У нас вы можете посмотреть бесплатно শত বছর আগের ৮০০০ দুর্লভ গ্রামোফোন রেকর্ড রয়েছে যার সংগ্রহে | উপমহাদেশে গানের প্রথম রেকর্ড или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
দুর্লভ গ্রামোফোন যন্ত্র ও রেকর্ডের সংগ্রাহক অধ্যাপক ইকবাল মতিন আজকাল ইউটিউবে সার্চ দিলেই আমরা শুনতে এবং দেখতে পাই যে কোনো শিল্পীর গান। তবে আজ থেকে শতবর্ষ আগে গান শুনতে মানুষকে কি দুর্ভোগই না পোহাতে হতো। বিংশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত গান শোনার একমাত্র উপায় ছিল কলের গান বা গ্রামোফোন। বিশাল এক যন্ত্রে হাতল ঘুরিয়ে ভেতরে থাকা স্প্রিং এবং কয়েলের সাহায্যে বিশেষ ব্যবস্থায় এটিকে চালিয়ে শোনা হতো গান। আজকের প্রজন্মের কাছে প্রশ্ন জাগতে পারে গ্রামোফোন কী? গ্রামোফোন হলো আধুনিক রেকর্ড প্লেয়ার, যা স্টেরিও এবং সিডির পূর্বরূপ। গান শোনার এই যন্ত্রটি চালাতে কোনো বৈদ্যুতিক সংযোগের প্রয়োজন হতো না। একটা সময় এই গ্রামোফোনই বিনোদনের অন্যতম যন্ত্র ছিলো আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান সৌখিন সমাজের মানুষের কাছে। আভিজাত্য ও মর্যাদার প্রতীক হিসেবে এটিকে মূল্যায়ন করা হতো। সময়ের বিবর্তনে এই বিশেষ যন্ত্রটি আজ দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে। তবে কালজয়ী গানগুলোর অন্যতম সাক্ষী হয়ে ইতিহাসে মর্যাদার সোনালী অক্ষরে লেখা রয়েছে গ্রামোফোনের নাম। হারিয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক এ উপাদানটিকে এখনও সযত্নে আগলে রেখেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ইকবাল মতিন। রাজশাহী নগরীর বিবি হিন্দু একাডেমি সংলগ্ন সাগরপাড়া এলাকার পৈত্রিক বাড়িতে তিনি গড়ে তুলেছেন গ্রামোফোন যন্ত্র ও রেকর্ডের দুর্লভ এক সংগ্রহশালা। ডিস্ক রেকর্ডের আবিষ্কারক এমিল বার্লিনারের সহকারী ফ্রেডেরিক উইলিয়াম গেইসবার্গ ইংল্যান্ড থেকে কলকাতায় এসে ১৯০২ সালের ৮ নভেম্বর কণ্ঠশিল্পী মিস শশীমুখী ও মিস ফনীবালার দ্বৈতকণ্ঠের যে গান রেকর্ড করেছিলেন, তার মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষে গ্রামোফোন যুগের যাত্রা শুরু। দুর্লভ সেই গ্রামোফোন রেকর্ড ছাড়াও তৎকালীন সময়ের জনপ্রিয় সব কণ্ঠশিল্পীর গানের বেশ কিছু গ্রামোফোন রেকর্ড রয়েছে অধ্যাপক ইকবাল মতিনের সংগ্রহে। আট হাজার দুর্লভ গ্রামোফোন রেকর্ডের বিশাল এই সংগ্রহ একদিনে হয়নি। এজন্য ছোটবেলা থেকে অনেক কাঠ-খড় পোহাতে হয়েছে ইকবাল মতিনকে। গ্রামোফোন রেকর্ড সংগ্রহের পাশাপাশি বিভিন্ন মডেলের গ্রামোফোন যন্ত্র সংগ্রহের জন্য অধ্যাপক ইকবাল মতিনকে যেতে হয়েছে দেশবিদেশের নানা স্থানে। সর্ম্পক স্থাপন করতে হয়েছে চেনাজানা অনেক মানুষের সাথে। আবার একেকটি গ্রামোফোন রেকর্ড সংগ্রহ করতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দিনের পর দিন। গানের পাশাপাশি যন্ত্রসংগীত, নাটক এমনকি বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে পণ্য বাজারজাত করতে যে বিজ্ঞাপন বাজানো হতো, তার রেকর্ডও সংগ্রহ করে রেখেছেন অধ্যাপক ইকবাল মতিন। শুধু তাই নয়, তার সংগ্রহশালায় রয়েছে সংগীত সংশ্লিষ্ট নানা দুর্লভ বই। ধ্যান-জ্ঞান-মন-মননে সর্বদা গ্রামোফোন সংগ্রাহক এ মানুষটি অর্জন করেছেন কলের গানের জীবন্ত বিশ্বকোষের মর্যাদা। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ইকবাল মতিনের জন্ম ১৯৫৬ সালে। ব্যক্তিগত জীবনে একজন প্রকৌশলী হলেও সংগীত বিষয়ক গবেষনার পাশাপাশি তিনি একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় বেহালাবাদক। #Gramophone #BanglarKotha #কলের_গান