У нас вы можете посмотреть бесплатно আঁখি ডাটা চাষ করে কৃষক শামছুল হক চৌধুরীর অভাবনীয় সাফল্য। или скачать в максимальном доступном качестве, которое было загружено на ютуб. Для скачивания выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru
কয়েকদিন ধরে আমাদের খুব কাছের একজন চাষি ভাইয়ের ফোন পাচ্ছিলাম সময় করে উঠতে পারি নাই অবশেষে অদ্য শুক্রবার ছুটির দিনে ঘুরে আসলাম তার বাড়ি থেকে। কৃষক মিঃ শামসুল হক তালুকদার, গ্রামঃ নোয়াপাথারিয়া, উপজেলাঃ বানিয়াচং, জেলাঃ হবিগঞ্জ। ফসলঃ ডাটা জাতঃ আঁখি জমির পরিমাণঃ ৪৫ শতাংশ বীজ বপনঃ ফালগুন মাসে সরজমিনে গিয়ে আমরা দেখলাম এবং কৃষকের ভাষ্যমতে যে কোনো ফসলের মাঝে সাথি ফসল হিসেবে আঁখি জাতের ডাটা চাষ করা যায় আবার ব্যাপকভাবে বানিজ্যিক ভাবেও চাষ করা যায় উচ্চ ফলনশীল ডাট। বর্তমান বাজারে উক্ত কৃষক প্রতিটা ডাটা বিক্রি করছেন ৪০ টাকা খুচরা আর পাইকারি ৩০ টাকা করে। আঁখি ডাটার ফলন দেখে উক্ত কৃষক ভাইয়ের খুশীর শেষ নেই। প্রতিদিনই দুর দূরন্ত থেকে ও আশে-পাশের অনেক কৃষক তার ফসল দেকতে আসে। প্রতিটা ডাটার বর্তমান উচ্চতা গড় ৬-৭ ফিট, অনেক মোটা, পুষ্ট, দেখতে এবং খেতে খুব সুসাদু, খুব নরম ও কোনো আঁশ নেই। প্রতিটা ডাটার গড় ওজন ০৩ কেজি (পাতা ও ডালপালা ছাড়া) ডালপালা সহো গড় ওজন ০৪ কেজি করে। কৃষক আশা করতেছেন যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে উক্ত জমি থেকে ৮০,০০০- ৯০,০০০ টাকার ডাটা বিক্রি করা সম্ভব এবং উনি শেষ উত্তলোন করবেন কুরবানির ঈদের পরে কেননা সিলেট বিভাগের অনেকেই মাংসের সাথে ডাটা খেতে খুব ভালোবাসেন। আসুন জেনে নেই ব্র্যাক সীডের নিজস্ব উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল আঁখি জাতের ডাটার বৈশিষ্ট্য সমূহঃ ০১) সারা বছর চাষ উপযোগী ০২) ভাইরাস সহনশীল ০৩) গড় উচ্চতা ০৭-০৮ ফিট্ ০৪) অন্যান্য জাতের তুলনায় ফুল অনেক পরে আসে তাই ০৬-০৭ মাস পর্যন্ত জমিতে রাখা যায় ০৫) শাক হিসাবেও খাবার উপযোগী ০৬) আঁশ হয়না তাই খেতে সুসাদু ০৭) যে কোন মাটিতে চাষ উপযোগি ০৮) বাড়তি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। ০৯) যে কোনো ফসলের মাঝে সাথি ফসল হিসেবে আঁখি জাতের ডাটা চাষ করা যায়। ডাটা একটি গ্রীষ্মকালীন সবজি। ডাটায় পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন- এ, বি, সি , ডি এবং ক্যালসিয়াম ও লৌহ বিদ্যমান।খুব কম সবজিতে এত পরিমাণ বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও খনিজ লবন থাকে। ডাটা চাষ মূলত শীতকাল ও গ্রীষ্মকাল দুই ঋতুতেই করা যায়। এতগুলো ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ সবজি খুব কম লক্ষ্য করা যায়। আজ আমি আপনাদের সাথে ডাটা শাক চাষের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। এতে করে আপনারা সহজেই ডাটা শাক চাষের বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন দেখে নিন ডাটা শাক চাষের বিস্তারিত: মাটির বৈশিষ্ট্য: ডাটার জন্য উর্বর ও গভীর মাটি প্রয়োজন। সুনিষ্কাশিত অথচ জো থাকে এমন মাটিতে এটি সবচেয়ে ভাল জন্মে। উৎপাদন কৌশল: ডাটার আবাদ সাধারনত খরা মৌসুমেই করা হয়। শীত প্রকট ও দীর্ঘস্থায়ী নয় বলে রবি মৌসুমে ও এর চাষ সম্ভব। জমি তৈরি: ডাটার জন্য জমি গভীর করে মিহি করে প্রস্তুত করতে হবে। জমিতে বড় ঢেলা থাকবে না। ডাটা সাধারনত কান্ড উৎপাদনের জন্য চাষ করা হয়। এছাড়া ও শাক ও খাওয়া হয়ে থাকে। প্রতিটি চারা ৩০ সে.মি দূরত্বে সারি করে লাগানো যেতে পারে। চারা গজানোর পর ক্রমান্বয়ে পাতলা করে দিতে হবে। যেন শেষ পর্যন্ত সারিতে পাশাপাশি দুটি গাছ ৮/১২ সে.মি দূরত্বে থাকে। যেসব জাতের কান্ড অনেক মোটা ও দীর্ঘ হয় এবং দেরিতে ফুল উৎপাদন করে সেগুলো আরও পাতলা করে লাগানো উচিত যেমন ব্র্যাক সীডের আঁখি জাতের ডাটা। বীজের পরিমান: ডাটা শাক চাষের জন্য শতাংশ প্রতি ১৫-২০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। বীজ বপন: জমি গভীর ভাবে চাষ দিয়ে বড় ঢেলা ভেঙে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। সারিতে কাঠির সাহায্যে ১-১.৫ সে.মি গভীর লাইন টানতে হবে। লাইনে বীজ বুনে হাত দিয়ে সমান করে দিতে হবে। ছিটিয়ে বুনলে বীজের সঙ্গে সমপরিমাণ ছাই বা পাতলা বালি মিশিয়ে নিলে সমভাবে বীজ পড়বে। বপনের পর হালকা ভাবে মই দিয়ে বীজ ঢেকে দিতে হবে। জমিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে ঝাঝরি দিয়ে হালকা করে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। তাহলে বীজ দ্রুত এবং সমানভাবে গজাবে। সার ব্যবস্থাপনা: (প্রতি শতাংশের জন্য) ব্র্যাক জিংক ৩০ গ্রাম, ব্র্যাক ম্যাগনেশিয়াম ৫০-৬০ গ্রাম ব্র্যাক জিপসাম ৫০০ গ্রাম ব্র্যাক সীডের, "তেজ" জৈব সার ৪০ কেজি। ইউরিয়া ২৬০-৩০০ গ্রাম টিএসপি ৮০০ গ্রাম এমওপি ৬০০ গ্রাম সমুদয় গোবর, টিএসপি, অর্ধেক ইউরিয়া এবং পটাশ সহো অন্যান্য সার শেষ চাষের সময় সমানভাবে ছিটিয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। বীজ বপনের ১৫ দিন পর অবশিষ্ট পটাশ এবং ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ডাটা শাক চাষে অন্যান্য প্রযুক্তি গাছ পাতলাকরণ ও আগাছা দমন বীজ বপনের এক সপ্তাহ পর গাছ পাতলা করণ ও আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। সারিতে ৫ সে.মি পর পর চারা রেখে পাতলা করে দিতে হবে। জমির উপর চটা লেগে গেলে ভেঙ্গে দিতে হবে। এতে করে দ্রুত গাছ বৃদ্ধি পাবে এবং গোড়া পচা রোগ থেকে রক্ষা পাবে। পানি সেচ: শুষ্ক মৌসুমে এক সপ্তাহ পর পর সেচ দিতে হবে। নতুবা শাক/ডাটা খসখসে হয়ে যাবে। রোগ ও পোকা মাকড় দমন: মরিচা রোগ এ রোগ গাছের শিকড় ছাড়া সকল অংশকেই আক্রমণ করে। সাদা অথবা হলুদ দাগ পাতার নিচে দেখতে পাওয়া যায়। পরে সেগুলো লালচে বা মরিচা রং ধারন করে এবং পাতা মরে যায়। প্রতি লিটার পানিতে ১.৫ গ্রাম মেনকোজেব ঔষধ মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। শুয়া পোকা: এ পোকা গাছের পাতা খেয়ে গাছের ক্ষতি করে থাকে। যেকোন ৫৫ ইসি, ৪.৫-৫ এম এল প্রতি শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে। ডাটা সংগ্রহ ও পরবর্তী করণীয় ভালো স্বাদ পাওয়ার জন্য পাতা নরম বা মোলায়েম অবস্থায় শাক সংগ্রহ করতে হবে। কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকলে ৫-৭ দিন পর পর শাক সংগ্রহ করতে হবে। ফসল তোলা: কান্ডপ্রধান জাতে ফসল সংগ্রহের কোনো নিদির্ষ্ট সময় নেই। গাছে ফুল আসার পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো সময় ফসল তোলা যেতে পারে। ডাটার কান্ডের মাঝামাঝি ভাঙার চেষ্টা করলে যদি সহজে ভেঙে যায় তাহলে বুঝতে হবে আশমুক্ত অবস্থায় আছে। তখনই সংগ্রহের উপযুক্ত সময় বলে বিবেচিত হবে। ফলনঃ ডাটা শাক একটি উচ্চ ফলনশীল সবজি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে উন্নত জাত যেমন আঁখি চাষ করলে প্রতি একরে ১০০-১২০ টন ডাটা পাওয়া সম্ভব। আজ আমি ডাটা শাক চাষ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করি আপনারা সকলেই উপকৃত হবেন।ব্র্যাক সীড এখন আধুনিক কৃষির কথা বলে। প্রতিবেদনে ঃ মোঃ আনিছুর রহমান আরএসএম, ব্র্যাক সীড হবিগঞ্জ।