У нас вы можете посмотреть бесплатно এহতেশাম: যে নির্মাতার অভিধানে ব্যর্থতা নামক কোনো শব্দ ছিল না। или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
#subscribe #এহতেশাম #biography বাংলা চলচ্চিত্রের কিছু খ্যাতিমান নাম প্রায় হারিয়ে গেছে সময়ের ব্যবধানে। তবে তাঁদের কাজগুলো রয়ে গেছে। বিশেষ করে পর্দার আড়াল থেকে কাজ করে যাওয়া মানুষদেরকে আলাদা করে মনে রাখা হয় না। আমরা তেমনই কয়েকজন গুণী নির্মাতার কথা জানব। ধারাবাহিক এই আয়োজনে আজ থাকছে ৬০ ও ৭০ দশকে আলোড়ন তোলা কিছু চলচ্চিত্রের পরিচালক এহতেশামের কথা। এহতেশামুর রহমান বাংলা চলচ্চিত্রের এক স্মরণীয় নাম। এই নির্মাতার বেশির ভাগ ছবিই ব্যাপকভাবে ব্যবসাসফল। ব্যবসায়িক সাফল্যের বাইরেও তাঁর প্রতিটি ছবি নানা কারণে হয়েছে আলোচিত। তাঁর হাত ধরে বাংলা চলচ্চিত্র পেয়েছে কজন জনপ্রিয় নায়ক–নায়িকাকে। অদম্য এই নির্মাতার বর্ণাঢ্য পথচলা নিয়ে আজকের প্রতিবেদন। ব্রিটিশ ভারতের ক্যাপ্টেন থেকে নির্মাতা এহতেশাম ১৯২৬ সালের ১২ অক্টোবর পুরান ঢাকার বংশালে জন্মগ্রহণ করেন। মালিটোলা, নাজিরাবাজার, সূত্রাপুর, লালবাগ, সদরঘাট, রাজার দেউড়ি এলাকায় কেটেছে তাঁর শৈশব। পড়াশোনা শেষ করে এই নির্মাতা যোগ দেন ব্রিটিশ ভারতের সেনাবহরে ক্যাপ্টেন হিসেবে। পাকিস্তানের করাচিতে হয়েছিল তাঁর বদলি। ওই দায়িত্বে থাকার সময়ই ১৯৪৫ সালে পাকিস্তানের নির্মাতা আশিক মল্লিকের বাঘী সিনেমার শুটিং দেখতে যান। তাঁর মনে কৌতূহল জন্মায়, সিনেমার চিত্রধারণ কীভাবে হয়? এই দিয়ে শুরু। এরপর এমন একের পর এক প্রশ্ন করতে করতে নতুন এই শিল্পমাধ্যমে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এহতেশাম। ১৯৪৬ সালে নিজের উদ্যোগে নাটোর, সান্তাহার, লালমনিরহাটে তিনটি প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণ করে ফেলেন। সেসব প্রেক্ষাগৃহে চলচ্চিত্রের পরিবেশক ও প্রদর্শক হিসেবে এহতেশাম উর্দু ছবি দেখানো শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে বিএ খানের অর্থলগ্নিতে চলচ্চিত্র নির্মাণেও আগ্রহী হন। প্রথম চলচ্চিত্র বানাতে গিয়ে বুঝতে পারেন এহতেশাম এতদিন চলে এসেছেন নিজের জগতে। প্রথম চলচ্চিত্র এদেশ তোমার আমার ১৯৫৯ সালে মুক্তির পরপরই ব্যবসায়িক সফলতা পায়। পরের বছর নির্মাণ করেন রাজধানীর বুকে। এ ছবির মধ্য দিয়ে এহতেশামের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। ছবির ‘তোমারে লেগেছে এত যে ভালো’ গানটি সবার মুখে মুখে উঠে আসে। এরপর পরিচালক এহতেশামের নাম শুনলেই দর্শকেরা ছবি দেখার জন্য সিনেমা হলে ভিড় করতেন। উর্দুতে এদেশের শিল্পীদের নিয়ে তিনি নির্মাণ করেন চান্দা (১৯৬২) ও চকোরী (১৯৬৭)। তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান দুই জায়গাতেই বিপুল জনপ্রিয়তা পায় ছবি দুটি। ঈদে মুক্তি পেয়ে টানা প্রায় দেড় বছর হলে চলে চকোরী। সে সময় পাকিস্তানের ডন পত্রিকায় একজন চিত্রসমালোচনায় লিখেছিলেন, সিনেমা বানানো শিখতে হলে সিনেমার তীর্থস্থান ঢাকায় যাও। তারকা তৈরির কারিগর গত শতকের ’৫০, ’৬০ ও ’৭০–এর দশকে এহতেশামের ছবিতে অভিনয় করে খ্যাতি পেয়েছেন অনেক অভিনয়শিল্পী, গায়ক ও চিত্রগ্রাহক। এহতেশামের হাত ধরেই অভিনয়ে আসেন শবনম, রহমান, আজিম, শাবানা, নাঈম, শাবনাজ, শাবনূরের মতো তারকারা। উর্দু ভাষায় নির্মিত চকোরী ছবি দিয়ে নাদিম বেগকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এহতেশাম। পরে পাকিস্তানে তুমুল জনপ্রিয়তা পান অভিনেতা নাদিম বেগ। পরে এহতেশামের মেয়ে ফারজানাকে বিয়ে করেন নাদিম বেগ। এ ছাড়া গোলাম মুস্তাফা, খান জয়নুল, রানী সরকার, সুমিতা দেবী, সাদেক বাচ্চুও তাঁর ছবি দিয়েই খ্যাতি পান। এহতেশামের ছবিতেই প্রথম নারী সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন ফেরদৌসী রহমান। নব্বইয়ের দশকে যখন বাংলা সিনেমা গৎবাঁধা ধারায় আবদ্ধ তখন নতুন অভিনেতা–অভিনেত্রী নিয়ে চাঁদনী ছবি তৈরি করেন এহতেশাম। নাইম–শাবনাজ অভিনীত চাঁদনী দারুণ সাফল্য পায়। এর ফলে নতুন অভিনেতা–অভিনেত্রীদের নিয়ে সিনেমা বানানোর সাহস বেড়ে যায় ঢালিউড নির্মাতাদের। মৌসুমী, সালমান শাহ, শাকিল খান, ওমর সানীদের মতো নতুন শিল্পীদের ওপর লগ্নির সাহস তৈরি করে দেন এই নির্মাতা।