У нас вы можете посмотреть бесплатно মুকুন্দরাম চক্রবর্তী কি দুঃখবাদী কবি? | হাসান অরিন্দম или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
মুকুন্দরাম দুঃখবাদী কবি আলোচনা কর। উত্তর: মঙ্গলকাব্যধারায় এক বিশিষ্ট কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী। সমালোচকের অভিমত মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে তাঁর মত এত বড় বাস্তবধর্মী কবি আর দেখা যায় না। তাঁর কাব্যের একটি প্রধান দিক হল সমসাময়িক জীবনের বাস্তব রূপায়ণ। আর তা করেছেন বলেই তাকে দুঃখবাদী কবি রূপেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি শিল্পীর জন্ম একটি নির্দিষ্ট দেশ, কাল ও সমাজ কাঠামোর মধ্যে। মুকুন্দরাম মঙ্গল বাক্য ধারার কবি হলেও তিনি বাস্তব জীবনকে অধিক প্রাধান্য দিয়েছেন। আর আমরা জানি চিরকাল সংখ্যাগরিষ্ট বাঙালীর জীবন ছিল দুঃখ দারিদ্র্যে ভরা। সেই জীবনের যথাযথ চিত্র অঙ্কন করলে সেখানে দুঃখের প্রতিফলন ঘটবে সেটাই স্বাভাবিক। কবি মুকুন্দরাম নিজের জীবনে অশেষ দুঃখ ভোগ করেছেন। ফলে তাঁর আখ্যানকাব্যে পরোক্ষভাবে হলেও সেই দুঃখের চিত্রায়ণ ঘটাটাই সঙ্গত। কালকেতু উপাখ্যানের গ্রন্থোৎপত্তির কারণ বর্ণনায় কবি দেখিয়েছেন ডিহিদার মামুদ শরীফের অত্যাচারে তাকে উদ্বাস্তু হতে হয়েছিল। সে কালের সমাজে একদিকে জমিদার, ডিহিদার তদের পাইক পিয়াদা অন্যদিকে সুদখোর মহাজনদের শোষণে নিপীড়নে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল। কবির লেখনীতে তা উঠে এসেছে। বনের পশুদের দুঃখ নিবেদনের মধ্য দিয়ে কেউ কেউ মুকুন্দরামের দুঃখবাদী বৈশিষ্ট্য প্রত্যক্ষ করেছে। ফুল্লরার বারমাসী বর্ণনায় আমরা দেখতে পাই তার জীবন এক দুঃখের আখ্যান। সুন্দরী নারীবেশী দেবী যাতে তার সংসার থেকে অবিলম্বে চলে যায় এজন্যে সে তার দুঃখ দারিদ্র্যের কথা অনেকটা বাড়িয়েই বলেছেন। এছাড়া পশুগণের দুঃখ বর্ণনার মধ্যে মানবীয় দুঃখ খুঁজতে যাওয়া অনুচিত বলে অনেকে মনে করেন। কাহিনীর প্রয়োজনে এই চিত্র সৃষ্টি করা আবশ্যক ছিল। তাছাড়া এই বর্ণনা মুকুন্দরামের মৌলিক নয়। এ মঙ্গলকাব্যের চিরন্তন অন্তর্গত। প্রকৃতপক্ষে দুঃখ দারিদ্র্যের প্রাসঙ্গিক বর্ণনা করলেই তাকে দুঃখবাদী কবি বলা যায় না। সে সমাজের দারিদ্র্য আছে, দুঃখ আছে তার বর্ণনায় দুঃখ তো থাকবেই। কেউ যদি দুঃখকে জীবনের একমাত্র প্রাপ্তি এবং দুঃখেই জীবনের সমাপ্তি বলে মনে করেন তখনি তাকে দুঃখবাদী বলা যায়। কিন্তু মুকুন্দরাম দুঃখকে জীবনের শেষ কথা বলেন নি। দুঃখ অতিক্রম করে সমৃদ্ধ সুন্দর জীবনের কথাও বলেছেন। তাই মুকুন্দরাম দুঃখবাদী কবি নন বরং দুঃখ বর্ণনার কবি বলেই অভিহিত করা অধিক যুক্তিসঙ্গত।