Kobir Jobanbondi | কবির জবানবন্দি | Bengali poem | বাংলা কবিতা | Shermin Islam | Bangladesh 2023 скачать в хорошем качестве

Kobir Jobanbondi | কবির জবানবন্দি | Bengali poem | বাংলা কবিতা | Shermin Islam | Bangladesh 2023

Kobir Jobanbondi | কবির জবানবন্দি | Bengali poem | বাংলা কবিতা | Shermin Islam | Bangladesh 2023 Shermin Blog is my Channel. This is Shermin Islam (শারমিন ইসলাম). I'm a Bangladeshi poet and author. In this channel I like to present Bangla Poem (বাংলা কবিতা) which are recited ( কবিতা আবৃত্তি) by me. I have a blog site name sherminislam.com. My native language is Bangla (বাংলা). I like to keep writing poem, story and novel which will represent love, nature and society. Also I wrote some bangle song (বাংলা গান), story ( বাংলা গল্প ). Follow us on: https://sherminislam.com/ Follow us on:   / sherminislamblog   Follow us on: https://sherminislam.com/onuvutir-jou... Subscribe    / @sherminsblog   #bengali_poem #Bengali_poem_recitation #বাংলা_কবিতা #poem_writer #প্রেমের_কবিতা #bangla_love_poem #বাংলা_কবিতা_আবৃত্তি #আবৃত্তি #poem_recitation #কাব্য #কবিতা_ছন্দ কবির জবানবন্দি কবি: শারমিন ইসলাম যে দিন তোমাদের উচ্চ আদালতে আমায় নিয়ে বিচারকার্য শুরু হলো সেদিন জানলাম আমি অপরাধী! কলম ধরবার জন্য কবিও গ্রেফতার হয়! ফাইলের উপর ফাইল জমা হলো। বিচারকবৃন্দ আসলেন উকিল,পুলিশ, মোক্তার, মুহুরী সকলেই উপস্থিত। উপস্থিত আদালত পাড়ার নারী পুরুষেরা, যেন পালাবার পথ রোধ করে দাঁড়িয়ে আছে সকলে। আমি হাসলাম! মানুষকে আটকে রাখা এতো সহজ!? এখানে যারা আছেন তাদের মাঝে আমি কোন সত্যিকারের মানুষ খুঁজে পেলাম না। ফসিল গুলো দেখে যা বুঝতে পারলাম এরাও এক সময় মানুষ ছিল, এখন এরা সব ভুলে সভ্য হতে সব্যসাচী সেজেছে। এক এক করে শুনানি শুরু হলো। আমি বললাম মাননীয় বিচারকবৃন্দ, আমাকে মানবতার শত্রু সাব্যস্ত করা হয়েছে বলা হয়েছে আমি দেশদ্রোহী। আমি লিখেছি নারীভ্রুন হত্যার বিরুদ্ধে প্রতি পদক্ষেপে নারী অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি নারী ও শিশু ধর্ষণের। আমার কলমের ডগায় নাচিয়েছি নপুংসক, ধর্ষক ও নির্যাতকের গোষ্ঠী। সমূলে উৎপাটন করতে চেয়েছি খুনির! যারা জন্ম থেকে খুনি নয় অথচ এ সমাজ যাদের তিলেতিলে খুনি করে তুললো তার ব্যবচ্ছেদ করতে চেয়েছি নির্বাক অক্ষরে। আমি সুবিচার চেয়েছিলাম যে কোন হত্যার। যৌতুকের প্রবল চাপের মুখে যে নারী দিকভ্রান্ত হয়ে আত্নহত্যা করলো কিংবা স্বদেশ থেকে শরনার্থী শিবিরে যাবার পথে জলে ডুবে মরলো যে শিশু অথবা যে বোনটি আমার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হলো, লাশ পাওয়া গেলো নদীর ধারে; সে সব হত্যার বিচার চেয়েছি আমি। যে বাবা অভাবের তাড়নায় বিষ তুলে দিল সন্তানের মুখে কিংবা সন্তানকে বিক্রি করে দিলো সস্তা দামে। আমি বিচার চেয়েছি আরো এমন হাজারটা হত্যার - সকল পরিকল্পিত যুদ্ধ ও গনহত্যার। আমার লেখায় বিচার চেয়েছিলাম তাদের যারা মানুষকে তিলেতিলে হত্যা করে মস্তিষ্ক খেঁকো জানোয়ার রুপে! আমি সকল হত্যাকারীদের শাস্তি চেয়েছিলাম, গলায় দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডে নয়, বরং সার্বজনীন তিরস্কার মেখে দেয়া হোক মুখে; পায়ে দড়ি বেঁধে যতদিন লাগে ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হোক! এক একটি জীবন নাশকারীর মৃত্যু যেন সহজ না হয়। বিপক্ষের উকিল চেঁচিয়ে উঠলেন- উনি সংবিধান লঙ্ঘন করছেন মাই লর্ড! দ্রোহীতা স্পষ্ট; অপরাধ প্রমাণিত! বিচারক- অবজেকশান ওভাররুল! আমি বললাম- আমি চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে চেয়েছিলাম মানুষ শব্দের! যাতে নারী ও পুরুষ দুটো আলাদা নাম হয়েও, মানুষ নামে পুর্নতা পায়! আমি স্বপ্ন দেখতাম-মানুষ দ্বারা পরিচালিত বিশেষ উচ্চতা পাওয়া এমন এক সমাজ তৈরির যেখানে পরম শ্রদ্ধায় উচ্চারিত হয় ‘মানুষ’ শব্দটি। যে সমাজে একদল খাবে অন্য দল অনাহারে চেয়ে থাকবে এমন সমাজ আমি চাইনি! আমি চাইনি শুধুমাত্র মুনাফার লোভে মানুষের অন্তরে তৈরি হোক প্রভেদ; অন্তঃসারশূন্য বিজ্ঞাপনে প্রচার করা বন্ধ হোক নানা অবাস্তব প্রলোভন! অনেক কোমলমতি প্রান বিভ্রান্ত না হোক; হাজার শখের মৃত্যু বন্ধ হোক প্রতি মুহূর্তে! আমি মুক্তি চেয়েছিলাম ধর্মান্ধতার। যা কিনা আমারই ভাই কে আলাদা করে আমার থেকে। ধর্মের জন্য জীবন নয় বরং জীবনের জন্য ধর্ম হোক। বন্ধ হোক সকল অপব্যাখ্যা, কুসংস্কার এবং অযাচিত নির্যাতনের। সেই জন্য আমার পদবিতে জুড়ে দেয়া হলো নাস্তিক! হায় বিস্ময়! সৃষ্টিকর্তার উপর আমার বিশ্বাসের ঘাটতি ছিলা না কোন কালেই। আমি চেয়েছিলাম শত সহস্র উলঙ্গ শিশু আর বস্ত্রহীন, অনাহারী না হোক। রোদ বৃষ্টি ঝড়ে ওদের মাথার উপর ছাউনিটুকু থাকুক। নিশ্চিন্তে খেয়ে বাঁচুক; আনন্দে বাঁচুক। বিপক্ষের উকিল তখন কিছু একটা বলতে গিয়ে থামলেন, কিছুটা ঘাম মুছলেন; কিছুটা পানি পান করলেন। আমি আমার প্রিয় কলমটিকে অনুভব করতে চাইলাম এক মুহুর্ত চোখ বুজে! চাপা গুঞ্জন শুরু হলো। হঠাৎ অর্ডার, অর্ডার, অর্ডার বিচারক চেঁচিয়ে উঠলেন। আমি শান্ত নিরুত্তর তাকিয়ে আছি হিমালয়ের মত স্থির! শুন্য দৃষ্টিতে কারো পানে প্রার্থনায় নয়। বিপক্ষের উকিল আমার অপরাধের সূচিপত্র পাঠ শুরু করলেন- কবির এসব হাবিজাবি প্রেমউল্লাসমাখা লেখা উচ্ছন্নে পাঠাচ্ছে তরুণদের। খেঁকিয়ে বললেন- ধর্ষণের প্রতিবাদ করা লেখাগুলো নাকি উস্কে দিচ্ছে বিকৃত কামবোধ! বর্নবাদ ও ধর্ম নিয়ে লেখাগুলো চরম অস্থিরতা ছড়াচ্ছে রাষ্ট্রে! সাধারণ জনগন থেকে শুরু করে মন্ত্রী মিনিস্টার কেউ বাদ পড়ছে না উনার লেখায়...(চলবে) https://sherminislam.com/kobir-jobanb...