У нас вы можете посмотреть бесплатно বিখ্যাত-কুখ্যাত ধুতুরা বা জিমসন উইড или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
বিখ্যাত-কুখ্যাত ধুতুরা বা জিমসন উইড কাহিনী… ধুতুরা বা ধাতুরা বা জিমসন উইড (Datura/Jimson weed, Datura sp.) সোলানেসি পরিবারের যত্নে-অযত্নে হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে বর্ষজীবী বা বহুবর্ষজীবী ভেষজ গুল্ম হিসেবে পরিচিত। ধুতুরার ৯-১২টি পরিচিত প্রজাতি রয়েছে। এটি সাধারণত এক স্তর বা দ্বিস্তর পাপড়ি বিশিষ্ট সাদা, বেগুনি এবং গোলাপী রঙের ট্রাম্পেট বা ভেঁপু আকৃতির ফুল। এর ফুলে রয়েছে মোহনীয় সুগন্ধি, যেটি নিশাচর গন্ধ নামে পরিচিত। এর ফল কাঁটাযুক্ত বা কাঁটা দিয়ে আচ্ছাদিত থাকে বলেই এটিকে ইংরেজিতে "থর্ন আপেল" বলা হয়। ধাতুরা নামটি এসেছে সংস্কৃত dustura বা dahatura থেকে, যার অর্থ "ঐশ্বরিক মদ্যপান"। ধুতুরা সংস্কৃত থেকে এলেও বিশ্বের প্রায় সমস্ত সংস্কৃতির মধ্যে ধুতুরা প্রজাতিকে পবিত্র স্বপ্নদর্শী উদ্ভিদ হিসেবে সম্মান করা হয়েছে। অন্যদিকে জিমসন উইড নামের একটা ছোট্ট কাহিনী রয়েছে। মনে করা হয় যে, ১৬০৭ সালের দিকে ক্যাপ্টেন জন স্মিথ এবং তার সহযোগীরা ভার্জিনিয়ার “জেমসটাউন” নামক স্থানে একটি কলোনি স্থাপনের সর্বশেষ প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিল। সেখানে ব্রিটিশ সৈন্যদের সালাদে “সিদ্ধ জেমসটাউন উইড” দেওয়া হয়েছিল। সৈন্যরা সেটি খেয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে “খেয়ালী আচরণ” দেখিয়েছিল। সালাদে ব্যবহৃত আগাছাটি ছিল ধুতুরা গাছ। সেখান থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভেষজ শিল্পে “জেমসটাউন উইড” বলে খ্যাত। পরবর্তীতে অপভ্রংশ হয়ে “জিমসন উইড” হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ধুতুরা অনাদিকাল ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে আদিবাসী ও উপজাতিরা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, ভবিষ্যদ্বাণী, জাদুবিদ্যা এবং রোগ নিরাময়ে এবং নেশাজাতীয় উদ্ভিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ফেনোলিক্স, স্টেরয়েড, অ্যাসিল সুগার, অ্যামাইড জাতীয় যৌগগুলি ধুতুরাকে সমৃদ্ধ করলেও ধুতুরা থেকে পাওয়া অ্যালকালয়েড সমূহ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ধুতুরাতে শক্তিশালী ট্রোপেন জাতীয় অ্যালকালয়েড থাকায় এটি সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং বিষাক্ত উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ধুতুরা গাছের সমস্ত অংশই বিষাক্ত। চৈনিক ভেষজ চিকিৎসাশাস্ত্রে ৫০টি প্রধান উদ্ভিদের অন্যতম ধুতুরা। ধুতুরা একটি শক্তিশালী মাদকদ্রব্য উদ্ভিদ হলেও এর প্রচুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর ব্যবহার রয়েছে। এটি ব্যথা উপশমে, হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে, ঘুমের উপশমে ব্যবহৃত হয়ে থাকে বলে জানা গেছে। একারণে পৃথিবীর কোনো উদ্ভিদই ধুতুরার চেয়ে বেশি বিখ্যাত-কুখ্যাত নয়। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ফার্মাকোলজিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের পাশাপাশি উদ্ভিদের প্রজনন, জীবপ্রযুক্তিতে, বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। ধুতুরা থেকে নতুন অ্যালকালয়েড আবিষ্কার করতে বা অ্যালকালয়েড উত্পাদনের জন্য যে কাউকে গবেষণায় আগ্রহী করতে পারে। বিখ্যাত কোষবংশগতিবিদ Blakeslee এবং তাঁর সহকর্মীরা ১৯২০ সালে Datura stramonium থেকে ট্রাইসোমিক্স আবিষ্কার করেন। ধুতুরার হ্যাপ্লয়েড (n) ক্রোমোজোম সংখ্যা ১২ অর্থাৎ n = ১২ হওয়ায় ১২টি প্রাথমিক ট্রাইসোমিক্স, ২৪টি সেকেন্ডারি ট্রাইসোমিক্স এবং প্রচুর সংখ্যক টারশিয়ারি ট্রাইসোমিক্স পাওয়া সম্ভব। আশির দশকে ছাত্রজীবনে কোষ-বংশগতিবিদ্যায় ট্রাইসোমিক্স পড়তে গিয়ে Strickberger রচিত Genetics বইয়ে ১২ ধরনের ট্রাইসোমিক্স ফলের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যের ছবি এখনও চোখের সামনে ভেসে ওঠে। ১৯৮০ সালে প্রথম বর্ষের ছাত্রাবস্থায় Strickberger রচিত Genetics বইটি কোলকাতার বিখ্যাত কলেজ স্ট্রিট থেকে কিনে এনেছিলাম। ধর্মীয় সংস্কৃতি থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ অ্যালকালয়েড, কোষ-বংশগতিবিদ্যা এবং উদ্ভিদ বিবর্তনবিদ্যা গবেষণার জন্য ধুতুরা একটি অনন্য উদ্ভিদ।