🕉️ অকাল রোধন শারদীয়া দুর্গা উৎসব – দেবী দুর্গার অকাল আগমন скачать в хорошем качестве

🕉️ অকাল রোধন শারদীয়া দুর্গা উৎসব – দেবী দুর্গার অকাল আগমন

🕉️ অকাল রোধন শারদীয়া দুর্গা উৎসব – দেবী দুর্গার অকাল আগমন 🌼 অকাল রোধন মানে কী? “অকাল” মানে — নির্ধারিত সময়ের আগে। “রোধন” মানে — আহ্বান বা আগমন। অতএব, অকাল রোধন মানে হলো — দেবী দুর্গার নির্ধারিত সময়ের আগে পৃথিবীতে অবতরণ। এটি ঘটে অতুলনীয় সংকট বা বিপদের সময়ে, যখন পৃথিবী বা দেবতা বিপদগ্রস্ত হন। 📜 পুরাণ মতে উৎসের কাহিনি ত্রেতা যুগে, শ্রী রামচন্দ্র যখন রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত হন, তখন তিনি মা দুর্গার পূজা করতে চান। কিন্তু শারদীয় পূজার সময় তখনো আসেনি। তখন তিনি দেবীকে “অকালেই” আহ্বান করেন — “হে মা, তুমি এখনই এসো, রাবণবধে আশীর্বাদ দাও।” দেবী দুর্গা তাঁর অকাল রোধন আহ্বানে সন্তুষ্ট হয়ে উপস্থিত হন, এবং এই পূজাই পরিচিত হয় “অকাল বোধন” বা “অকাল রোধন” দুর্গাপূজা নামে। এই পূজা থেকেই শুরু হয় শারদীয়া দুর্গোৎসবের ঐতিহ্য। 🌺 শারদীয়া দুর্গোৎসবের মাহাত্ম্য এটি অনুষ্ঠিত হয় আশ্বিন মাসে (সেপ্টেম্বর–অক্টোবর), শারদ ঋতুতে। ষষ্ঠী থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত পাঁচ দিন ধরে এই মহাউৎসব পালিত হয়। এই সময় দেবী দুর্গা কন্যা রূপে তাঁর মায়ের ঘরে (পৃথিবীতে) আসেন। 🔱 অকাল রোধন পূজার বিশেষ দিক দেবীকে “অকালবোধিনী দুর্গা” নামে আহ্বান করা হয়। পূজায় বিশেষভাবে জপ করা হয়: “या देवी सर्वभूतेषु शक्तिरूपेण संस्थिता, नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः।” ভক্তরা বিশ্বাস করেন, অকাল রোধন পূজায় অসাধ্যও সাধ্য হয়, কারণ এটি এক অকালীন দেবী আহ্বান — যার শক্তি সর্বোচ্চ। 🕯️ বাংলাদেশে শারদীয়া দুর্গোৎসব বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজারো মণ্ডপে এই উৎসব পালিত হয়। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও সীতাকুন্ডের মন্দিরগুলোতে ভক্তরা “অকাল রোধন” মহামন্ত্রে দেবী দুর্গাকে আহ্বান জানান। 🌸 অকাল রোধনের মূল বার্তা “যখন অন্ধকারে ডুবে যায় মানবতা, তখন মায়ের আহ্বানই আলো হয়ে ফিরে আসে।” অকাল রোধন আমাদের শেখায় — দুর্যোগ, কষ্ট বা বিপদের সময়ও ভক্তির আহ্বানে দেবী সর্বদা সাড়া দেন। ✨ সংক্ষেপে 🕉️ দেবীর অকাল আগমন = অকাল রোধন 📖 প্রথম অকাল রোধন = শ্রী রামের পূজা 🌺 ফলাফল = শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা 🌕 উদ্দেশ্য = মায়ের করুণা ও রক্ষার আহ্বান