লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত | শাইখ আতাউল্লাহ নেওয়াজী скачать в хорошем качестве

লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত | শাইখ আতাউল্লাহ নেওয়াজী

লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত | শাইখ আতাউল্লাহ নেওয়াজী লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত লাইলাতুল কদর হলো ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে মহিমান্বিত রাত। এটি রমজান মাসের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোর মধ্যে একটি, বিশেষত ২৭তম রাতকে অধিক সম্ভাবনাময় বলা হয়। আল্লাহ তায়ালা এই রাতকে এত মহিমান্বিত করেছেন যে, কুরআন মাজীদে একটি সম্পূর্ণ সূরা (সূরা আল-কদর) নাজিল করা হয়েছে এই রাতের গুরুত্ব বর্ণনা করতে। লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ১. কুরআন নাজিলের রাত: আল্লাহ তায়ালা বলেন— “নিশ্চয়ই আমি এটি (কুরআন) কদরের রাতে নাজিল করেছি।” (সূরা আল-কদর: ১) ২. হাজার মাসের চেয়ে উত্তম: এই রাতের ইবাদত ৮৩ বছর ৪ মাস (হাজার মাস) ইবাদত করার সমতুল্য। “লাইলাতুল কদর হলো হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।” (সূরা আল-কদর: ৩) ৩. ফেরেশতাদের অবতরণ: এ রাতে ফেরেশতারা দুনিয়ায় অবতরণ করেন, বিশেষত জিবরাঈল (আ.)। “সে রাতে ফেরেশতাগণ ও রূহ (জিবরাঈল) তাঁদের রবের নির্দেশক্রমে প্রত্যেকটি কাজে অবতরণ করেন।” (সূরা আল-কদর: ৪) ৪. গুনাহ মাফের সুযোগ: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন— "যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমান ও প্রত্যাশা সহকারে ইবাদত করবে, তার অতীতের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।" (বুখারি: ১৯০১, মুসলিম: ৭৬০) কীভাবে লাইলাতুল কদর লাভ করা যায়? ইবাদতে রাত জাগা (নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির) তাওবা ও ইস্তিগফার করা দোয়া করা, বিশেষত এই দোয়াটি বেশি বেশি পড়া: اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ العَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي “হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করাকে ভালোবাসো, আমাকে ক্ষমা করে দাও।” (তিরমিজি: ৩৫১৩) উপসংহার লাইলাতুল কদর একটি অমূল্য সুযোগ, যা আমাদের জন্য গুনাহ মাফ, রহমত ও জান্নাত লাভের সোপান। তাই এই রাতে বেশি বেশি ইবাদত করে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই বরকতময় রাতের ফজিলত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।