Скачать с ютуб মগ জাতি কারা? বর্তমানে তারা কোথায় বসবাস করে? ইতিহাসে মগদের সম্পর্কে আদ্যোপান্ত জানুন – Mog Jati Kara в хорошем качестве

মগ জাতি কারা? বর্তমানে তারা কোথায় বসবাস করে? ইতিহাসে মগদের সম্পর্কে আদ্যোপান্ত জানুন – Mog Jati Kara

মগ জাতি কারা? বর্তমানে তারা কোথায় বসবাস করে? ইতিহাসে মগদের সম্পর্কে আদ্যোপান্ত জানুন – Mog Jati Kara? #মগজাতী #মগবাজার #মগকারা #মগ #মগ_কারা #Mog_jati #মগের_মুল্লুক #মগ_জাতি – উইকিপিডিয়া মগ জাতির আদ্যোপান্ত মগের মুল্লুক ও মগ ধাওনীর গল্প মগের মুলুক, কারা এই মগ? মগ Mog country Rohingya Rakhine Mog kara? Mog mane ki? মগের মুল্লুক এবং বাঙালী, রোহিঙ্গা ও মগ জাতি মগ কারা? কোথা থেকে এলো মগ মগদের ইতিহাস ইতিহাসে মগ মগের মুল্লুক: মগদের আদি নিবাস 'ইংরা হংপ্রা' সাতকানিয়ায় মগ শব্দের অর্থ মগের মুল্লুক কেন বলা হয় মগ সাম্রাজ্য মগের মুল্লুক বাগধারার অর্থ মগ ইংরেজি কি মারমা মেয়েদের নাম মারমাদের রীতিনীতি সামৌং' কোন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর ভোজানুষ্ঠান? মগ সাম্রাজ্য মগ ইংরেজি কি হার্মাদ মারমা পরিবারের প্রধান কে আরাকানের পূর্ব নাম কি চাকমাদের সাথে মারমাদের কোন কোন বিষয়ে মিল আছে মগ উপজাতিরা পাহাড়ি এলাকায আরাকান (মধ্যযুগীয় রাজ্য) – উইকিপিডিয়া আরাকান বাংলাদেশের আরাকান রাজ্যের আয়তন কত আরাকানের অধিবাসীদের নাম কি আরাকানের অধিবাসী পটিয়ার কোন জায়গায় তৎকালীন আরাকান রাজ্যের রাজধানী স্থাপিত হয় স্বাধীন আরাকান আরাকানের পূর্ব নাম কি Image of Rakhine state Map pdf Rakhine state Map pdf Mog jati kara? Moger Mulluk কোন দেশের অধিবাসীদের পর্তুগিজ বলা হয় পর্তুগিজ উপনিবেশ পর্তুগিজ কোন দেশের ভাষা পর্তুগিজ টু বাংলা পর্তুগিজ ভাষার শব্দ মগের মুলুক, কারা এই মগ? মগ আরাকান নিবাসী জাতি বিশেষ। জাতিতত্ববিদেরা এদের ইন্দো-চীন নিবাসী বলে মনে করেন। এদের মধ্যে কয়েকটি জাত রয়েছে। ইতিহাস কি বলে?- ১৬২০ সালে ঢাকায় ব্যাপক হামলা করেছিলো মগেরা। সেসময় বাংলার সুবাদার ইব্রাহীম খান তাদের প্রতিহত করেছিলেন। ১৬২৫ সালে মগদের রাজা আরাকান রাজ শ্রী সুধর্ম মোঘল রাজধানী ঢাকায় আক্রমন করে। তার সাথে পরাজিত হয়ে সুবাদার আমজাদ খান পালিয়ে যায়। তিন দিন ঢাকায় অবস্থান করে মগেরা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে আরাকানে ফিরে যায়। ঢাকার মগবাজার নামটি মগদের আগ্রাষণের একটি জ্বলন্ত স্বাক্ষী! ইংরেজরা চলে যাবার সময়, আরাকান রাজ্য বা মগরাজ্যকে বার্মার সাথে একীভূত করে দিয়ে যায়। বর্তমান ইন্ডিয়ায় যেমন, অতীতের অনেক স্বাধীন রাজ্যের ভূমি রয়েছে, ঠিক বর্তমান বার্মাতেও অতীতের অনেক স্বাধীন রাজ্যের ভূমি রয়েছে। ‘মগের মুল্লুক’ শব্দটা মগদের অভাবনীয় অত্যাচারের স্বাক্ষী হয়ে, বাঙলা ভাষায় আজও যেকোন ভয়াবহ অরাজকতার নির্দেশক শব্দ হয়ে, বেঁচে আছে! প্রায় আড়াইশত বৎসর বাংলায় মগদের অত্যাচার স্থায়ী হয়েছিল! মুর্শিদকুলি খান সুবাদার হয়ে মগদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অভিযান চালালে অত্যাচার কিছুটা স্তিমিত হয়। মোগল সাম্রাজ্যের সঙ্গে শত্রুতার কারণে আরাকানের মগ দস্যুরা পর্তুগিজ জলদস্যুদের সঙ্গে যোগ দিয়ে তৎকালীন মোগল-শাসনাধীন বাংলায় অবাধ লুণ্ঠন, অপহরণ ও নির্বিচারে নারীদের উপর অত্যাচার চালাত। মগ দস্যুরা বাংলার উপকূল থেকে লোকজন ধরে নিয়ে তাদের কাছে বিক্রি করত। মগদের বর্বরতার সংক্ষিপ্ত বিবরণ পাওয়া বিভিন্ন আর্টিকেলে। ‘মগ জলদস্যুরা জলপথে বাঙলাদেশের ভুলুয়া যা বর্তমানে নোয়াখালী, সন্দ্বীপ, সংগ্রামগড়, বিক্রমপুর, সোনারগাঁ, বাকলা, যশোর, ভূষণা ও হুগলী অঞ্চলে লুণ্ঠন করত। তাদের হাত থেকে বাদ যেতনা কেউই, হিন্দু-মুসলিম, নারী-পুরুষ ও বড়-ছোট-নির্বিশেষে সবাইকে ধরে নিয়ে যেত। হাতের তালু ফুঁড়ে বেত চালিয়ে গরু-ছাগলের মতো বেঁধে নৌকার পাটাতনে ঠাঁই দিত। মুরগীকে যেভাবে দানা ছিটিয়ে দেওয়া হয়, তাদেরও তেমনি চাল ছুড়ে দেওয়া হত খাবার জন্যে। এ অবহেলা ও পীড়নের পরেও যারা বেঁচে থাকত তাদেরকে ভাগ করে নিত মগ আর পর্তুগীজরা। বাংলায় অতীতে বিভিন্ন দেশের জলদস্যুরা আসতো চুরি ডাকাতি বা সম্পদ লুট করতে। তাদের নিয়ে অনেক গল্প কবিতা ছড়া লেখা হয়েছে। একটি ভয়ানক দস্যু আসতো মগ রাজার দেশ থেকে। এরা ছিল মূলত পর্তুগীজ নৌ-দস্যুদের রাজাকার বাহিনী। মগরা আমাদের অঞ্চলে এসে যে অরাজকতার সৃষ্টি করতো তার মাত্রা বোঝানোর জন্য বলা হতো মগের মুল্লুক অর্থাৎ যা খুশি তাই করার দেশ। অনেকের মতে মগ মানেই আরাকানী আর মগের মুল্লুক মানে আরকান রাজ্য। কলকাতায় মগ দস্যু ইংরেজ শাসনেও পর্তুগিজ হার্মাদদের দস্যুতার কথা শোনা যেত; ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দেও কলকাতায় মগ দস্যুর ভয় ছিল জনসমাজে। ১৭৯০ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজ সরকার হাওড়ার শিবপুরে (এখনকার বোটানিক্যাল গার্ডেনের কাছে) গঙ্গার একটা বাঁধ তৈরি করে মগ ও পর্তুগিজ দস্যুদের আগমন পথ বন্ধ করে দেন। কার হাত ধরে এবং কিভাবে অবসান ঘটলো মগের মুল্লুকের? আরাকান-রাজের সৈন্যদলের মধ্যে অনেক মগ ও অবৈতনিক পর্তুগিজ সৈন্য ছিল। এরা বছরে বারোমাস লুণ্ঠন, অপহরণ ও অত্যাচার চালাত। ১৬৬৩ খ্রিষ্টাব্দে নবাব শায়েস্তা খাঁ সেনাপতি হুসেনবেগের সহায়তায় আরাকান-রাজকে সম্পূর্ণ পরাজিত করে মোগলদের হৃত-ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করেন; ১৬৬৬ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর সেনাপতি ওমেদ খাঁ ও হুসেনবেগ চট্টগ্রাম ও সন্দ্বীপ দখল করে। শায়েস্তা খাঁর এই দুর্ধর্ষ অভিযানে চট্টগ্রাম থেকে পর্তুগিজ ও মগেরা অতি ক্ষিপ্রকারিতায় পালানোর (স্থানীয়ভাবে এই ঘটনা 'মগ-ধাওনি' নামে খ্যাত ছিল) সময় ১,২২৩টি কামান ফেলে যায়, কিন্তু অধিকাংশ ধনসম্পদ ঘড়ায় করে মাটিতে পুঁতে রেখে যায় (পরবর্তীকালে, মগ-পুরোহিতরা সাঙ্কেতিক মানচিত্রের সাহায্যে গোপনে এইসব স্থানে এসে ঘড়াগুলি উঠিয়ে নিয়ে যেতেন)। এইভাবে গোটা বাংলায় "মগের মুল্লুক"-এর অবসান ঘটে।