У нас вы можете посмотреть бесплатно দূর্লভ তথ্যচিত্র: টেরাকোটা মন্দির (১৯৭০) | Rare documentary Terracotta Temples (1970) Bengali dubbed или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
দূর্লভ তথ্যচিত্র - টেরাকোটা মন্দির (১৯৭০) পোড়ামাটির ইঁট দিয়ে নির্মিত মন্দিরের জন্য বিখ্যাত পশ্চিমবঙ্গ। যদিও এখানে খাজুরাহো বা ভুবনেশ্বরের মতো সুবিশাল মন্দির নেই, তবে ইঁটের তৈরি প্রচুর ছোট ছোট মন্দির রয়েছে। এই সমস্ত প্রাচীন মন্দিরগুলি গ্রামীণ জীবনের অঙ্গ হিসেবে পরিগণিত হয়। পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে পাল-সেন যুগে নির্মিত মন্দির খুবই কম দেখা যায়। যে কয়েকটি মন্দির দেখা যায় সেগুলি খ্রীষ্টীয় ষোড়শ শতকের দিকে নতুন ধরনের গঠনশৈলীতে নির্মাণ করা হয়। এখানে যদিও বেশ কিছু প্রাচীন শিখর মন্দির দেখা যায় তবে অধিকাংশ মন্দিরের গঠনশৈলী বাংলার গ্রামাঞ্চলের অতি পরিচিত কাঠ, বাঁশ ও খড়ের চাল দেওয়া মেটে ঘর বা খড়ের ঘরের মতো। বহু প্রাচীন কাল থেকেই সাধারণ মানুষের বাসস্থান রূপে ব্যবহৃত আবাসগৃহ, দেবমন্দির রূপে স্বীকৃত হয়েছিল। এটি একটি জোড় বাংলা শ্রেণীর মন্দির। এখানে দুটি চালা মন্দিরকে একসাথে জুড়ে দিয়ে একটি সম্পূর্ণ নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। মন্দিরের চতুর্দিকে চারটি চালা যুক্ত চারচালা, বা আটটি চালা যুক্ত আটচালা মন্দির সেই সময়ে প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করে। এটি একটি রত্ন শৈলীতে নির্মিত মন্দির। এই ধরনের মন্দিরের নীচের ছাদের ওপরে, একটি, পাঁচটি অথবা নয়টি ছোট চূড়া দেখা যায়। এই চূড়াগুলিকে রত্ন বলা হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীন মন্দিরগুলির বিশেষত্ব হচ্ছে টেরাকোটা বা পোড়ামাটির সুদৃশ্য অলঙ্করণ। মাটিকে পুড়িয়ে বিভিন্ন সুদৃশ্য মূর্তি এবং অলঙ্করণ নির্মাণ করা বাংলার একটি সুপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শিল্প। মন্দিরের সম্মুখভাগে টেরাকোটার ফলকে বিভিন্ন পৌরাণিক দেবদেবী, সামাজিক চিত্র ও পশুপাখির নকশা দেখা যায়। এই অলঙ্করণগুলির মাধ্যমে রামায়ণ মহাভারত সহ নানান পৌরাণিক কাহিনীর বিভিন্ন দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এখানে সমকালীন জীবনধারার বিভিন্ন সামাজিক ও লৌকিক দৃশ্য, টেরাকোটার অলঙ্করণে নিখুঁতভাবে রূপায়িত হয়েছে। মন্দিরের অলঙ্করণের মধ্যে একটি জনপ্রিয় বিষয় ছিল কৃষ্ণলীলা। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মগ্রহণ এবং তাঁর বাল্যলীলার বিভিন্ন চিত্র সুনিপুনভাবে অঙ্কিত হয়েছে। টেরাকোটা ফলকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রাধা কৃষ্ণের অমর প্রেমের কাহিনী যা যুগে যুগে কবি সাহিত্যিকদের অনুপ্রানিত করে এসেছে। দুষ্ট কংসকে বধ করবার উদ্দেশ্যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মথুরায় আগমন। মন্দিরের অলঙ্করণের মধ্যে রামকথা বা রামায়ণের বিশেষ বিশেষ কাহিনী প্রধান উপজীব্য হয়ে ওঠে। মায়ামৃগ রূপ ধারণকারী মারীচের সংহার। দুষ্ট রাবণ কতৃর্ক সীতার অপহরণ এবং তাঁকে রক্ষা করবার জন্য জটায়ুর ব্যর্থ প্রচেষ্টা। অপহৃতা সীতাকে উদ্ধার করতে গিয়ে লঙ্কায় রাম এবং রাবণের মারাত্মক যুদ্ধ। যুদ্ধে জয়ী হয়ে রামের অযোধ্যায় ফিরে আসা এবং তাঁর রাজ্যাভিষেক। আর একটি জনপ্রিয় পৌরাণিক বিষয়বস্তু ছিল মহাকালী চন্ডী দ্বারা শুম্ভ-নিশুম্ভের বধ। এখানে আরও অনেক দেব-দেবীর কাহিনী টেরাকোটা ফলকে অলঙ্কৃত করা হয়েছে। দেবদেবীর মূর্তি ছাড়াও সমকালীন জীবনধারা এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ইউরোপীয়ানদের প্রথম আগমনের দৃশ্য ঠিক যেমনটি সেই প্রাচীন মন্দিরের নির্মাণকারীরা দেখেছিলেন। এছাড়াও দেখা যায়, প্রতাপশালী রাজার শিকারে গমনের দৃশ্য, নৌযাত্রা, নর্তকী, গায়ক, সাধু-সন্ন্যাসী, বাদ্যকর ইত্যাদি। পশ্চিমবঙ্গের টেরাকোটা মন্দিরগুলির অলঙ্করণে সমাজ জীবনের প্রতিচ্ছবিও খুঁজে পাওয়া যায়। সামাজিক চিত্রে দেখা যায় মানুষ ও তার জীবনধারার বিচিত্র অভিব্যক্তি। এতে চিরন্তন মানবজীবনের সম্পর্কেরও চিত্র পাওয়া যায়। পুরাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যে ভরা পশ্চিমবঙ্গের মন্দিরগুলির স্থাপত্য অনন্য এবং বৈচিত্রময় যা বাংলার তথা বাঙালির অমূল্য সম্পদ। এই মন্দিরগুলি প্রাচীন বাংলার শিল্পকলার এক উজ্জ্বল ইতিহাসের নীরব সাক্ষী। © 2020 Atanu Das / [email protected]