৃতান্ত্রিক সমাজে যেখানে মেয়েদেরই সম্মান নেই, সেখানে রূপান্তরিত মানুষেরা কীভাবে জায়গা পাবে? গ্রামাঞ্চলে এখনো তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ঢিল ছুঁড়ে মারা হয়৷ সেদিক থেকে অ্যানিকে সাধুবাদ দিতে হয়৷'' খোলামেলা আলাপচারিতার এক পর্যায়ে জানালেন, ‘‘আমাদের সকলেরই কাজ সেরে ঘরে ফিরতে ভালো লাগে৷ সেজন্য সংসারের চাহিদাও স্বাভাবিক৷ কিন্তু সংসারের ভাগ্য সকলের হয় না৷ আমার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের একজন পুরুষের সম্পর্ক ছিল৷ কিন্তু সমাজের চাপে তিনি মেনে নিতে পারেননি৷ এদিকে আমিও লিঙ্গ পরিবর্তন করিনি, তাই বিয়ের মতো সম্পর্কে প্রবেশ করা হয়নি আমার৷ সাগ্নিককে অবশ্যই সাধুবাদ জানাতে হয়৷ এই সাহস কতজনের থাকে ?'' অন্যদিকে সাগ্নিক বলেন, ‘‘এই প্রেমের জন্য আমি শেষ অবধি দেখতে চেয়েছি৷ তাই দেখেওছি৷ সকলেরই তাই করা উচিত৷ তবে আমার বিয়েতে কোনো প্রতিবন্ধকতা আসেনি৷ বিষয়টা আমাকে অবাক করেছে৷ বাড়িতে কথাটা বলার সঙ্গে সঙ্গে বাবা তাতে মত দিয়েছিলেন৷ মায়ের কিছু প্রশ্ন ছিল, সেটা বুঝিয়ে বলার পর তিনিও মত দেন৷