У нас вы можете посмотреть бесплатно রাতে শুয়ে শুয়ে ফেসবুক স্ক্রোল করছিলাম।প্রায় তিনদিন ধরে অসুস্থ। অফিসেও যেতে পারছি না, বাসায় কিছু,,,,, или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
রাতে শুয়ে শুয়ে ফেসবুক স্ক্রোল করছিলাম। প্রায় তিনদিন ধরে অসুস্থ। অফিসেও যেতে পারছি না, বাসায় কিছু করতেও পারছি না।এক কথায় পুরো বেডরেস্ট। রাতে খাবার খেয়ে বাবা, মা ঘুমাতে গেল, আমিও এসে শুয়ে আছি। শরীরটা একদমই ভাল যাচ্ছে না। হাল্কা ঘুম চলে এসেছে চোখে। হঠাৎ পৃষ্ঠা উল্টানোর শব্দে জেগে উঠি। এতরাতে পৃষ্টা উল্টানোর শব্দ আসছে কোথা থেকে? উঠে ঘরের বাতি জ্বালালাম। সব তো ঠিকঠাকই আছে, তাহলে শব্দ আসছিল কোথা থেকে!বাতি বন্ধ করে আবার এসে শুয়ে পড়লাম। রাত দুইটার দিকে আবারও ওই একই শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। নাহ, এবার শব্দ আরও বেশি তীব্র হচ্ছে। মাঝেমাঝে গুণগুণ শব্দ ও আসছে। বাসায় তো শুধু বাবা মা আর আমি, এতরাতে বই পড়ছে কে? ফোনের লাইট অন করে, রুমের লাইটটা দিলাম। পরিবেশ একদম নিরব,কোথাও কোন শব্দ নেই। এবার লাইট অন রেখেই শুয়ে পড়লাম। চারটার দিকে পাশ ফিরতে গিয়ে কাউকে অনুভব করলাম।এখন আমার পাশে আবার কে! কেমন যেন গোঙানির শব্দও আসছে। আমার এবার ভয় ভয় লাগছে। ঘেমে একাকার হয়ে গেছি, অথচ ফ্যান চলছে। আমার মাথায় কিছু আসছে না। কি করব এখন? আয়াতুল কুরসি ও ভুলে গেছি এই অবস্থায়। ভয়ে কান্না চলে আসছে আমার। চোখ বন্ধ করে আল্লাহ আল্লাহ করছি। দূর থেকে আজানের ধ্বনি আসছে। কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারলাম আমার পাশে জিনিসটা আর নেই। তাড়াতাড়ি উঠে পড়লাম। রুমে লাইট অন থাকা সত্ত্বেও আমি তাকিয়ে দেখার সাহস পাইনি আমার পাশে কি ছিল। তাড়াতাড়ি উঠে মাকে ডাকলাম। কিন্তু মাকে কি এসব বলা ঠিক হবে? বাবা মা আবার অযথা চিন্তা করবে। মা বাবার রুমের দরজায় নক করতেই মা দরজা খুলে দিলো।-- নামাজ পড়বে না? আমার ঘুম ভেঙে গেল তাই তোমাকে ডাকলাম। বাবা মসজিদে যাবে তো!- হ্যাঁ আমার ও ঘুম ভেঙে গেছে। তুমি যাও নামাজ আদায় করো, আমি তোমার বাবাকে মসজিদে পাঠিয়ে দিচ্ছি।- ঠিক আছে মা।নামাজ শেষ করে জায়নামাজেই বসে আছি, রাতের ঘটে যাওয়া ঘটনা মাথা থেকে কিছুতেই যাচ্ছে না।আবার একটু ঘুমালাম। হঠাৎ আচমকা একটা স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে গেল, উঠে দেখি ঘেমে গেছি। এরকম আজকে কেন হচ্ছে আমার সাথে? শুধুই আমার মনের ভুল, নাকি অন্যকিছু! কিছুতেই কিছু বুঝে উঠতে পারছি না আমি।উঠে রান্না ঘরে গিয়ে দেখি মা রান্না করছে। মাকে জিজ্ঞেস করলাম, মা স্বপ্নের অর্থ বলতে পারবে? আমি আজকে খুব খারাপ একটা স্বপ্ন দেখেছি জানো......সাথে সাথে মা আমাকে থামিয়ে দেয়। - স্বপ্নের কথা যাকে তাকে বলতে যাবি না, যে যা ব্যাখ্যা দিবে সেটাই ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কখনও নিজের স্বপ্নের কথা কাউকে বলবি না।- আচ্ছা ঠিক আছে। আমি চুপ করে রুমে চলে এলাম। ইউটিউবে সার্চ দিয়েও ব্যাখ্যা বের করতে পারলাম না।অফিস থেকে স্যার ফোন দিয়েছেন দেখে খুশি হলাম। এই একটা মানুষ আমার পরিবারের মতই। মা বাবার পর ইনি আমাকে মেয়ের মতো ভালোবাসেন। আসসালামু আলাইকুম স্যার।-- ওয়া আলাইকুমুস সালাম। কেমন আছো এখন?শরীর কেমন এখন তোমার?- স্যার এখন অনেকটা সুস্থ আমি। -- আজকে কি অফিসে আসতে পারবে? একটু কাজের চাপ পড়েছে, তুমি আসলে অনেক উপকার হতো।আমিও ভাবলাম আমার যাওয়া উচিৎ, গোটা তিনদিন যাওয়া হয়নি, আর এখন তো শরীরটা একটু ভালো।আটটার দিকে বেরিয়ে পড়লাম। অফিসে যেতে প্রায় দশ মিনিট লাগে প্রতিদিন । বাসা থেকে অফিস বেশ কাছে, পায়ে হেটেই চলে যাই। হাটার সময় কেমন যেন মনে হলো কেউ আমাকে ফলো করছে। এদিক ওদিক তাকিয়ে কাউকে দেখতে পেলাম না। কিন্তু মনে হচ্ছে দুটো চোখ আমার উপর নজর রাখছে। কিন্তু কোথাও কাউকে তো দেখতে পারছি না। আজকে পনেরো মিনিট লাগলো। কয়েক মিনিট দেরি হয়ে গেছে। অফিসে এসেই গেলাম স্যার এর রুমের দিকে, কিন্তু স্যার নাকি আজকে এখনও আসে নি। আমি আমার চেয়ারে এসে বসলাম।সিনিয়র একজন এসে আমাকে এই তিনদিনের কাজ বুঝিয়ে দিলেন। আমি ও আর দেরি না করেকাজ করা শুরু করে দিলাম। কারণ এই কয়েকদিনে অনেক কাজ জমে গেছে। কিছুক্ষণ পর স্যার আসলেন, গিয়েই রুমে ঢুকলেন।পিওন আমার সামনে এসে দাঁড়ালো। মামা, কিছু বলবেন-- মাহি আপা স্যার আপনেরে ডাকতাছে। যাইয়া দেহা কইরা আহেন।-- আচ্ছা ঠিক আছে, আমি যাচ্ছি।মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে পিওন মামা চলে গেল।আমিও স্যারের কক্ষের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।স্যারের কক্ষের দরজাটা যেই না খুলব, ওমনি স্যার খুলে বাহিরে বের হয়ে এলেন। হন্তদন্ত হয়ে বের হয়েছেন সেটা উনার মুখের অবস্থা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।- স্যার কি হয়েছে? আপনাকে এমন লাগছে কেন?-- মাহি, আম্মা অসুস্থ হয়ে গিয়েছে, আমার এখনি হাসপাতালে যেতে হবে। তুমি কি যেতে পারবে আমার সাথে? আমি ও কোনকিছু না ভেবে হ্যা বলে স্যারের পিছনে পিছনে যাওয়া শুরু করলাম। লিনা আপু এসে সামনে দাঁড়ালো। কি হয়েছে স্যার? এরকম হন্তদন্ত হয়ে কোথায় যাচ্ছেন? কিছু কি হয়েছে স্যার? স্যার শুধু বললেন আমার এখন এত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় নেই। আমি আসছি,তোমরা অফিসেই থেকো, কাজ করো।আমি লিনা আপুর দিকে এগিয়ে গেলাম। ভাবলাম স্যার যেহেতু তাড়াহুড়োয় চলে গেলেন, আমার বলা উচিৎ। লিনা আপু স্যারের আম্মা নাকি অসুস্থ হয়ে গেছেন তাই স্যার চিন্তিত। স্যার ছুটে হাসপাতালেই যাচ্ছেন। আমাকেও যেতে বললেন, তাই আমিও.... -- আমি কি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি? তুমি কেন একজনকে করা প্রশ্নের উত্তর দাও? স্যার কি তোমাকে এটার জন্যই রেখেছে নাকি?"