У нас вы можете посмотреть бесплатно রোহিঙ্গা শিবিরের দুর্লভ ড্রোন ভিডিও или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
সীমান্ত পাড়ি দিয়ে স্রোতের মত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসা শুরু করে ২০১৭ সালে। ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা এখন কক্সবাজারের টেকনাফে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরনাথী শিবিরের দেশ এখন বাংলাদেশ। আগের সবুজ বন বনানী পাহাড় এখন রোহিঙ্গাদের আবাস্থল। অস্থায়ী ঘর পেতে শত শত কিলোমিটার পাহাড় জুড়ে বসেছে রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারের রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মুখে মুখে নিযাতনের কাহিনী। তাদের স্বজনদের অনেক প্রাণ দিয়েছেন। পালিয়ে এসেছেন যারা বেঁচেছিলেন। রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, খাদ্য ও আশ্রয়ের অধিকারের পাশাপাশি তাদের মানবিক সহায়তা পাওয়ার অধিকারও ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এখন রোহিঙ্গাদের বঙ্গপোসাগরে ভেসে উঠা ৩০ বছরের পুরনো একটি দ্বীপে পাঠানোর ব্যবস্থা চুড়ান্ত হযেছে। কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে নেওয়ারও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর নিরাপত্তা জোরদারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চারদিক কাঁটাতারের বেড়ায় আগলে রাখা হচ্ছে। পাহাড়েরর কিনারে কিনারে এখন কাঁটাতারের বেড়া। মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসার ঘটনা নতুন নয়৷ সেই সত্তরের দশকের শেষের দিক থেকে নানা সময় রোহিঙ্গারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন৷ এদের একটি অংশ ফিরেও গেছেন৷ তবে ২০১৭ সালে একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, সাতলাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন৷ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশের টেকনাফ, উখিয়ার দূরত্ব বেশি নয়৷ মাঝখানে বড় বাধা বলতে নাফ নদী৷ তাই সীমান্ত পেরিয়ে সহজেই ঢুকে যাওয়া যায় বাংলাদেশে৷ গত চার দশকে তাই ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণভয়ে পালিয়ে এসেছেন বাংলাদেশে৷ উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরের বেশিরভাগেই এখন একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষ ও সংঘাত শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ক্যাম্পে নিচ্ছে শত শত শিশু। বাংলাদেশ এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন এবং রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বিশ্বের বড় দেশগুলোর জোরালো অবস্থান চায়। কিন্তু শুরু থেকে বাংলাদেশের একের পর এক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যথ হচ্ছিল। বিভিন্ন এনজিও তথ্য বলছে, গত ৩ বছরে ক্যাম্পগুলোতে জন্ম নিয়েছে ৯০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শিশু। অপেক্ষায় আরও ৩০ হাজারের বেশি শিশু। কোনো কোনো তথ্যে এ সংখ্যা লক্ষাধিক। কারণ ২০১৭ সালের আগস্টে যখন রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এ দেশে আশ্রয় নিয়েছিল, সে বছরই প্রায় অর্ধলক্ষ রোহিঙ্গা শিশু জন্ম নেয় এ দেশে। বর্তমানে সন্তানসম্ভবা রয়েছেন ৩০ হাজারের অধিক নারী। রোহিঙ্গাদের সহায়তায় নিয়োজিত ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের (আইএসসিজি) তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ নারী। এদের মধ্যে ১৩ শতাংশ কিশোরী এবং ২১ শতাংশ প্রসূতি নারী ছিল।