У нас вы можете посмотреть бесплатно bagha mosque Rajshahi | ৫০০ বছরের প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন বাঘা মসজিদ রাজশাহী или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
bagha mosque Rajshahi ৫০০ বছরের প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন বাঘা মসজিদ রাজশাহী বাঘা মসজিদ: ইতিহাস, স্থাপত্য, মাজার, মেলা ও দিঘীর গল্প রাজশাহীর বাঘা উপজেলার শান্ত পরিবেশে দাঁড়িয়ে থাকা বাঘা মসজিদ একদিকে যেমন সুলতানি আমলের অনন্য স্থাপত্যের নিদর্শন, তেমনি ধর্মীয় অনুভূতি, স্থানীয় লোককাহিনি আর গ্রামীণ মেলার সমন্বয়ে এটি হয়ে উঠেছে এক অনন্য দর্শনীয় স্থান। এই ভিডিতে আমরা হাঁটব মাজার থেকে শুরু করে মহিলা মসজিদ পর্যন্ত, আর জানব বাঘার সমৃদ্ধ ইতিহাস। --- মাজার থেকে যাত্রা: বাঘা দরগার শুরু মসজিদের বিপরীত পাশে অবস্থিত ছোট মাজার। বট গাছের নীচে অবস্থিত এ মাজারটি ভক্ত অনুসারীদের কাছে পবিত্র জায়গা হিসেবে বিবেচিত। --- মেইন গেট দিয়ে প্রবেশ মাজার থেকে সামান্য এগোলেই দেখা যায় বাঘা মসজিদের মেইন গেট। লাল পোড়ামাটির নান্দনিক দেয়াল আর ইসলামী কারুকাজের নিপুণ ছোঁয়া দেখে প্রথম দেখাতেই বোঝা যায় এটা সুলতানি আমলের স্থাপত্য। গেট পেরোতেই চোখে পড়ে মসজিদের বিশাল আঙিনা, পাকা লন।আর সামনে মহিমান্বিত গম্বুজ-বেষ্টিত মূল মসজিদ। --- বাঘা মসজিদ: ইতিহাস, আয়তন ও স্থাপত্য ইতিহাস মসজিদটি ১৫২৩-১৫২৪ সালে (৯৩০ হিজরি) হুসেন শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা আলাউদ্দিন শাহের পুত্র সুলতান নুসরাত শাহ নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় এই মসজিদের সংস্কার করা হয় এবং মসজিদের গম্বুজগুলো ভেঙ্গে গেলে ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদে নতুন করে ছাদ দেয়া হয় ১৮৯৭ সালে। স্থাপত্য আগের ৫০ টাকার নোট ও ১০ টাকার স্মারক ডাকটিকিটে রয়েছে প্রাচীন এই স্থাপত্যটি। পুরো মসজিদটি অপরূপ কারুকাজ আর টেরাকোটার নকশায় সুসজ্জিত। ১০ গম্বুজের এই মসজিদটিতে রয়েছে পাঁচটি দরজা। মাঝখানের দরজার ওপর ফারসি হরফে একটি শিলালিপি লেখা রয়েছে,প্রদান ফটক থেকে অপরূপ নির্মাণশৈলী দর্শনার্থীদের ভেতরে টেনে আনে। মসজিদটির চার কোনায় চারটি চৌচালা গম্বুজ, ভেতরে ছয়টি স্তম্ভ। স্তম্ভগুলো সম্পূর্ণ পাথর কেটে তৈরি করা রয়েছে চারটি অপূর্ব কারুকার্যখচিত মিহরাব। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৭৫ ফুট, প্রস্থ ৪২ ফুট, উচ্চতা ২৪ ফুট ৬ ইঞ্চি। দেয়াল চওড়ায় ৮ ফুট। এর সবখানেই টেরাকোটার নকশা। ২০০৭ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ অনুরূপ নকশা প্রতিস্থাপন করেছে। সিরাজগঞ্জের টেরাকোটা শিল্পী মদন পাল কাজটি করেছিলেন। ৫০২ বছরে পা দেওয়া মসজিদটিকে দেখতে এখনো দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন। ইতিহাস খুঁজতে আসেন ইতিহাসবিদেরাও। প্রাচীন অন্যতম এই নিদর্শন দেখে মুগ্ধ হন সবাই। --- মেলাভিউ: গ্রামীণ ঐতিহ্যের প্রাণ বছরের ঈদমেলা মসজিদ প্রাঙ্গনের উত্তরদিকে দর্শনার্থীদের জন্য নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে থাকেন দোকানীরা।তবে ইসলাম প্রচারক হজরত শাহ্ মোয়াজ্জেম দানিশমন্দ শাহ দৌলা (রহ.) ও তাঁর ছেলে হজরত শাহ্ সুফি মাওলানা আবদুল হামিদ দানিশমন্দ কতুবুল আফতাব (রহ.)-এর ওরস মোবারক উপলক্ষে ঈদুল ফিতরের দিন ও তার পরের দিন বাঘা দরগাহ শরিফে বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাঘা মাজার ওয়াক্ফ এস্টেট পরিচালনা কমিটি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও তবারক বিতরণ করে থাকে। এতে প্রচুর লোক অংশ নেন। আর এই আয়োজনকে ঘিরে বাঘা ওয়াক্ফ এস্টেট চত্বরে মেলা বসে। যা এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।মেলাটি শাহ্ দৌলা সরকারি কলেজ ও বাঘা হাইস্কুল মাঠ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। ৫০০বছরেরও বেশি পুরাতন এই মেলা দেশের সবচেয়ে পুরাতন ঈদমেলা হিসেবে পরিচিত। শুক্রবার মসজিদের আঙিনার বাইরে ভক্তরা রান্না করেন খিচুড়ি, যাকে অনেকে ‘নজর’ বা ‘মানত’ পূরণের অংশ হিসেবে মনে করেন। --- মূল মাজার মাজার ঐতিহাসিক কিংবদন্তী অনুসারে জানা যায় মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর এর পুত্র যুবরাজ শাহজাহান ঢাকার বিদ্রোহীদের পরাজিত করার উদ্দেশ্যে, নৌযানে ঢাকার দিকে পদ্মা নদীপথে সসৈন্যে গমন করেছিলেন। বাঘার পাশ দিয়ে পদ্মা নদী দিয়ে যাবার সময় তিনি পেটের পীড়া অনুভব করলে সে সময় তিনি শুনতে পান, এইখানে হযরত মাওলানা শাহদৌলা নামে এক ওলী অবস্থান করেন। যুবরাজ এই ওলীর সান্যিধ্যে তার আরোগ্য লাভের জন্য প্রার্থনা করতে বলেন। এই ওলীর অলৌকিত্বে যুবরাজ আরোগ্য লাভ করেন । এর ফলে যুবরাজ তাকে ৪২টি পরগনা দান করেন। কিন্তু তিনি এটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন তবে পরবর্তীতে তার অন্যান্য বংশধরগণ তা গ্রহণ করেন। শাহী মসজিদের আশে পাশে ওলী শাহদৌলা (রঃ) এর মাজারসহ তাঁর বংশের অন্যান্য ওলী এবং বাগদাদ থেকে আগত ওলীদের মাজার রয়েছে। প্রতি শুক্রবারে পূন্যার্থী জনগণ তাদের বাসনা পূরণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী নিয়ে মাজার প্রাঙ্গণে সমবেত হয়। রাজশাহী বিভাগের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাত এখানে অনুষ্ঠিত হয়। --- বাঘা দিঘী: আয়তন ও সৌন্দর্য মসজিদের পূর্ব পাশে অবস্থিত বিশাল দিঘীটি বাঘার অন্যতম আকর্ষণ। আয়তন প্রায় প্রায় ২৫৬ বিঘা, এবং পানি পরিষ্কার, শান্ত। এই দিঘীর পানি অনেকের কাছেই পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। --- মহিলা মসজিদ মূল মসজিদের কিছুটা পশ্চিমে রয়েছে মহিলা মসজিদ, যা নারী উপাসকদের জন্য আলাদাভাবে ব্যবহৃত হয়। যদিও সংস্কারের অভাব দৃশ্যমান তবুও এর শান্ত পরিবেশ মনে প্রশান্তি বয়ে আনে। --- বাঘার প্রচলিত মিথ: পাথরের গল্প বাঘা মসজিদের পাথর নিয়ে মানুষের মনে কয়েকটি মিথ প্রচলিত— বাঘা মূল মসজিদ এবং মহিলা মসজিদে আরবি ও ফারসিতেলেখা খচিত দুটি পাথর লক্ষ করা যায়। কথিত আছে, এই মহিলা মসজিদের পাথরটিকে কষ্টি পাথর মনে করে এক লোক চুরি করে। চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পথে সে নাকি নানা রকম বাঁধার সম্মুখীন হয়। কিন্তু লোকটার লোভ এতই প্রকট ছিল যে, সে ঐ পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করে যেন পাথরটি নাপাক হয়ে যায় এবং আর কোনো বাঁধা না আসে। এরপরে লোকটি পাথরটি বিক্রি করে দেয় ঠিকই কিন্তু তার শরীরে পঁচন রোগ বাসা বাধে। আস্তে আস্তে তার হাত পা কেটে ফেলতে হয় একেক করে এবং মারা যায় সে সহ তার পরিবারের সবাই। এদিকে যে ব্যক্তি পাথরটি কিনেছিল সেও অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সে এই পাথরটি মসজিদে ফেরত দিয়ে যায়। এখন পাথরটি একবারে মসজিদের গায়ে সেট করে দেয়া যেন চাইলেও কেউ চুরি করতে না পারে।