У нас вы можете посмотреть бесплатно Guwahati To Mayong by Bike ||Kolkata To Meghalaya||Episode-3||Capital of Black magic или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
Guwahati To Mayang||Kolkata To Meghalaya||Episode-3||Capital of Black magic #travellerjit মায়ং গ্রাম: ইতিহাস ও ঐতিহ্য মায়ং, অসমের মরিগাঁও জেলায় অবস্থিত একটি রহস্যময় গ্রাম, যা "কালা জাদুর ভূমি" নামে পরিচিত। গ্রামের নামটি সম্ভবত সংস্কৃত শব্দ মায়া থেকে এসেছে, যার অর্থ "জাদু" বা "মোহ"। এই গ্রামের ইতিহাস রহস্য, লোককাহিনি এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। --- ইতিহাসিক পটভূমি ১. কালা জাদুর কেন্দ্র শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মায়ং কালা জাদুর এক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কথিত আছে, এখানে জাদুকররা এমন সব অলৌকিক কাজ করতে পারতেন, যেমন মানুষের অদৃশ্য হওয়া, মনের উপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করা, বা মন্ত্র দ্বারা বস্তু পরিবর্তন করা। যদিও এর বেশিরভাগই কল্পনা ও কিংবদন্তি, এটি মায়ং-এর অনন্য পরিচয় গড়ে তুলেছে। ২. পৌরাণিক গুরুত্ব মহাভারত-এ মায়ং-এর উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানে ভীমের পুত্র ও মহা জাদুকর ঘাটোৎকচ এই অঞ্চলে তার মায়াবী শক্তির ব্যবহার করেছিলেন বলে বলা হয়। কথিত আছে, মায়ং ছিল প্রাচীন জাদুকর এবং নিরাময়কারীদের প্রশিক্ষণের একটি প্রধান স্থান। ৩. প্রাচীন অসমে ভূমিকা মায়ং ছিল অসমের প্রাচীন সমাজ-সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতি ও আয়ুর্বেদের সঙ্গে জাদুকরী রীতির মিশ্রণের জন্য পরিচিত ছিল। এই অঞ্চলের নিরাময়কারীরা (বেজ) মন্ত্র, তন্ত্র এবং ভেষজ ব্যবহার করে রোগ নিরাময় করতেন। ৪. যুদ্ধ ও রাজাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থানীয় কিংবদন্তি অনুসারে, মায়ং-এর জাদুকরদের রাজাদের দ্বারা যুদ্ধক্ষেত্রে ডাকা হতো। তারা যুদ্ধ কৌশল এবং মায়াবী বিভ্রম তৈরি করে শত্রুদের পরাজিত করতে সাহায্য করতেন। --- সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ১. জাদুর প্রাচীন পাণ্ডুলিপি মায়ং-এ বহু পুরনো পাণ্ডুলিপি রয়েছে, যা কালা জাদু এবং তান্ত্রিক প্রথার বিবরণ দেয়। এগুলি প্রধানত অসমীয়া ও সংস্কৃতে লেখা। এই পাণ্ডুলিপিগুলি মায়ং কেন্দ্রীয় সংগ্রহশালা ও শিল্পকেন্দ্র-এ সংরক্ষিত। ২. মৌখিক ঐতিহ্য মায়ং-এর জাদুর কৌশল প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মৌখিকভাবে স্থানান্তরিত হয়েছে। গ্রামের প্রবীণরা এখনও অতীতের জাদুকরদের কাহিনি ও অলৌকিক ঘটনার গল্প শোনান। ৩. নিরাময় প্রথা আজও কিছু নিরাময়কারী (বেজ) আছেন, যারা মন্ত্র ও রীতির মাধ্যমে শারীরিক এবং মানসিক রোগ নিরাময় করেন। এটি মায়ং-এর ঐতিহাসিক পরিচয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। --- লোককাহিনি ও কিংবদন্তি ১. রূপান্তরের মন্ত্র মায়ং-এর জাদুকররা নাকি মানুষকে পশুতে রূপান্তর করতে পারতেন বা বস্তু অদৃশ্য করতে পারতেন। ২. অদৃশ্য হওয়ার গল্প স্থানীয় কাহিনিতে শোনা যায়, জাদুকরদের অভিশাপে মানুষ হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যেত। ৩. রহস্যময় প্রাণী লোককাহিনিতে বলা হয়, মায়ং-এর বিশেষ কিছু বাঘ ছিল, যারা মানুষের কথা বুঝতে পারত এবং মন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতো। --- বর্তমান মায়ং যদিও মায়ং-এর রহস্যময়তা অনেকটাই কমে গেছে, এটি আজও এক আকর্ষণীয় স্থান। পর্যটক, ঐতিহাসিক এবং নৃবিজ্ঞানীরা মায়ং-এর কালা জাদুর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে এখানে আসেন। স্থানীয়রা খুবই অতিথিপরায়ণ এবং তাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণে যত্নশীল। তবে, আধুনিক মায়ং কালা জাদুর চর্চার চেয়ে বেশি ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার উপর জোর দেয়। মায়ং-এর মিশ্রণধর্মী রহস্য, পৌরাণিকতা এবং ইতিহাস এটি ভারতের সংস্কৃতির এক অনন্য অধ্যায়ে পরিণত করেছে। গুয়াহাটি থেকে মায়ং পর্যন্ত একটি রোড ট্রিপ অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর এবং অনন্য অভিজ্ঞতা হতে পারে। মায়ং, যা "ভারতের কালা জাদুর রাজধানী" নামে পরিচিত, অসম রাজ্যের মরিগাঁও জেলায় অবস্থিত। এটি ঐতিহ্যবাহী জাদু এবং রহস্যময় সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। চলুন, এই রোড ট্রিপের পূর্ণ বিবরণ দিই। মোট রুট এবং দূরত্ব দূরত্ব: প্রায় ৪০-৫০ কিলোমিটার সময়: প্রায় ১-১.৫ ঘণ্টা (রাস্তার অবস্থার উপর নির্ভর করে)। রুট: গুয়াহাটি → চন্দ্রপুর → মরিগাঁও → মায়ং ভ্রমণের জন্য সেরা সময় অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত আবহাওয়া বেশ মনোরম থাকে। বর্ষাকালে অঞ্চলটি ভেজা এবং কাদাময় হতে পারে, তাই সেই সময় এড়ানো ভালো। --- রোড ট্রিপের বিস্তারিত ১. গুয়াহাটিতে যাত্রার শুরু: আপনার যাত্রা শুরু হবে গুয়াহাটির শহরের ব্যস্ততা থেকে। NH-27 ধরে পূর্বদিকে এগোন। ব্রহ্মপুত্র নদী এবং এর চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পাবেন। ২. চন্দ্রপুরের দিকে যাত্রা: গুয়াহাটির থেকে বেরিয়ে চন্দ্রপুরে পৌঁছাবেন। এটি ব্রহ্মপুত্রের ধারের একটি সুন্দর এলাকা। এখানকার স্থানীয় জীবনযাত্রা দেখতে এবং একটু বিশ্রাম নিতে পারেন। ৩. মরিগাঁও জেলায় প্রবেশ: মায়ং মরিগাঁও জেলায় অবস্থিত, তাই এখানে ঢুকলে স্থানীয় চা বাগান এবং গ্রাম্য দৃশ্য দেখতে পাবেন। অঞ্চলটি তার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি এবং খাদ্যের জন্যও পরিচিত। ৪. মায়ং পৌঁছানো: মায়ং গ্রামে পৌঁছানোর পর আপনাকে স্বাগত জানাবে এর রহস্যময় পরিবেশ। এখানকার মানুষ কালা জাদু এবং লোকজ চিকিৎসা সম্পর্কে বহু পুরনো কাহিনী এবং বিশ্বাস লালন করেন। --- মায়ং-এর আকর্ষণীয় স্থানসমূহ 1. মায়ং মিউজিয়াম: কালা জাদু এবং ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর সংগ্রহ। 2. পবিতরা অভয়ারণ্য: বন্যপ্রাণী প্রেমীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ। 3. ব্রহ্মপুত্র নদীর তীর: নদীর ধারে বসে সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারবেন। 4. লোকজ উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: বিশেষ সময়ে গেলে স্থানীয় উৎসব উপভোগ করতে পারেন। --- ট্রিপের জন্য টিপস স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বললে তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন। ড্রাইভ করার সময় চা বাগানের রাস্তার পাশে থেমে কিছু সময় উপভোগ করতে ভুলবেন না। খাবার জন্য স্থানীয় ধাবা বা রেস্তোরাঁতে আসল অসমীয়া খাবার চেখে দেখতে পারেন। এই রোড ট্রিপ আপনাকে প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে।