ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষা নামক পণ্য বিক্রির ফেরিওয়ালাদের কারসাজি | সঞ্জয় скачать в хорошем качестве

ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষা নামক পণ্য বিক্রির ফেরিওয়ালাদের কারসাজি | সঞ্জয়

প্রতিবছর প্রতিব্যাচেই লাখো ছাত্রের সাথে নিম্নমানের সার্ভিস দিয়ে গাল ভরা মিথ্যা আর কথার ফুলঝুরি দিয়ে যেভাবে তাদের কাছে থেকে অর্থ আর মনোযোগ আত্মসাৎ করা হয়, এর কোনো বিচার কেউ চায় না। কেউ দেখেও না, কেউ বোঝে ও না। যারা বোঝে- তারাই আবার তাদের সাথে গোপন আঁতাত করে, quorum maintain করে চলে। এ যেন চোর দের মধ্যে লুটপাটের গোপন সন্ধিচুক্তি! যেভাবে হিরো আলমদের মেইন লাইম লাইটে রেখে যোগ্য অভিনেতাদের আড়াল করে ফেলা হয়, এদেশের শিক্ষাঙ্গনেও চলছে একই রাজনীতি। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এদেশের আপামর শিক্ষার্থীরা আর দেশ। লাভবান হচ্ছে গুটিকয়েক ব্যবসায়ী নামক ধান্ধাবাজ লুটেরা। তাদের এসব অনাচারের কারণে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পাচ্ছে না দক্ষ যোগ্য শিক্ষক। দেশ হারাচ্ছে গুণগত মান। ক্রমান্বয়ে দিনে দিনে খারাপ থেকে আরো খারাপ এবং নোংরামি সহ নানা রকম ফন্দি ফিকির করে স্টুডেন্ট পাওয়ার প্রতিযোগিতায় সবাই নিমগ্ন। আসল কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট এর দিকে কারোর মনোযোগ নেই। কে কার চেয়ে ভালো পড়াতে পারে, স্টুডেন্ট দের ভালো কন্টেন্ট দিতে পারে, তাদের যত্ন নিতে পারে... এটা এখন প্রতিযোগিতার মাপকাঠি নয়! এখন মাপকাঠি হল, কার কাছে কজন স্টুডেন্ট ভর্তি হয়েছে ইতোমধ্যে, কার মার্কেটিং চ্যানেল কত শক্তিশালী, কে কত বেশি মিম/হীন কন্টেন্ট দিয়ে স্টুডেন্ট দের মাতিয়ে রাখতে পারলো, কে অন্য আর কতোগুলো ওয়ান শট নামক মাদক দিতে পারলো... এসব। এভাবে কী আসলেই আমরা শিক্ষা দিচ্ছি? নাকি দেশ ধ্বংস করছি? ওদের সামনে কারা আইডল? তারা আসলেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে কী ধরনের সাইকোলজি বিল্ড করছে? কী ধরনের বাজে ইমপ্যাক্ট পড়ছে স্টুডেন্ট দের মধ্যে যেকোনো বিষয়েই সার্ভিস দেয়ার ব্যাপারে? এই শিক্ষার্থীরা যেদিন পেশাগত কর্মজীবনে প্রবেশ করবে, ওদের কাছে "গুণগত মান" বলতে আসলে কী অবশিষ্ট থাকছে? ওরা কীভাবে সুনাগরিক হচ্ছে? কেউ বুঝাতে পারবেন? এটা কী আসলেই হবার কথা ছিল? সঞ্জয় চক্রবর্তীর মত এরকম আরো হাজারো নিম্নমানের গুণ সম্পন্ন লোকদের যখন কোনো প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের সামনে এভাবে মিথ্যার আবরণে উপস্থাপন করে, আসলে ক্ষতিটা হয় কাদের? অথচ, এই শিক্ষার্থীরা অপারের মত এসব আপাদমস্তক টাকার গন্ধে বিভোর ধান্ধাবাজদের কীভাবে বিশ্বাস করে! এরা শিক্ষার্থীদের এই অন্ধ বিশ্বাসের কী ধরনের অবমূল্যায়ন টা করছে রাত আর দিন। এর ই মধ্যে হাতিয়ে নিচ্ছে শিক্ষার্থীদের সর্বস্ব। তারা না পাচ্ছে কোয়ালিটি সার্ভিস, না পাচ্ছে মানসিক শান্তি। এরপরে যেয়ে সেইসব শিক্ষার্থীরা ওদের আরো অন্য কোর্সে ভর্তি হচ্ছে এই আশায় যে, এবার ভালো কিছু হবে! আসলে একই প্রতারণার শিকার বারবার হবার পরও কেন শিক্ষার্থীরা একই প্রতিষ্ঠানে কেন যাচ্ছে ঘুরে ফিরে? কারণ, "সিন্ডিকেট"! তাদের শক্ত মার্কেটিং টিম এবং সিন্ডিকেট এর কারণে বিভিন্ন পেইড গ্রুপ যেমন প্রতারণা গ্রুপ এবং আরো এরকম অনেক কিছুর মাধ্যমে তাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্য সব প্রতিষ্ঠান কে শিক্ষার্থীদের কাছে স্টুপিড/নিম্নমানের হিসেবে উপস্থাপন করে রেখে নিজেরা নিজেদের ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছে। এই পলিসি সরাসরি হাসিনার চেয়েও ভয়াবহ! এর ফলাফল হাসিনার রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংসের চেয়ে বেশি মারাত্মক এবং সুদূর প্রসারী। কারণ, এটা আর অন্য কোনো সেক্টর নয়! এটা একটা দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার মূল ক্ষেত্র। শিক্ষা ক্ষেত্র। এটি সবচেয়ে নাজুক অংশ। সবচেয়ে সেন্সেটিভ বা স্পর্শকাতর যায়গা।