গরুর ম্যাস্টাইটিসের চিকিৎসা।সাইফন ও ম্যাস্টানিল টিউব ব্যবহারের নিয়ম।How to use shiphon & mastanil T. скачать в хорошем качестве

গরুর ম্যাস্টাইটিসের চিকিৎসা।সাইফন ও ম্যাস্টানিল টিউব ব্যবহারের নিয়ম।How to use shiphon & mastanil T.

গরুর ম্যাস্টাইটিসে সাইফন ও ম্যাস্টানিল টিউব ব্যবহারের নিয়ম।How to use milk shiphon & mastanil tube in mastitis. গরুর ম্যাস্টাইটিস রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার। ম্যাস্টানিল টিউব ব্যবহারের নিয়ম।Causes,Symptoms & treatment of mastitis. ম্যাসটাইটিস এর কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা, প্রতিরোধ এবং প্রতিকারঃ ছাগলের বা পশুর ওলান প্রদাহকে ম্যাস্টাইটিস বা ওলান ফোলা বা ওলান পাকা রোগ বলে। খামারের মারাত্মক সমস্যার মধ্যে যতগুলো আছে ম্যাস্টাইটিস তার মধ্যে অন্যতম। ম্যাস্টাইটিস রোগ অর্থনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এ রোগে- ১। দুধ উৎপাদ কমে যায়। ২। চিকিৎসা খরচ খুব বেশি। ৩। অনেক সময় পশু সুস্থ হয় না, ফলে বাতিল করতে হয় বা মারা যায়। ৪। অসুস্থ পশুকে সেবা দেয়ার জন্য অতিরিক্ত জনবলের জন্য খরচ হয়। ম্যাস্টাইটিস রোগে আক্রান্ত পশুর দুধের উপাদান পরিবর্তন হয়ে যায়, যেমন দুধে ল্যাকটোজ, চর্বি, ক্যাসিন ও ক্যালসিয়াম কমে যায়। বিপরীতে সোডিয়াম, ক্লোরাইড ও রক্তের আমিষ বৃদ্ধি পায়। এ রোগ একটি পশুর যে কোনো সময় হতে পারে তবে বাচ্চা প্রসবের পরেই পশু বেশি আক্রান্ত হয়। রোগের কারণঃ বিভিন্ন প্রকারের ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস, মাইকোপ্লাজমা ও ভাইরাস এ রোগ সৃষ্টি করে থাকে। সংক্রমণ যদি সেডের মেঝে দীর্ঘ সময় সেঁতসেতে ও ভিজা থাকে, ওলানের বাঁট দূষিত মেঝের, সংষ্পর্শে আসার মাধ্যমে অথবা দুধ দোহনকারীর হাত, দুধ দোহনের যন্ত্রের মাধ্যমে জীবাণু সরাসরি ওলানে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। লক্ষণসমূহঃ ম্যাসটাইটিস বা ওলান প্রদাহ রোগের লক্ষণ গুলো নিম্নরৃপঃ *তীব্রভাবে হলে প্রথমে ওলান ও বাট হঠাৎ লাল হয়ে ফুলে ওঠে। *ওলান বা বাটে হাত দিলে গরম অনুভূত হয়। *পেছনের পা ফাকা করে দাড়িয়ে থাকে ও হাটতে অসুবিধা হয়। *শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। *ক্ষুধা মন্দা হয়। *দুধের সাথে ছানার মতো জমাট বাঁধা দুধ দেখা যায়। *আক্রান্ত বাট দিয়ে দুধের পরিবর্তে পানি, ঘোলাটে দুধ, পুঁজ, রক্ত আসতে পারে। *যে বাট আক্রান্ত হয় সেটা ক্রমান্বয়ে ছোট হয়ে যায়, কোন কোন ক্ষেত্রে পচন ধরে। *ওলানের অংশ বিশেষ ও বাট একদিকেবাঁকা হয়ে যায়। এতে একটি অথবা দুটি বাটই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ম্যাস্টাইটিস অতি তীব্র হয়ে দেখা দিলে গ্যাংগ্রিনাস হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত বাট কেটে বাদ দিতে হয়। *সুপ্ত সংক্রমণের ক্ষেত্রে দুধে ও ওলানে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না, তবে দুধ উৎপাদন কমে যায়। দুধে ব্যাকটেরিয়া বিদ্যমান থাকে এবং দুধের উপাদান পরিবর্তিত হয়ে যায়। *পুরাতন ওলান প্রদাহের ক্ষেত্রে দুধ উৎপাদন কমে যায় ও ছানা বা জমাট বাঁধা দুধ দেখা যায়। চিকিৎসাঃ যদি কোনো কারণে ভেটেরিনারি চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা দেয়া সম্ভব না হয় তবে নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে চিকিৎসা দিলে উপকৃত হতে পারেনঃ *পেনব্যাকলিন ইঞ্জেকশন প্রতি দশ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ০.২ – ০.৫ মিঃলি করে মাংসপেশীতে দিনে একবার পাঁচদিন। *প্রোনাপেন ইঞ্জেকশন ৪০ লাখ প্রতি ১০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ মিঃলি মাংসপেশীতে দিনে একবার তিনদিন। *রেনামাইসিন এল এ ইঞ্জেকশন প্রতি দশ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ মিঃলি মাংসপেশীতে দিনে একবার তিনদিন। *মেস্টানিল পাঁচ গ্রামের একটি টিউব চব্বিশ ঘন্টা পর পর তিনদিন। *ইঞ্জেকশন জেন্যাক ভেট বা ডাইফেন এক মিঃলি মাংসপেশীতে দিনে একবার তিনদিন। *খুব দ্রুত রোগ সনাক্ত করে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। বিলম্বের কারণে এ রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। অভিজ্ঞ প্রাণিচিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। Povidon lodin/উন্নত মানের জীবাণুনাশক মাত্রা মত পানিতে মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার ওলান ধুয়ে দিতে হবে। ওলান প্রদাহ প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণঃ চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ করাই উত্তম পন্থা। একটি ফার্মে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা অনুসরণ করে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ১। বাঁটের স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করতে হবে। বাসস্থান উন্নত ও স্বাস্থ্যসম্মত হতে হবে। জীবাণুমুক্ত দুধ দোহন ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে। ওলান ও বাঁটের স্বাস্থ্য রক্ষাসহ যে কোনো রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ২। খুব দ্রুত এ রোগ সনাক্ত করতে হবে এবং দ্রুত উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে হবে। অসুস্থ পশুকে আলাদা জায়গায় রাখতে হবে। ৩। শুষ্ক ও গর্ভবতী পশুকে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ও সেবা দিতে হবে। গর্ভবতী পশুর ক্ষেত্রে দুধ দোহনের শেষ দিনে বাঁট বন্ধ করে দিতে হবে। ৪। বার বার এ রোগে আক্রান্ত হওয়া পশু, যে গুলিকে সম্পূর্ণ ভালো করা সম্ভব হচ্ছে না সে গুলিকে ছাঁটাই করতে হবে। এ জাতীয় অসুস্থ পশু রোগের উৎস হিসাবে কাজ করে। ৫। দুধ দোহনের যন্ত্র দৈনিক পরীক্ষা করতে হবে ও খামারের ওলান প্রদাহ রোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। একটি দুগ্ধ খামারে ওলান প্রদাহ রোগ প্রতিরোধের জন্য নিম্ন লিখিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবেঃ ১। পশুকে কাঁচা ঘাসসহ পুষ্টিকর সুষম খাদ্য দিতে হবে। ২। সেডের মেঝে পরিষ্কার করে ২-৩ দিন পরপর জীবাণুনাশক প্রয়োগ করতে হবে। ৩। বিজ্ঞান সম্মতভাবে পশুর সেড/ঘর তৈরি করতে হবে। ৪। দুধ দোহনের আগে ওলান ধুয়ে নিতে হবে এবং প্রতিটি পশু দোহনের আগে দোহনকারীর হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। অসুস্থ পশুকে সবার শেষে দোহন করতে হবে। ৫। দোহনকারীর শরীর ও হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। হাতের নখ অবশ্যই ছোট রাখতে হবে। ৬। দুধ দোহনের পর ওলান ধুয়ে তারপর জীবাণুনাশক ওষুধে বাঁট চুবাতে হবে। জীবাণুনাশক Povidon lodin (Povin/Povisep) = 0.5-1.00% Hypochloride = 4.0% Chloride acetate = 0.5% ৭। দুধ দোহনের পর পশুর পেছনের অংশ ধুয়ে দিতে হবে। ৮। দোহনের পর কাঁচা ঘাস খেতে দিতে হবে যাতে করে পশু ১-২ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকে। তাহলে বাঁটারে দুধনালী সঙ্কুচিত হয়ে যাবে। ৯। পশুকে দৈনিক ১-২ ঘন্টা ব্যায়াম করাতে হবে। ১০। কিছু দিন পরপর দুধ পরীক্ষা করে এ রোগ ধরা পড়লে সাথে সাথে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ১১। বাঁটের ভেতর শক্ত কাঠি বা টিট সাইফোন প্রবেশ না করানই উচিত। #AnimalCareBD #HowToUseShiphon #HowToUseMastanil #ম্যাস্টাইটিসে_সাইফন_ও_ম্যাস্টানিল_টিউব_ব্যবহারের_নিয়ম #TreatmentOfMastitis #গরুর_ওলান_প্রদাহ #Mastitis