অসুস্থতা থেকে মুক্তি লাভের পরীক্ষিত আমল | মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী | Mustakunnabi Kasem скачать в хорошем качестве

অসুস্থতা থেকে মুক্তি লাভের পরীক্ষিত আমল | মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী | Mustakunnabi Kasem

অসুস্থতা থেকে মুক্তি লাভের পরীক্ষিত আমল। ​আল্লামা মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী Mustakunnabi Kasemi waz new waz 2024 তাহাজ্জুদ পড়ার ফজিলত তাহাজ্জুদ অন্তর ও আত্মার শক্তি সঞ্চয়ের শক্তিশালী মাধ্যম। প্রাণহীন হৃদকে সজীব করার এক শ্রেষ্ঠতম উপায়। আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার এক অনন্য মধ্যম সালাতুত তাহাজ্জুদ। ফরজ নামাজের পরে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ নামাজ তাহাজ্জুদের নামাজ। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজ হচ্ছে রাতের নামাজ।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৬৪৫) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদত করবে। কারণ এটা তোমাদের আগের নেক লোকদের অভ্যাস।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬১৯) কোরআনে কারিমে তাহাজ্জুদ আদায়কারীদের বিশেষ গুণে আল্লাহ তাআলা ভূষিত করেছেন। যেমন— ১. রহমানের বান্দা : তাহাজ্জুদ আদায়কারী মুমিনদের ইবাদুর রহমান তথা রহমানের বান্দা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং যারা রাত অতিবাহিত করে নিজ প্রতিপালকের সামনে (কখনো) সিজদারত অবস্থায় এবং (কখনো) দণ্ডায়মান অবস্থায় (তারা রহমানের বান্দা)।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ৬৪) ২. আল্লাহভীরু : তাহাজ্জুদ আদায়কারী ব্যক্তি তাকওয়ার শক্তিতে বলীয়ান। আল্লাহ বলেন, ‘মুত্তাকিরা অবশ্যই উদ্যানরাজি ও প্রস্রবসমূহের ভেতর থাকবে। তাদের প্রতিপালক তাদের যা কিছু দেবেন, তারা তা উপভোগ করতে থাকবে। তারা তো এর আগেই সৎকর্মশীল ছিল। তারা রাতের অল্প সময়ই ঘুমাত। এবং তারা সাহরির সময় ইস্তিগফার করত।’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ১৫-১৮) ৩. তাদের পুরস্কার প্রশংসিত স্থান : তাহাজ্জুদ আদায়কারীরা কিয়ামতের দিন প্রশংসিত স্থানে অধিষ্ঠিত হবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, “রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়বে, যা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত ইবাদত। আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে ‘মাকামে মাহমুদ’-এ পৌঁছাবেন।” (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৭৯) ৪. আল্লাহর অনুগত বান্দা : যারা তাহাজ্জুদ আদায় করে তাদের আল্লাহ তাআলা অনুগত বান্দা হিসেবে কোরআনে উল্লেখ করেছেন। এবং তারা জ্ঞানের অধিকারী বলেছেন। তবে কি (এরূপ ব্যক্তি সেই ব্যক্তির সমতুল্য হতে পারে,) যে রাতের মুহূর্তগুলোতে ইবাদত করে, কখনো সিজদাবস্থায়, কখনো দাঁড়িয়ে, যে আখিরাতকে ভয় করে এবং নিজ প্রতিপালকের রহমতের আশা করে? বলো, যারা জানে আর যারা জানে না উভয়ে কি সমান? (কিন্তু) উপদেশ গ্রহণ তো কেবল বোধসম্পন্ন ব্যক্তিরাই করে। (সুরা : জুমার, আয়াত : ৯) ৫. রোগ প্রতিষেধক : তাহাজ্জুদের নামাজ শরীর থেকে রোগ-ব্যাধি দূর করে। বিশেষ করে অলসতা আর অক্ষমতা হতে মুক্তি লাভ করে। বিলাল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের রাতের নামাজ (তাহাজ্জুদ) প্রতিষ্ঠা করা উচিত। কেননা, এ হলো তোমাদের পূর্ববর্তী নেককারদের অবলম্বিত রীতি। রাতের নামাজ আল্লাহর নৈকট্যলাভ ও গুনাহ থেকে বাঁচার উপায়; মন্দ কাজের কাফফারা এবং শারীরিক রোগের প্রতিরোধক।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৯) হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'ফরজ নামাজের পর সব নফল নামাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো তাহাজ্জুদ নামাজ তথা রাতের নামাজ।' (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ) এশার নামাজ আদায়ের পর থেকে সুবহে সাদিক অর্থাৎ ফজরের ওয়াক্তের আগ পর্যন্ত সালাতুল লাইল বা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া যায়। তবে অর্ধ রাতের পর থেকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া ভালো। শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা সর্বোত্তম। তাহাজ্জুদ নামাজ ২ থেকে ১২ রাকায়াত পর্যন্ত পড়ার বর্ণনা পাওয়া যায়। সর্ব নিম্ন ২ রাকায়াত আর সর্বোচ্চ ১২ রাকাআত। রাসুলুল্লাহ (সা.) ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ পড়তেন। তাই ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ পড়াই ভালো। তবে এটা পড়া আবশ্যক নয়। সম্ভব হলে ১২ রাকাআত তাহাজ্জুদ আদায় করা। তবে ৮ রাকাআত আদায় করা উত্তম। সম্ভব না হলে ৪ রাকাআত আদায় করা। যদি তাও সম্ভব না হয় তবে ২ রাকাআত হলেও তাহাজ্জুদ আদায় করা ভালো। তবে তাহাজ্জুদ নামাজের কোনো কাজা নেই। তাহাজ্জুদ গুনাহ মিটিয়ে দেয় এবং মানুষকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে। হযরত আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত। রাসুল কারীম (সা.) বলেন- عَلَيْكُمْ بِقِيَامِ اللّيْلِ فَإِنّهُ دَأَبُ الصّالِحِينَ قَبْلَكُمْ، وَهُوَ قُرْبَةٌ إِلَى رَبِّكُمْ، وَمَكْفَرَةٌ لِلسّيِّئَاتِ، وَمَنْهَاةٌ لِلإِثْمِ. তোমরা কিয়ামুল লাইলের প্রতি যত্নবান হও। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী সালেহীনের অভ্যাস এবং রবের নৈকট্য লাভের বিশেষ মাধ্যম। আর তা পাপরাশী মোচনকারী এবং গোনাহ থেকে বাধা প্রদানকারী। -জামে তিরমিযি, হাদীস ৩৫৪৯ তাহাজ্জুদের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও নৈকট্য লাভ করেন। দিনের নামাজ আদায় করলে প্রকাশ্য সদকা হয়। আর তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করলে গোপন সদকা হয়। তাহাজ্জুদের নামাজ বান্দাকে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে মুক্ত রাখতে সক্ষম করে। এ ছাড়া শত্রুর ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাহাজ্জুদের গুরুত্ব রয়েছে। তাহাজ্জুদ নামাজে রাসুল (সা.)–এর সুন্নতের অনুসরণ তো হয়ই, এতে আত্মারও উন্নয়ন হয়। #রিজিক_বৃদ্ধির_শ্রেষ্ঠ_আমল #তাহাজ্জুদ_নামাজের_ফজিলত #রিজিক_বৃদ্ধির_কার্যকর_দোয়া_ও_আমল #তাহাজ্জুদ_নামাজের_ফজিলত_ও_নিয়ম #তাহাজ্জত_নামাজের_ফজিলত_ও_বরকত #ওয়াজটি_শুনলে_আপনার_রিজিকের_অভাব_হবে_না #রিজিক_সমস্যার_সমাধান #রিজিক_নিয়ে_টেনশন_করবেন_না #আশ্চর্য_একটি_আমল_হায়াত_ও_রিযিক_বাড়তেই_থাকে #মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী #Mufti_Mustakunnabi_Kasemi #মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী #মুস্তাকুন্নবী_ওয়াজ_2021 #মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_নতুন_বয়ান #মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_২০২২ #মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_ওয়াজ #মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_সাহেবের_ওয়াজ #mustakunnabi_new_waz #new_waz_2022 #bangla_waz_2022 #Bangla_Waz_2021 #New_Mahfil #New_Tafsir #Allamah #Mufti #Shiekh #নতুন_ওয়াজ #বাংলা_ওয়াজ #মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_2022 #মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী #bangla_waz_2023 #মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_২০২৩ #বাংলা_ওয়াজ #allamah #মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_2023 #২০২৪ #Waz 2024 #new waz 2024 #mustakunnabi2024 #allama_mufti_Mustakunnabi_kasemi2024