কে এই সুব্রত বাইন | তাকে নিয়ে কেন এত আলোচনা |জানুন তার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী জীবনের কথা |Subrata Bain скачать в хорошем качестве

কে এই সুব্রত বাইন | তাকে নিয়ে কেন এত আলোচনা |জানুন তার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী জীবনের কথা |Subrata Bain

কে এই সুব্রত বাইন ? |তাকে নিয়ে কেন এত আলোচনা |জানুন তার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী জীবনের কথা |Subrata Bain #subratabain #interpol #সুব্রতবাইন #criminal সুব্রত বাইন! হঠাৎ করে নামটি শুনলেই চমকে ওঠেন যে কেউ! আর চমকাবেন নাই বা কেন? এই সুব্রত বাইন যে ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড এক আসামি যার রয়েছে রোমহর্ষক অতীত ইতিহাস ।যিনি ঢাকার অপরাধ জগতের এক মুকুটবিহীন সম্রাট। নব্বইয়ের দশকে তিনি ছিলেন ঢাকার মানুষের কাছে এক আতঙ্কের নাম । তার সেভেন স্টার গ্রুপের তান্ডবে সেই সময়ে তটস্থ থাকতেন ঢাকার সাধারণ মানুষ ।তার বিরুদ্ধে ঢাকায় কমপক্ষে ৩০টির মতো খুনের মামলা রয়েছে ।এছাড়াও তার বিরুদ্ধে হত্যা,চাদাবাজি,অস্ত্র চোরাচালান,জমি দখল,ফ্ল্যাট দখল থেকে শুরু করে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ । সুব্রত বাইনের অপরাধ জগতের শুরুটা হয়েছিল তার কলেজ জীবন থেকেই ।সিদ্ধেশ্বরী কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে এক নেতার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার ।পরবর্তীতে সেই নেতার হাত ধরেই যুক্ত হন অপরাধ জগতের সঙ্গে ।গরে তুলেন নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী ।১৯৯১ সালে ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় মুরাদ নামে এক জাসদ ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার মাধ্যমে নামকরা সন্ত্রাসী হিসেবে তিনি পরিচিতি পান এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হন । ১৯৯৭ সালে ঢাকার নয়াপল্টনের একটি হাসপাতাল থেকে গোয়েন্দা পুলিশের এসি আকরাম হোসেনের হাতে গ্রেফতার হন সুব্রত বাইন । সেই সময় দের বছর জেল খাটেন তিনি ।জামিনে বের হয়ে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে আবারও নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন ঢাকার অপরাধ জগত। ঢাকার রাজনৈতিক নেতাদের সাথেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সুব্রত বাইনের ।একাধিক বিএনপি ও যুবলীগ নেতার সঙ্গে ছিল তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ।২০০১ সালে বিএনপি শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয় ।২০০১ সালে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা হয় এবং যেটি এখনো বহাল আছে ।সেই সময় অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান । ভারতে গিয়ে তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে শুরু করেন । নিজের ব্যবসা শুরু করেন,সেখানে জমি কিনে বাড়ি ও নির্মাণ করেন । তবে তার সে সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি । দিনটি ছিল ২০০৮ সালের ১১ অক্টোবর, কলকাতা পুলিশের এক বিশেষ অভিযানে পুলিশের খাচায় প্রথমবারের মতো ধরা পড়েন এক সময়ের ঢাকা কাঁপানো শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন । পরবর্তীতে জামিনে মুক্ত হয়ে দুবাই চলে যান তিনি ।দুবাইয়ে কয়েকদিন অবস্থান করে আবারও কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি । কলকাতায় ফিরে এক চিত্রনায়িকার কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন তিনি । সেই চাঁদা দাবির ফোনকলের সূত্র ধরে ২০০৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স তাঁকে আটক করতে ধাওয়া করলে তিনি সীমান্ত অতিক্রম করে নেপালের কাকরভিটা শহরে পালিয়ে যান ।সেখানে গিয়ে প্রকাশ্যে অশোভন আচরণের অপরাধে আবারও নেপালি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন ।গ্রেফতার এর পর তাকে পাঠানো হয় পূর্ব নেপালের ভাদ্রপুর জেলে । সেখান থেকে পরবর্তীতে আবার তাকে স্থানান্তরিত করে পাঠানো হয় ঝুমকা কারাগারে । ২০১২ সালের ৮ নভেম্বর কারাগারের ভেতর লম্বা এক সুড়ঙ্গ দেখে চোখ কপালে ওঠে জেল কর্তৃপক্ষের! কারাগার থেকে পালিয়েছেন সুব্রত বাইন ।বাঁশ কাটার চাকু দিয়ে মাঠির নিচে প্রায় ৭৭ফুট লম্বা সুরঙ্গ তৈরি করে পালিয়ে যান সুব্রত বাইন । ঝুমকা কারাগার থেকে পালিয়ে সুব্রত বাইন আবারও চলে যান কলকাতায়।২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর যৌথ বাহিনীর অভিযানে কলকাতার বও বাজার এলাকা থেকে আবারও গ্রেফতার হন তিনি ॥এসময় তাঁর কাছ থেকে একটি নাইন মিলিমিটারের পিস্তল উদ্ধার করা হয় । কলকাতায় তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে মামলা রয়েছে । এরপর সুব্রত বাইনের আর কোনো গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায় নি । কলকাতায় অবস্থান কালীন সময়ে তিনি সেখানে থেকেই ঢাকার অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করতেন । ২০১২ সালের পর থেকে সুব্রত বাইনের নাম আর তেমন একটা শোনা যায় নি । চলতি বছরের ২১এপ্রিল রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য আরিফ সরদার ।সেই ঘটনায় উঠে আসে সুব্রত বাইনের অনুসারীদের নাম ।আবারও আলোচনায় আসেন সুব্রত বাইন । এই ঘটনায় ২০২৫ সালের ২৭মে কুষ্টিয়ার কালিশংকরপুর এলাকার সোনার বাংলা সরক‍এর একটি ছাত্রাবাস থেকে অস্ত্র সহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার হন এই মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী! তার গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশ জানায় সুব্রত বাইন ও তাঁর বাহিনী সম্প্রতি ভারত থেকে অস্ত্র এনে খুন সহ নানান অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন । তার এই গ্রেফতারের খবর সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে ।তার গ্রেপ্তার হওয়ার খবর এখন টক অব দ্য কান্ট্রি । অনেকেই প্রশ্ন করছেন কে এই সুব্রত বাইন? জানা যায়, সুব্রত বাইন ১৯৬৭ সালে ঢাকায় একটি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । তার পুরো নাম ত্রিমাতি সুব্রত বাইন ।সুব্রত বাইনের পিতা বিপুল বাইন যিনি পেশায় ছিলেন একটি এনজিওর গাড়িচালক ।তাদের পৈতৃক বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার জোবারপার গ্রামে । শৈশবে মা বাবা ও তিন বোনের সঙ্গে ঢাকার মগবাজারের ভাড়া বাসাতেই থাকতেন তিনি । অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়ার পর পরিবার ছাড়েন সুব্রত বাইন । তার বাবা মা ও ঢাকা ছেরে গাজীপুরের পূবাইলে জমি কিনে বাড়ি করে সেখানে বসবাস করছেন । সুব্রত বাইন পলাতক থাকা অবস্থায় পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখতেন ।সর্বশেষ ২০০৪ সালে তিনি গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সাথে দেখা করে এসেছিলেন । কলকাতায় কারাগারে থাকাকালীন সময়ও তিনি ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন । সুব্রত বাইনের দাম্পত্য জীবন ও বেশ নাটকীয় । ১৯৯৭ সালে কারাগারে থাকাকালীন সময়ে তার স্ত্রী লুসি সুব্রত বাইনের গ্রুপেরই এক সদস্যের প্রেমে পড়েন । কারাগার থেকে বের হয়ে এই ঘটনা জানার পর সুব্রত বাইন নিজেই তার স্ত্রী লুসিকে সেই যুবকের সাথে বিয়ে দিয়ে দেন । সুব্রত ও লুসির ঘরে দুই সন্তান ছিল ।পরে কুমিল্লায় বিউটি নামে এক নারীকে বিয়ে করেন সুব্রত Thanks for watching!