У нас вы можете посмотреть бесплатно বিজেপি বাড়ছে কেন? সিপিএম কমছে কেন? или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
সিপিএম এখন ৬১ বছর বয়সী, সবে সিনিয়র সিটিজেন হয়েছে আর বিজেপি ৪৫ সেই অর্থে তার জীবনের মধ্যগগনে। ১৯৬৪ তে এই কলকাতাতেই ত্যাগরাজ হলে সিপিএম পথচলা শুরু করেছিল, আর সেই থেকে আজ অবদি সিপিএম এর মাথায় কোনও বাঙালি সাধারণ সম্পাদক জোটেনি যদিও এক বিরাট সময়জুড়েই সিপিএম এর অস্তিত্ব বাংলার সঙ্গেই জুড়েছিল ওতোপ্রোতভাবে, প্রথমবার সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ। সেদিন সিপিএম সিপি আই কে দক্ষিণপন্থী সংশোধনবাদী ইত্যাদি বলার পরেই এই বাংলার নির্বাচনে দু দুটো যুক্তফ্রন্ট সরকার চালিয়েছিল যার অন্যতম শরিক ছিল সি পি আই। মানে দল ভেঙেছিল বটে আদর্শগত কারণে, কিন্তু সেই আদর্শগত ফারাক সরকার তৈরির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি। অন্যদিকে হিন্দু মহাসভা ১৯১৫ তে পথচলা শুরু করে, আর এস এস ১৯২৫ এ, হিন্দু মহাসভা সরাসরি রাজনীতিতে অংশ নিতে থাকে, আর এস এস ছিল তার সমাজ সেবা আর হিন্দু জাগরণের আড়ালে। কিন্তু গান্ধী হত্যার পরে হিন্দু মহাসভা এক উন্মাদ হিন্দুদের সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে পড়ায় আর এস এস এর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই ১৯৫১ সালে তৈরি হয় জনসংঘ। আর সেই সময়েই তার হিন্দু রাষ্ট্রের প্রোগ্রাম, গো হত্যার বিরুদ্ধে, ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধে, ৩৭০ ধারার বিরুদ্ধে, এবং দেশের নাগরিকত্বের প্রশ্নে তার হিন্দু ধারণাকে খুব রিজিডভাবেই তুলে ধরতে থাকে, সেই ধারণা এতটাই রিজিড ছিল যে জনসংঘ না পেয়েছে তেমন বন্ধু শক্তি, না বেড়েছে তার সংসদীয় ক্ষমতা। বরং সেই সময়ে কমিউনিস্টরা ছিল কংগ্রেসের পরে দ্বিতীয় শক্তি। ৫২/৫৭/৬২র নির্বাচনে কমিউনিস্টরা দু নম্বর জায়গাতে ছিল। আর এস এস খুব ধীরে হলেও তার শাখা বাড়াচ্ছিল, কাজ বাড়াচ্ছিল কিন্তু সংসদে খুব বিরাট জায়গা ছিল না। ১৯৬৭ সালে লোকসভা নির্বাচনে জনসংঘ সবচেয়ে বেশি ৩৫টা আসন পেয়েছিল। নেহেরু যুগ শেষ হবার পরে কংগ্রেসের মধ্যেকার দক্ষিণপন্থী প্রবীন নেতারা কংগ্রেস ছেড়ে কংগ্রেস অর্গানাইজেশন তৈরি করেন, ইন্দিরা গান্ধী সোভিয়েত ঘেঁসা এক অবস্থান থেকে ব্যাঙ্ক ন্যাশনালাইজেশন, কয়লাখনি জাতীয়করণ ইত্যাদি পদক্ষেপের মধ্যে দিয়েই এক সমাজতান্ত্রিক ধারণাকে গড়ে তুলতে থাকেন, কমিউনিস্ট পার্টির এস এ ডাঙ্গে বলেন এক দক্ষিণপন্থী উত্থানের বিরুদ্ধে আমাদের কংগ্রেসকে সমর্থন করতে হবে, সিপিএম কিন্তু তার বিরোধিতা করেই সি পি আই কে এক দক্ষিণপন্থী সংশোধনবাদী দল হিসেবেই চিহ্নিত করে। আর ঠিক সেই সময় থেকেই একটা ভাবনা জোরালো হতে থাকে যে ইন্দিরা গান্ধী আর কংগ্রেসের দাপট ভাঙতে বিরোধীদের একজোট হওয়া দরকার। পরের দশ বছর ধরে জনসংঘ ইন্দিরাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য নানা জোটে যোগ দেয়, কিন্তু শেষমেশ কোনো লাভ হয়নি। উলটে বাংলাদেশের যুদ্ধের পরে ইন্দিরার উচ্চতা, জনসমর্থন আরও বাড়ে। এরপর একটা বড় মোড় আসে জরুরি অবস্থার সময় ২৫ জুন, ১৯৭৫ থেকে ২১ মার্চ, ১৯৭৭। ইন্দিরা গান্ধীর সরকার তখন অনেক বিরোধী নেতাদের জেলে পাঠায়,আর সেই বিরোধীদের মধ্যে প্রবীণ কংগ্রেসী নেতারাও ছিলেন, সমাজতন্ত্রীরা ছিল, কিছু কমিউনিস্টরাও ছিলেন, যদিও জরুরি অবস্থায় সি পি এম এর খুব বড় মাথারা বিভিন্ন কারণে জেলের বাইরেই ছিলেন আর সি পি আই তো তখন ইন্দিরার সঙ্গে। সিদ্ধার্থসঙ্কর রায় সেই জরুরি অবস্থার সময়েই জ্যোতি বসু ইন্দিরা গান্ধীর বৈঠকও করিয়ে দিয়েছিলেন।