У нас вы можете посмотреть бесплатно "ভিলেন থেকে নায়ক মোহন বাবুর অনন্য জীবনগাঁথা!" или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
মোহন বাবু: অভিনেতা থেকে শিক্ষানুরাগী, এক কিংবদন্তির জীবনগাঁথা ভারতের তেলুগু চলচ্চিত্র জগতে এমন কিছু নাম আছে, যারা কেবল একজন অভিনেতা হিসেবে নয়, বরং সমাজের পথপ্রদর্শক হিসেবেও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মোহন বাবু তেমনই এক ব্যক্তি, যিনি তার প্রতিভা, কঠোর পরিশ্রম এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার মাধ্যমে নিজেকে কিংবদন্তিতে পরিণত করেছেন। অভিনেতা, প্রযোজক, শিক্ষানুরাগী—এই তিনটি পরিচয়ে তিনি এক অনন্য নাম। তার জীবন ও কর্মগাথা এক বিস্ময়কর কাহিনি, যা নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। --- শৈশব ও শিক্ষাজীবন: এক সংগ্রামী পথচলা মোহন বাবুর জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫২ সালের ১৯ মার্চ, ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের চিত্তুর জেলার মোদুগুলাপাল্লি গ্রামে। তার আসল নাম মানচু ভক্তবৎসলম নায়ডু। এক সাধারণ কৃষক পরিবারে জন্ম নিয়ে তিনি ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতেন অভিনয়ের। যদিও তার বাবা-মা চেয়েছিলেন তিনি পড়াশোনা করে স্থিতিশীল একটি পেশা গ্রহণ করুন, কিন্তু মোহন বাবু জানতেন, তার আসল ডাক অন্য কোথাও। তিনি মাদ্রাজ (বর্তমান চেন্নাই)-এর এক কলেজে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন এবং শৈশব থেকেই থিয়েটার এবং নাটকের প্রতি গভীর আকর্ষণ অনুভব করতেন। সেই আগ্রহই তাকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসে। তার পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা তাকে একদিন তেলুগু সিনেমার অন্যতম প্রধান তারকায় পরিণত করবে, তা হয়তো তখন কেউ কল্পনাও করেননি। --- চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ ও ক্যারিয়ারের উত্থান অভিনয়ে আসার আগে মোহন বাবু চলচ্চিত্র জগতে কাজ শুরু করেছিলেন সহকারী পরিচালক হিসেবে। তার অধ্যবসায় এবং পরিশ্রমের কারণে তিনি খুব দ্রুত ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নজরে আসেন। তার প্রথম বড় ব্রেক আসে ১৯৭৫ সালে, যখন তিনি "স্বর্গম" নামক সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। প্রথমদিকের ক্যারিয়ারে তিনি মূলত খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করতেন, এবং তার শক্তিশালী সংলাপপ্রকাশ, দৃঢ় অভিনয় এবং ক্যারিশমাটিক উপস্থিতির কারণে খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। খলনায়ক হিসেবেও তিনি ছিলেন অনন্য, তার অভিনয় ছিল বাস্তবসম্মত, যা দর্শকদের মন ছুঁয়ে যেত। কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি নায়কের চরিত্রেও অভিনয় করতে শুরু করেন এবং সেখানেও তিনি ব্যাপক সফলতা পান। --- কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র চার দশকেরও বেশি সময় ধরে মোহন বাবু শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার ক্যারিয়ারে কিছু সিনেমা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, যা আজও তেলুগু চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মনে গেঁথে আছে। তার অভিনীত কিছু উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো: পেদ্দারায়ডু (১৯৯৫) – এই সিনেমায় তার অসাধারণ অভিনয় তাকে তেলুগু চলচ্চিত্রের স্থায়ী নায়কদের তালিকায় স্থান করে দেয়। রাউডি (২০১৪) – আধুনিক যুগের অ্যাকশনধর্মী এই সিনেমা তার শক্তিশালী পর্দা-উপস্থিতির প্রমাণ। গায়ত্রি (২০১৮) – এখানে তিনি দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন, যা তার অভিনয় দক্ষতার আরেকটি মাইলফলক। সন অফ ইন্ডিয়া (২০২২) – তার সাম্প্রতিক কাজগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম, যেখানে তিনি একজন দেশপ্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই সিনেমাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই বক্স অফিসে সফল হয়েছে এবং মোহন বাবুর জনপ্রিয়তাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। --- ব্যক্তিগত জীবন ও সমাজসেবা মোহন বাবু কেবল একজন সফল অভিনেতা নন, বরং একজন দায়িত্বশীল সমাজকর্মীও। তার পরিবারও চলচ্চিত্রের সাথে গভীরভাবে যুক্ত। তার ছেলে মানচু বিষ্ণু এবং মেয়ে মানচু লক্ষ্মী দুজনেই দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে জনপ্রিয় অভিনেতা। কিন্তু তার জীবনের অন্যতম বড় অবদান শুধুমাত্র চলচ্চিত্র জগতে নয়, বরং শিক্ষাক্ষেত্রেও। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন "এসভিএসএন বিদ্যানিকেতন" নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিনামূল্যে বা স্বল্প খরচে শিক্ষালাভের সুযোগ পাচ্ছে। তিনি বিশ্বাস করেন, শিক্ষাই একটি জাতির ভবিষ্যৎ গড়তে পারে এবং এজন্য তিনি নিজের অর্থ ও সময় ব্যয় করে শিক্ষা বিস্তারের কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন। --- পুরস্কার ও সম্মাননা তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বহু পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার হলো: পদ্মশ্রী (২০০৭) – ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান, যা তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রতি তার অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছেন। ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস সাউথ – অসংখ্যবার তিনি এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। নন্দী অ্যাওয়ার্ডস – তেলুগু চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মাননাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম, যা তিনি একাধিকবার অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার পক্ষ থেকে বহু সম্মাননা পেয়েছেন, যা তার সামাজিক কাজের স্বীকৃতি বহন করে। --- উপসংহার: এক সত্যিকারের কিংবদন্তি মোহন বাবুর জীবন শুধুমাত্র একজন অভিনেতার সাফল্যের গল্প নয়, বরং এটি কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। তার শক্তিশালী সংলাপ, দুর্দান্ত অভিনয়শৈলী এবং ক্যারিশমাটিক উপস্থিতি তাকে তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রধান স্তম্ভে পরিণত করেছে। কিন্তু যা তাকে সত্যিকারের কিংবদন্তি করে তুলেছে, তা হলো তার সমাজসেবা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান। একজন অভিনেতা হিসেবে তিনি যেমন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন, তেমনি একজন শিক্ষানুরাগী হিসেবে তিনি অসংখ্য তরুণের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সাহায্য করেছেন। আজও তিনি চলচ্চিত্র জগতে সক্রিয় এবং নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছেন। তার জীবন আমাদের শেখায়, সাফল্যের আসল অর্থ কেবল নিজের উন্নতি নয়, বরং সমাজের জন্য কিছু করা। মোহন বাবু সেই বিরল ব্যক্তিত্বদের একজন, যিনি জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন এবং সত্যিকারের কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছেন। "মোহন বাবু শুধু একজন অভিনেতা নন, তিনি এক অনুপ্রেরণা, এক অধ্যায়, এক কিংবদন্তি!" #untoldindra #mohanbabu #seo #viralvideos #shortsfeed