Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб ধামরাই সংঘর এলাকায় ইটভাটার কালোধুয়ায় পুরে গেছে ৪০০ বিঘা ধানক্ষেত в хорошем качестве

ধামরাই সংঘর এলাকায় ইটভাটার কালোধুয়ায় পুরে গেছে ৪০০ বিঘা ধানক্ষেত 5 лет назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru



ধামরাই সংঘর এলাকায় ইটভাটার কালোধুয়ায় পুরে গেছে ৪০০ বিঘা ধানক্ষেত

ধামরাই সংঘর এলাকায় ইটভাটার কালোধুয়ায় পুরে গেছে ৪০০ বিঘা ধানক্ষেত মেহেদী হাসান মানিকঃধামরাই সংঘর এলাকার চাষিদের বুকজুড়ে দহনের শঙ্কা আইন অমান্য করে গ্রাম-গঞ্জে গড়ে উঠছে একের পর এক ইট ভাটা। এতে সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি খাত। অন্যদিকে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়লেও নির্বিকার কর্তৃপক্ষ। ফলে পরিবেশ দূষণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনাও। বিভিন্ন এলাকায় ইটভাটার উত্তপ্ত কালো ধোঁয়ায় পুড়ে যায় কৃষকের স্বপ্নের ফসল বোরো ধান। টাকায় কেনা তেল, সার ব্যয় করেও গোলায় ফসল ওঠেনি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভাটায় আগুন দিয়েছে মালিকরা। তাই আবারো চাষিদের বুকজুড়ে দহনের শঙ্কা।ধামইয়ের সংঘর এলাকার কৃষকরা বলচ্ছে একেতে ঘূর্নীঝড় ফনীর কারনে যে পরিমান ধানের ক্ষতি হয়েছে তার পর ইটভাটার কালো ধুয়ায় পুড়ে গেছে ৪০০ হেক্টর জমির প্রায় ৩০০ শত বিঘা ফসলী ধান,ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা ইটভাটা মালিকদের কাছে ক্ষতি পুরনের দাবি জানান। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষোপের সাথে আর জানান, ‘যেখানে আমরা সতেরো-আঠারো মণ ধান পাই সেখানে মাত্র ৭ মণ ধান পাচ্ছি। ডিসি ও কৃষি বরাবর দরখাস্ত করেকিন্তু কোনো কাজ হয়নি।’ ২০১৬ সালে এডিবি’র জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে ইটভাটার সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। এসব ইটের ভাটায় ব্যবহার হয় প্রায় ৩শো কোটি ঘনফুট মাটি। আর ইটভাটাগুলো থেকে কার্বন নি:সরণের পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে জাতিসংঘ বলছে, ১৯৯০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ২০ বছরে নষ্ট হয়েছে ৮ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর বনভূমি। শুধু তাই নয়, পরিবেশ দূষণের কারণে বিশ্বে প্রতি ৬ জনে ১ জন মারা গেলেও বাংলাদেশে প্রতি ৪ জনে ১ জন মারা যায়। পরিসংখ্যান বলে এ দেশে মোট মৃত্যুর প্রায় ২৮ ভাগই ঘটে পরিবেশ দূষণ জনিত কারণে। ইটভাটার মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে সরকার আইন করলেও বিভিন্ন দোহাই দিয়ে তা মানতে চান না ভাটা মালিকরা। জেলা ইটভাটা মালিক সমিতি’র সভাপতি জানান, ‘পৌর সভা থেকে তিন কি.মি দূরে হতে হবে, পাহাড় থেকে মাটি কাটা যাবে না, কৃষি জমি থেকে মাটি নেয়া যাবে না এতগুলো নিয়ম মেনে চলা মুশকিল।’ বাংলাদেশের ইট প্রস্তুতকারী খাতের সামগ্রিক চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ‘মোট ইটভাটার সংখ্যা ৬৮৯৩ টি, বার্ষিক ইট উৎপাদন ২২.৭ বিলিয়ন, ইটের বার্ষিক চাহিদা ৫.২৮%, উৎপাদনের আর্থিক মূল্য ১৭০.৩৭ বিলিয়ন (ইট প্রতি ৭.১০ টাকা), জিডিপিতে অবদান প্রায় ১%, কয়লার পরিমাণ ৪.৭৮ মিলিয়ন টন, কার্বন নি:সরণর ১১.৫৯ মিলিয়ন টন, মাটির পরিমাণ ২৮৪০ মিলিয়ন সিএফটি, মোট কর্মসংস্থান প্রায় ১ মিলিয়ন জনগোষ্ঠী, নির্মাণ শিল্পের প্রবৃদ্ধির হার ৫.৬%, ইট খাফসলেতের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির হার ২-৩%।’ এতকিছুর পরও নিয়মভঙ্গ করে গড়ে ওঠা ধামরাইয়ের ইটভাটা গুলোর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানালেন এই কর্মকর্তা। পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালক সুলতান বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো। অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে।’ ইউএনডিপি’র তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে মোট উৎপাদিত ইট পোড়ানোর জন্য বিদ্যমান ভাটাগুলোর প্রায় ৩০ শতাংশই অবৈধভাবে বৃক্ষ নিধন করে এবং জ্বালানি হিসেবে কাঠ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্য ব্যবহার করে।

Comments