У нас вы можете посмотреть бесплатно বাঙ্গালী নয়, বিহারী ছিলেন জাতীয় কবি নজরুল ইসলামঃ Root & birthplace of poet Nazrul Islam или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
#BoniAmin #বনিআমিন #কবি_নজরুল #Poet_Nazrul_Islam বহু দশক ধরে কাজী নজরুল ইমলামের কবিতাই হয়ে উঠেছে বাংলা ভাষায় বিদ্রোহ আর প্রতিবাদের ছন্দ। মানুষের কাছে কাজী নজরুল এভাবেই সমাদৃত। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি, কিন্তু সমানভাবে সমাদৃত ভারতসহ গোটা বিশ্বে। কিন্তু তাঁর জন্মভিটার গ্রাম চুরুলিয়াতে কীভাবে বেঁচে আছেন দুখু মিয়া? সেখানকার সাধারণ মানুষ, আর ওই গ্রামে বাস করেন তাঁর যেসব উত্তরপুরুষ, তারা কীভাবে ধরে রেখেছেন নজরুল ঐতিহ্য? আসানসোল শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে চুরুলিয়া। গ্রামে যাওয়ার পথে দূর থেকেই চোখে পড়ে বেশ কিছু টিলা। আর মাটির নীচে প্রায় সর্বত্রই কয়লা। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রধান কয়লাখনি অঞ্চল এটি। আঠারোশ নিরানব্বই সালে যখন চুরুলিয়া গ্রামেরই কাজী ফকির আহমেদের ঘরে জন্ম নেন তাঁর দ্বিতীয় পুত্র, তার কয়েক বছর পরেই কাছের অজয় নদের ওপারে, ঘণ্টা কয়েকের রাস্তা পেরিয়ে শান্তিনিকেতনে আশ্রম গড়ায় মন দিলেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি তখন সাহিত্য কীর্তির প্রায় মধ্য গগনে। ১১ই জ্যৈষ্ঠ তাঁর জন্মক্ষণে উঠেছিল "ঝঞ্ঝা তুফান ঘোর, উড়ে গিয়েছিল ঘরের ছাদ ও ভেঙেছিল গৃহদ্বার" নিজের জন্মের সময়কার কথা এভাবেই কবিতায় জানিয়ে গিয়েছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। সেই খড়ে ছাওয়া মাটির জন্ম ভিটে আর নেই। সেই জায়গায় তৈরি হয়েছে নজরুল একাডেমীর পাকা বাড়ি। তবে মাটির বাড়িটির একটিই মাত্র ছবি রয়ে গেছে নজরুল একাডেমীর সংগ্রহশালায়। কবির ছোট ভাই কাজী আলি হোসেনের পুত্র কাজী রেজাউল করিম সেই ছবিটা দেখাচ্ছিলেন। "১৯৫৬ সালে এই মাটির বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। সেখানেই এখন নজরুল একাডেমীর দোতলা বাড়ি হয়েছে। মাটির বাড়িটা ভাঙ্গার আগেই আমরা একটা ছবি তুলিয়ে রেখেছিলাম। তাই কেমন ছিল কবির জন্মভিটা, সেটা এখনও দেখা যাচ্ছে। ছবিটা না তুলে রাখলে হারিয়েই যেত ওই বাড়িটা," - বলছিলেন মি. করিম। তার স্ত্রী রোকেয়া করিমের পৈত্রিক বাড়ি কবির বাড়ির একেবারে উল্টোদিকে। নজরুল ইসলামের ছোটবেলার কথা অনেক শুনেছেন নিজের বাবার কাছে। তাঁর কথায়, "আমরা যখন কবিকে দেখেছি, তখন তিনি নির্বাক, অসুস্থ। তিনি আর আমার বাবা তিন বছরের ছোট বড়, তারা বাল্যবন্ধু। কবির ছোটবেলার বহু গল্প শুনেছি বাবার কাছে। জন্মের পরে তিনদিন নাকি তিনি কোনও সাড়াশব্দ করেন নি। সবাই তো ভেবেছিল এ ছেলে বাঁচবে না।" "তবে গ্রামে এক সাধক ছিলেন। তিনি কবিকে জন্মের পরে দেখেই বলেছিলেন এ মহাপুরুষ হবে। ছোটবেলায় খুব দুরন্তও নাকি ছিলেন কবি। বড় হয়েও সেটা কাটে নি - কিছুটা অভাবের তাড়নায়, কিছুটা স্বেচ্ছায় তিনি দৌড়ে বেরিয়েছেন। কখনও রুটির দোকানে কাজ নিয়েছেন, কখনও মক্তবে শিক্ষকতা বা ইমামতী করেছেন, আবার তার পরে সেনাবাহিনীতে গেছেন।" ছোটবেলায় নজরুল ইসলামের নাম ছিল দুখু মিয়া। একটু বড় হতেই বাড়ির সামনের মক্তবেই শুরু হয়েছিল পড়াশোনা। সেই বিদ্যালয় এখন চুরুলিয়া নজরুল বিদ্যাপীঠ। বড় দোতলা বাড়ি। সামনের মাঠে প্রতিবছর কবির জন্মদিনে শুরু হয় সপ্তাহ ব্যাপী নজরুল মেলা। সেটাই গ্রামের প্রধান উৎসব হয়ে উঠেছে বেশ অনেক বছর ধরে। ওই মাঠের ধারেই সমাধিক্ষেত্র। কবি-পত্নী প্রমীলা দেবীর সমাধির পাশেই রয়েছে ঢাকায় কবির সমাধি থেকে কবি-পুত্র কাজি সব্যসাচী যে মাটি নিয়ে এসেছিলেন, তা দিয়ে তৈরি বেদী। সেই পুরনো মক্তবটির একটি ছবি রাখা আছে নজরুল সংগ্রহশালায়। একাডেমীর পরিচালক রেজাউল করিম বলছিলেন, "আগে ওই বিদ্যালয়ের নাম ছিল নজরুল মুসলিম বিদ্যাপীঠ। আমরা গ্রামের মানুষদের ডেকে একটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম যে নজরুলের মতো একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষের নামে স্কুল, সেখানে কেন মুসলিম কথাটা থাকবে? অধিকাংশ মানুষ সেটা মেনে নিয়েছিল। সেই থেকেই স্কুলটার নাম নজরুল বিদ্যাপীঠ।" বাবার হঠাৎ মৃত্যুর পরে ছেদ পড়েছিল পড়াশোনায়। তখন ওই মক্তবেই শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন নজরুল ইসলাম। ততদিনে তাঁর চাচা বজলে করিমের উৎসাহে শুরু হয়েছে গান রচনা। আর সেই সূত্রেই লেটো গানের দলের যোগ দেওয়া। কবির সম্পর্কে নাতি ও সঙ্গীতশিল্পী সুবর্ণ কাজির কথায়, "নজরুলের সময়কার সেই লেটো গান বা লেটোর দল এখন আর এই অঞ্চলে পাওয়া যায় না। বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে গেছে সেগুলো। তবে নজরুলেরই রচনায় এখনও বেচে আছে কিছু লেটো গান। নজরুলের লেখা আরও একটি লেটো গান 'আয় পাষণ্ড যুদ্ধ দে তুই' শোনাচ্ছিলেন রেজাউল করিমের কন্যা সোনালি কাজি। গ্রাম ছেড়ে অল্প বয়সেই নজরুল ইসলাম পাড়ি দিয়েছিলেন কাছের আসানসোল শহরে। কাজ নিয়েছিলেন একটি পাউরুটির কারখানায়। মানুষ আর গাড়ির ভিড়ে ঠাসা আসানসোল বাজারে কয়েকজনের কাছে জিজ্ঞাসা করে খুঁজে পেয়েছিলাম মেহের আলি বক্সের সেই বেকারি। তারই উত্তরাধিকারী যুবক শেখ আসিফ ওসমান বলছিলেন, তাদের পরিবার সেই ১৮৮০ সাল থেকেই দোকানটি চালায়। তিনি বলছিলেন নজরুল ইসলাম যখনও কবি নজরুল হয়ে ওঠেন নি, সেই সময়ে হিসাবরক্ষকের কাজ করতেন তাঁদের পাউরুটির কারখানায়। "উনি যখন এখানে হিসাব রাখার কাজ করতেন, সেই সময়ে আমার দাদুর বাবা দোকানটা চালাতেন। তিনি যে চেয়ার টেবিলে বসে হিসাব লিখতেন, সেটা এখনও আমাদের বাড়িতে রাখা আছে। দু'একদিন অন্তরই কেউ না কেউ আমাদের দোকানে নজরুল ইসলামের খোঁজে আসেন। কেউ বাংলাদেশ থেকে, কেউ কলকাতা থেকে আসেন এম. এ. বক্সের দোকানে। আমাদের গর্ব এটাই যে আমাদের এই দোকানের সঙ্গে নজরুল ইসলামের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে," বলছিলেন মি. ওসমান। কাজ ছেড়ে দিয়ে আবারও পড়াশোনা রাণীগঞ্জ শহরের স্কুলে।পড়াশোনার শেষে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। নজরুল ইসলাম পরিবারের গৃহবধূ রোকেয়া করিম জানান তারপরে আর খুব একটা গ্রামে আসেন নি কবি। কলকাতায় তাঁর সাহিত্যচর্চা থেকে শুরু করে বিবাহ এবং অবশেষে অসুস্থ হয়ে পড়ার যে জীবন, তা হয়তো চুরুলিয়া থেকে অনেকটা দূরে, তবে চুরুলিয়ার মানুষের মনের খুব কাছের। কবির সেই জীবনের নানা দিক নিজেদের মতো করে সাজিয়ে রেখেছে নজরুল একাডেমী। যেমন আছে নজরুল ইসলামের পরিচিত-অপরিচিত অনেক ছবি, পদক, তেমনই আছে ধুতি পাঞ্জাবী, পাণ্ডুলিপি, গ্রামোফোন। জানালেন রেজাউল করিম।