У нас вы можете посмотреть бесплатно নেশাকে না বলি,,,!!! или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
নেশার লাটিম ঝিম ধরার কারণ, কুফল ও করণীয় কেন এই লেখা মাদকাসক্তি বর্তমান সমাজে একটি ধ্বংসাত্মক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের মাদকের ব্যবহারে সমাজ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। যুবক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, ধনী, গরীব, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী তথা সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষ বর্তমানে কোনো না কোনোভাবে মাদকাসক্তিতে লিপ্ত। এই ব্যাধি শহর থেকে শুরু করে গ্রামের আনাচে কানাচে পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। এর ভয়াবহ পরিণতি দেখে পবিবার থেকে শুরু করে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ পর্যন্ত চিন্তিত। যে যুবকেরা দেশের ভবিষ্যতের মশালবাহী, সেই যুবকেরাই মাদক দ্বারা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। তাই বর্তমানে রাষ্ট্র দেশের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত। মাদকের প্রভাব আমাদের শারীরিক, মানসিক, পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি অর্থনীতিকে করে তুলছে বিপর্যস্ত। দ্রুত যদি এর প্রতিরোধ না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আমরা একটি কলুষিত সমাজ দেখতে পাবো। যেখানে সততার কোনো মূল্য থাকবে না, মূল্যবোধের কোনো বালাই থাকবে না। তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য সমাজের সকল স্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। মানুষের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ বৃদ্ধির মাধ্যমে মাদক প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই মুক্তি পাবে মানবতা, সমাজ পাবে স্বস্তি। মাদক কী মাদক হলো মত্ততা সৃষ্টিকারী দ্রব্য। অর্থাৎ, সেটাই মাদক দ্রব্য যেটার ব্যবহারে জ্ঞান-বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি লোপ পায়, নেশা সৃষ্টি করে, সুস্থ মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটায়। মানুষের কল্যাণে আবিষ্কৃত বিভিন্ন দ্রব্যাদির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, উপকারী জিনিসকেও মাদকের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে যা সামান্য পরিমাণ নেশা তৈরি করে তা-ই মাদক, এবং সর্বসম্মতিক্রমে সেটা হারাম। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,  “সকল নেশার জিনিসই মাদক এবং সকল নেশার জিনিসই হারাম।” বিভিন্ন প্রকার মাদক বর্তমানে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের মাদকের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। এগুলোর মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য, যেমন- বিড়ি বা সিগারেট, জর্দা ইত্যাদি প্রধানত ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ঘুমের ঔষধ, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা, আফিম, ভদকা, মদ, পেথিডিন, হেরোইন, কোকেন ইত্যাদির ব্যবহার মাদক হিসেবে উল্লেখযোগ্য। তামাকজাত দ্রব্যাদিতে অর্থাৎ, বিড়ি-সিগারেট বা জর্দাতে নিকোটিন নামক একটি ক্ষতিকারক পদার্থ বিদ্যমান। এই নিকোটিন সেবনে মস্তিষ্কে মত্ততা বা নেশা তৈরি হয়। এজন্য এটি একটি মাদক। গাঁজাতে ক্যানাবিনয়েডস নামক কিছু পদার্থ থাকে। এটি সেবনে মস্তিষ্ক হালকা হালকা লাগে। কিন্তু উল্টাপাল্টা জিনিস দেখা, ভালো-মন্দ বিচারের ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং এর প্রতি আসক্তি সৃষ্টি হবার কারণে এটি একটি মাদক। ফেনসিডিল মূলত একটি ঠাণ্ডাজাতীয় রোগের ঔষধ। এর মধ্যে কোডেইন, সিউডো-ইফেড্রিন, ক্লোরফেনিরামিন থাকে। এটিও মস্তিষ্কে নেশা সৃষ্টি করে বিধায় এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার মাদক হিসেবে বিবেচ্য। ইয়াবার ব্যবহার বর্তমানে তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। এর মধ্যে থাকে অ্যামফেটামিন এবং ক্যাফেইন। এটি খেলে অনেকক্ষণ জেগে থাকা যায়, তবে খাবার রুচি কমে যায়। কিন্তু এতে এর প্রতি আসক্তি তৈরি করে এবং এটা ক্রমাগত বেড়েই চলে। এজন্য এটি মাদক হিসেবে স্বীকৃত। এভাবে আফিম, মদ, হেরোইন এবং কোকেন সেবনেও মস্তিষ্কে মত্ততা তৈরির কারণে এবং অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলে এগুলোকে মাদক বা নেশাজাতদ্রব্য বলা হয়। ধূমপান ও মাদকাসক্তির কারণ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ বিভিন্ন কারণে ধূমপান ও মাদক গ্রহণের দিকে ঝুঁকতে পারে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ হচ্ছে:- ক) মনস্তাত্ত্বিক অস্থিরতা সব পেশার মানুষদের মধ্যে ধুমপানের কয়েকটি প্রধান কারণ হলো হতাশা, বিষণ্ণতা, শোক, অন্তরের অস্থিরতা। ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক কারণসহ আরো অনেক কারণে এসব মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা হতে পারে। তন্মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, আল্লাহ্ তা’আলার স্মরণ থেকে নিবৃত থাকা। আল্লাহ্ তা’আলা আল-কুরআনের মধ্যে সূরা সাজদাহ এর ২১ নং আয়াতে বলেছেন, গুরু শাস্তির পূর্বে আমি অবশ্যই তাদেরকে লঘু শাস্তি আস্বাদন করাবো, যাতে তারা প্রত্যাবর্তন করে। এই আয়াতের ব্যাখ্যা হলো, আল্লাহ্ তা’আলার স্মরণ থেকে যারা দূরে সরে যায়, তাদেরকে আল্লাহ্ কাছের শাস্তি বা লঘু শাস্তি ভোগ করান। লঘু শাস্তি অর্থাৎ, বিচারের দিনে শাস্তি প্রদানের আগে, যাতে তারা আল্লাহ্ তা’আলার দিকে ফিরে আসে। আর কাছের শাস্তি বা লঘু শাস্তি হচ্ছে আল্লাহ্ তা’আলা দুনিয়ার জীবনে তাদের অন্তরে অশান্তি ও শরীরে রোগব্যাধি সৃষ্টি করে দেবেন। যাতে তারা বুঝতে পেরে প্রত্যাবর্তন করে। আর আল্লাহ্ তা’আলা থেকে দূরে চলে যাবার কারণে তাদের অন্তরে সৃষ্ট অশান্তিই তাদের নেশার দিকে ধাবিত করে। এজন্য দেখা যায়, যারা আল্লাহ্ তা’আলার হুকুম পালনের মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করে, তারা ধুমপান বা মাদকাসক্তিতে লিপ্ত হয় না। তাদের অন্তরে আল্লাহ্ তা’আলা শান্তি ঢেলে দেন। তারা কোনো কঠিন সমস্যায় পড়লে আল্লাহ্র উপর ভরসা করে এবং তাকদীরের ফয়সালার উপরে খুশি থাকে। ফলে তাদের মধ্যে হতাশা ও বিষণ্ণতা থাকে না। এজন্য আল্লাহ’র নির্দেশ মান্যকারী মানুষ নেশাগ্রস্ত হয় না। আল্লাহ্ তা’আলা আল-কুরআনে অন্যত্র বলেছেন, যারা আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস এনেছে, তাদের অন্তরসমূহ আল্লাহ্র স্মরণে প্রশান্ত হয়। জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ্র স্মরণেই অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়। খ) কৌতূহল কিশোর ও যুবক বয়সে সব কিছুর অভিজ্ঞতা লাভের একটি আকাঙ্ক্ষার প্রভাব লক্ষ করা যায়। তারা মনে করে জীবন তো একটিই, তাই এই জীবনে সবকিছুর অভিজ্ঞতা থাকা চাই। এই ধরনের মানসিকতাই ধীরে ধীরে তাদের মাদকাসক্তির দিকে নিয়ে যায়। অনেকেই হয়তো ফিরে আসে, কিন্তু অধিকাংশেরই ফিরে আসা হয়ে ওঠে না। কারণ, প্রাথমিকভাবে এসব বিষয়ে কৌতূহল থাকলেও পরবর্তীতে সেটা নেশায় পরিণত হয়। ফলে আলোর পরিবর্তে অন্ধকারে নিমজ্জিত