У нас вы можете посмотреть бесплатно ৬. সূরা আনআম или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
এই উৎসটি পবিত্র কোরআনের সূরা আনআমের একটি বিস্তারিত বাংলা অনুবাদ ও ব্যাখ্যা, যা মূলত আল্লাহর একত্ববাদ বা তাওহিদ এবং তাঁর অসীম ক্ষমতার ওপর আলোকপাত করে। এখানে আকাশমণ্ডল, পৃথিবী এবং মানবজাতির সৃষ্টির মাধ্যমে স্রষ্টার সার্বভৌমত্ব এবং মহাবিশ্বের সবকিছুর ওপর তাঁর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। টেক্সটটি মূর্তিপূজা ও শিরকের অসারতা প্রমাণে হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর যুক্তিনির্ভর সংগ্রামের কাহিনী তুলে ধরেছে এবং পূর্ববর্তী নবীদের সত্যের পথে ধৈর্য ধারণের উদাহরণ দিয়েছে। এতে পার্থিব জীবনের অস্থায়ী প্রকৃতি এবং পরকালের জবাবদিহিতার অমোঘ বাস্তবতার প্রতি কড়া সতর্কতা উচ্চারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, মানুষের সামাজিক ও নৈতিক আচরণের জন্য দশটি মৌলিক বিধান বা নির্দেশাবলি প্রদান করা হয়েছে যা সত্যনিষ্ঠ জীবন যাপনের সঠিক পথ নির্দেশ করে। পরিশেষে, আল্লাহকে একমাত্র অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে তাঁর প্রতি পূর্ণ আত্মসমর্পণের মাধ্যমেই যে প্রকৃত সাফল্য অর্জন সম্ভব, সেই আহ্বান জানানো হয়েছে। সূরা আল-আনআমে মহাবিশ্বের স্রষ্টা হিসেবে আল্লাহর নিরঙ্কুশ ক্ষমতা এবং একত্ববাদের (তৌহিদ) শিক্ষা অত্যন্ত জোরালো এবং যৌক্তিকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এই সূরায় আল্লাহর পরিচয়, তাঁর সৃষ্টির বিশালতা এবং তাঁর একক কর্তৃত্বের বিষয়টি বিভিন্ন উপমা ও যুক্তির মাধ্যমে বর্ণিত হয়েছে। উৎস অনুসারে এই বিষয়গুলোকে প্রধানত নিচের কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়: ১. মহাবিশ্বের স্রষ্টা ও একচ্ছত্র মালিক হিসেবে আল্লাহ সূরাটি শুরুই হয়েছে এই ঘোষণার মাধ্যমে যে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি মহাকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আলো ও আঁধার তৈরি করেছেন [১]। স্রষ্টা হিসেবে তাঁর ক্ষমতার পরিধি বর্ণনায় বলা হয়েছে: • সৃষ্টির সূচনা ও নিয়ন্ত্রণ: তিনিই মানুষকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের জীবনচক্র বা হায়াত নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন [২]। তিনি শস্যদানা ও বীজ বিদীর্ণ করে প্রাণের উন্মেষ ঘটান, মৃত থেকে জীবন্ত এবং জীবন্ত থেকে মৃতকে বের করেন [৫৩]। • প্রকৃতির ওপর কর্তৃত্ব: তিনি প্রভাতের উন্মেষ ঘটান এবং রাতকে বিশ্রামের জন্য তৈরি করেছেন। সূর্য ও চন্দ্রকে গণনার আধার এবং নক্ষত্ররাজিকে পথের দিশারী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন [৫৪, ৫৫]। আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করে সবুজের সমারোহ, খেজুর, আঙুর, জয়তুন ও আনারের বাগান সৃজন করার ক্ষমতা একমাত্র তাঁরই [৫৬, ৮২]। • মালিকানা: মহাকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, দৃশ্যমান বা অদৃশ্য, সবই তাঁর মালিকানাধীন [৭]। তিনি সবকিছুর স্রষ্টা এবং সবকিছুর ওপর কর্মবিধায়ক [৫৮]। ২. আল্লাহর নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ও জ্ঞানের পরিধি আল্লাহর ক্ষমতা কেবল সৃষ্টির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণেও নিরঙ্কুশ। • গায়েবের জ্ঞান: গায়েব বা অদৃশ্যের সকল চাবিকাঠি তাঁর হাতে। জলে-স্থলে যা কিছু আছে, সবই তিনি জানেন। তাঁর অজ্ঞাতসারে গাছের একটি পাতাও ঝরে না এবং মাটির অন্ধকারের কোনো শস্যদানাও তাঁর জ্ঞানের বাইরে নয় [৩৩]। • লাভ-ক্ষতির মালিক: আল্লাহ যদি কাউকে দুর্ভোগে ফেলেন, তবে তিনি ছাড়া তা দূর করার কেউ নেই। আবার তিনি কল্যাণ দান করলে তা কেউ রোধ করতে পারে না, কারণ তিনি সর্বশক্তিমান [৯]। • জীবন ও মৃত্যুর নিয়ন্ত্রণ: তিনিই রাতে ঘুমের মাধ্যমে মানুষের চেতনা হরণ করেন (যা ক্ষণস্থায়ী মৃত্যুসদৃশ) এবং দিনে আবার জাগ্রত করেন। পরিশেষে তাঁর কাছেই সবাইকে ফিরে যেতে হবে [৩৪]। ৩. একত্ববাদ বা তৌহিদের যৌক্তিক প্রমাণ এই সূরায় অন্ধ অনুকরণ বা আবেগের পরিবর্তে বুদ্ধিবৃত্তিক যুক্তির মাধ্যমে একত্ববাদ বা তৌহিদকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। • ইব্রাহিম (আ.)-এর যুক্তি: হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর উদাহরণের মাধ্যমে একত্ববাদের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। তিনি নক্ষত্র, চন্দ্র ও সূর্য দেখে প্রথমে ভাবলেন এগুলো প্রতিপালক হতে পারে, কিন্তু যখন সেগুলো অস্তমিত হলো, তিনি বুঝলেন যা ডুবে যায় বা পরিবর্তিত হয় তা খোদা হতে পারে না। তিনি ঘোষণা করলেন যে, তিনি মুখ ফিরিয়েছেন সেই সত্তার দিকে যিনি মহাকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন [৪২, ৪৩, ৪৪]। • অংশীদারহীন সত্তা: আল্লাহর কোনো সন্তান বা সঙ্গী নেই। তিনি সমস্ত সৃষ্টিজগতের উদ্ভাবক [৫৭]। যারা আল্লাহর সাথে জ্বীন বা অন্য কোনো সত্তাকে শরিক করে, তারা অজ্ঞতাবশত তা করে [৫৭]। • চূুমাত্র বিধানদাতা: একত্ববাদের একটি বড় শিক্ষা হলো আইন বা বিধান দানে আল্লাহর একক কর্তৃত্ব। হালাল ও হারাম নির্ধারণের অধিকার একমাত্র আল্লাহর। যারা আল্লাহর নাম ছাড়া বা নিজেদের মনগড়া নিয়মে কোনো পশুকে বা ফসলকে হারাম বা হালাল ঘোষণা করে, তারা মূলত আল্লাহর ওপর মিথ্যা আরোপ করে এবং শিরক করে [৮০, ৮৩, ৮৪, ৮৫]। ৪. শিরকের অসারতা ও তৌহিদে বিশ্বাসীদের করণীয় • মুশরিকদের পরিণতি: কিয়ামতের দিন অংশীদাররা উধাও হয়ে যাবে এবং মুশরিকরা দেখবে তাদের কল্পিত উপাস্যরা তাদের কোনো কাজে আসছে না [১২, ৫৩]। • জীবনের সর্বক্ষেত্রে একত্ববাদ: তৌহিদের মূল মন্ত্র হলো জীবনের সবকিছু আল্লাহর জন্য নিবেদন করা। নবী (সা.)-কে ঘোষণা করতে বলা হয়েছে: "আমার সালাত, আমার কোরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ—আমার সবকিছুই বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে" [৯৭]। • আনুগত্যের মাপকাঠি: আল্লাহর পথই একমাত্র সরল পথ। অন্য পথ অনুসরণ করলে তা মানুষকে বিচ্ছিন্ন ও বিভ্রান্ত করে। তাই একমাত্র তাঁরই নির্দেশিত পথে চলতে বলা হয়েছে [৯১]। সারসংক্ষেপ সূরা আল-আনআমে শেখানো হয়েছে যে, আল্লাহ কেবল সৃষ্টিকর্তাই নন, তিনি পালনকর্তা, আইনদাতা এবং সমস্ত জ্ঞানের আধার। সৃষ্টিজগতের প্রতিটি অণু-পমাণু তাঁর একক ক্ষমতার সাক্ষ্য দিচ্ছে। উপমা: বিষয়টি এভাবে বোঝা যেতে পারে—একটি বিশাল সাম্রাজ্যের রাজা যদি নিজেই সেই রাজ্যের স্থপতি হন, নিজেই আইন প্রণেতা হন এবং প্রজাদের প্রতিটি নিঃশ্বাসের খবর রাখেন, তবে সেই রাজার রাজ্যে বাস করে অন্য কারো গুণগান করা বা অন্য কারো আইন মানা যেমন অযৌক্তিক ও বিদ্রোহের শামিল, ঠিক তেমনি আল্লাহর তৈরি মহাবিশ্বে বাস করে তাঁর সাথে কাউকে শরিক করা বা তাঁর বিধান অমান্য করা চরম অকৃতজ্ঞতা ও মূর্খতা।