У нас вы можете посмотреть бесплатно ধানমন্ডি ৩২ | Dhanmondi 32 | বঙ্গবন্ধুর বাড়ি | или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
#ধানমন্ডি ৩২ #বঙ্গবন্ধুর বাড়ি একসময়ের ধানমন্ডি-৩২ নম্বর রোডের ৬৭৭ নম্বর বাড়ি। যার পরিবর্তিত বর্তমান ঠিকানা ১০ নম্বর বাড়ি, রোড নম্বর-১১, ধানমন্ডি-ঢাকা। এর ব্যাপ্তি ছড়িয়েছে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর’ নামে। ১৯৬১ সাল থেকে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে এখানেই থাকতেন। এ বাড়ি থেকেই পরিচালিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিটি ধাপ। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যাকান্ডের শিকার হওয়ার ছয় বছর পর তার বড় সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেও তাকে এ বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে তিনি হাউস বিল্ডিংয়ের ঋণ শোধ করে বাড়িটি বুঝে পান। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবিত দুই সন্তান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার সম্মিলিত সিদ্ধান্তে ১৯৯৪ সালের ১৪ আগস্ট থেকে বাড়িটি জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়। দখল হয়ে যায় বাড়িটি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১০ জুন পর্যন্ত এই বাড়িটি সামরিক কর্তৃপক্ষের অধীনে ছিল। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু পরিবারের কোনো সদস্যকেই এ বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। এমনকি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে ১৭ মে দেশে ফিরলেও সেদিন তাকে এই বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যে কারণে বাড়ির বাইরের সামনের চত্বরে বসে পরিবারের সদস্যসের জন্য দোয়া ও মিলাদ পড়েন তিনি। এর কিছুদিন পর হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের ঋণে নির্মিত ভবনটি নিলামে ওঠানো হয়। তৎকালীন প্রায় ১২ হাজার টাকার কিস্তি পরিশোধ না হওয়ায় নিলামে চড়ানো হয় বাড়িটি। সে টাকা পরিশোধ করে বাড়ি বুঝে পান শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালের জুন মাসের ১০ তারিখে বাড়িটি বুঝে নেওয়ার পর দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ঘোষণা করেছিলেন ঐতিহাসিক এই বাড়িটি হবে জনগণের। ১৯৯৪ সালের ১৪ আগস্ট ৩২ নম্বরের এই বাড়িটি ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে উদ্বোধন করা হয়। এর আগে ৩২ নম্বরের বাড়ি ও টুঙ্গিপাড়ার বাড়ি দেখাশোনা করার জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়। ট্রাস্টিই বাড়িটিকে জাদুঘর হিসেবে ঘোষণা দেয়। দেয়ালে রক্তের ছাপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বিশেষ সহকারী এবং তার স্বামী প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার ভাগ্নি সেলিমা খাতুন বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে যখন বাড়িটি বুঝে পান তখনো এ বাড়ির দেয়ালে দেয়ালে ছিল রক্তের ছাপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরম মমতায় নিজে এবং তার সঙ্গী-সাথিদের নিয়ে বাড়িটি পরিষ্কার করেন। সেলিমা খাতুন জানান, রাজধানীতে নিজেদের থাকার কোনো জায়গা না থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোনের ইচ্ছানুযায়ী এ বাড়ি জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত হয়। এর ধারাবাহিকতায় বাড়িটিকে ‘বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ট্রাস্ট বাড়িটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর ঘাতকচক্র এই বাড়িটি সিল করে রাখে এবং বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। ১৯৬১ সালের ১ অক্টোবর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। ১৯৬২ সালে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৭০ সালের নির্বাচন, ১৯৭১-এর শুরুতে অসহযোগ আন্দোলনসহ নানা চড়াই-উতরাইয়ের সাক্ষী এই বাড়ি। এসব আন্দোলনের পরিকল্পনা প্রণয়ন, দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়, সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা শোনা সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু ছিল ৩২ নম্বরের এই বাড়ি। এখান থেকেই ট্রাঙ্ককলে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এই বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছিলেন কাক্সিক্ষত স্বাধীন-সার্বভৌম ভূখন্ড ও লাল সবুজের পতাকা। এই বাড়িতেই শেখ মুজিবুর রহমান থেকে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতায় রূপান্তরিত হয়েছেন। এই বাড়িতেই বঙ্গবন্ধু সপরিবারে জীবন উৎসর্গ করেছেন। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান এই বাড়িতেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের এই বাড়ি জাদুঘরে রূপান্তরিত করার কাজে যারা শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করেছিলেন তাদের অনেকেই বেঁচে নেই। প্রয়াত কবি সুফিয়া কামাল, সাংবাদিক বেবী মওদুদ, ভাষাসৈনিক গাজীউল হক, ফটো সাংবাদিক পাভেল রহমান প্রমুখ নানা সময়ে জাদুঘর সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত ছিলেন। ওই সময় আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি শেখ হাসিনা এখানে-ওখানে থাকছিলেন। তাকে কেউ বাসাভাড়া দিচ্ছিলেন না। এমনকি অনেক নিকট আত্মীয়ও তাকে থাকতে দিতে চাননি। একপর্যায়ে তার স্বামী মহাখালীতে সরকারি কোয়ার্টার পান। এরপরই তিনি থিতু হন। তবে তার রাজনৈতিক কর্মকা- ধানমন্ডি-৩২ থেকেই পরিচালিত হতো। প্রায় প্রতিদিন সকালে পারিবারিক কাজকর্ম সেরে তিনি এখানে আসতেন। বিকাল বা সন্ধ্যার দিকে ফেরত যেতেন। এমনই এক দিন স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হয়ে পড়েন গৃহবন্দি। এরপর থেকেই তিনি বাড়িটিকে কীভাবে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া যায় সে ভাবনা ভাবতে থাকেন। তার ধারাবাহিকতায় এটি আজ জাদুঘর। সে সময় পরিস্থিতি বৈরী থাকায় এর কাজ এগোয় খুব ধীরগতিতে। দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের সঙ্গে এ নিয়ে দুই বোন আলাপ-আলোচনা করেন। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। আর এ ট্রাস্টের মাধ্যমেই বাড়িটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়।