ধ্বনিবিজ্ঞান ও ভাষাতত্ত্ব || অনার্স ৪র্থ বর্ষ || বিষয় কোড: ২৪১০১৫ || পার্ট-১ скачать в хорошем качестве

ধ্বনিবিজ্ঞান ও ভাষাতত্ত্ব || অনার্স ৪র্থ বর্ষ || বিষয় কোড: ২৪১০১৫ || পার্ট-১

ফুসফুস থেকে আরম্ভ করে মুখবিবর বা নাসাপথ পর্যন্ত নিঃশ্বাস বায়ু বের হওয়ার পথে যেসব অঙ্গ ধ্বনি সৃষ্টিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে সেগুলোকে একত্রে বাকপ্রত্যঙ্গ বলে। বাকপ্রত্যঙ্গের দুটো অংশ- স্বরযন্ত্র এবং বাকযন্ত্র স্বরযন্ত্র: ধ্বনি সৃষ্টিতে বাকপ্রত্যাঙ্গাদির মধ্যে স্বরযন্ত্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের গলার সামনে দিকে যে উঁচু অংশ থাকে তাকে কণ্ঠমনি বলে। এ কণ্ঠমণি ও ভেতরের অংশসমূহকে বলা হয় স্বরযন্ত্র। স্বরযন্ত্রের উল্লেখযোগ অংশগুলো হলো- কণ্ঠমণি, স্বরতন্ত্রী, গ্লটিশ, বায়ুনালি, অধিজিহ্বা, শ্বাসনালি বা গলনালি ইত্যাদি। কণ্ঠমণি: আমাদের গলার বাইরের দিকে যে অংশ উঁচু হয়ে থাকে তাকে কণ্ঠমণি বলে। স্বরতন্ত্রী: স্বরযন্ত্রের ভেতরে একটি আংটির মতো কোমল অস্থির মধ্যে দুটো সূক্ষ্মতন্ত্রী রয়েছে। এর আকৃতি ইংরেজি 'ভি' এর মতো। একে স্বরতন্ত্রী বলে। প্লাটিশ: দুই স্বরতন্ত্রীর মধ্যবর্তী স্থানের নাম গ্লটিশ। স্বরতন্ত্রীদ্বয়ের ভিতর দিয়ে বাতাস বেরিয়ে যাবার সময় গ্লটিশ বিভিন্ন আকৃতি ধারণ করে। বায়ুনালি: স্বরতন্ত্রীর ভিতর দিয়ে ফুসফুসে বাতাস যাওয়া আসার যে সূক্ষ্ম পথ আছে তাকে বায়ুনালি বলে। অধিজিহ্বা: জিহ্বার পিছনে বা গোড়ার অংশে একটি নরম পাতলা উত্তাল জিহ্বা খণ্ড আছে। একে অধিজিহ্বা বলে। খাদ্যনালি থেকে যেন কিছুতেই খাদ্যকণা গ্লটিশের ভেতর দিয়ে বায়ুনালিতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য অধিজিহ্বা প্লাটিশের ঢাকনার কাজ করে। শ্বাসনালি বা গলনালি: স্বরতন্ত্রীর উপরে জিহ্বার গোড়া বা অধিজিহ্বা বরাবর ঘাড়ের দেওয়াল ঘেঁষা অংশটুকুকে বলা হয় শ্বাসনালি বা গলনালি। শ্বাসনালিকে ধ্বনিতাত্ত্বিক পরিভাষায় গলনালি বলা হয়।