У нас вы можете посмотреть бесплатно কোথায় বদি পরিবারের ২৫ ইয়াবা ব্যবসায়ি? | Abdur Rahman Badi | Cox's Bazar | MP | Teknaf | bnanews24 или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
কথায় ও ভাবভঙ্গিতে যে কারো মনে হতে পারে তিনি একজন কৌতুক অভিনেতা! না, চট্টগ্রাম –কক্সবাজারের আঞ্চলিক ভাষায় ‘আইঁয়ো আইঁয়ো’ অর্থাৎ ‘এসো এসো’ বলা এই ব্যক্তির নাম আবদুর রহমান বদি। এক সময়কার ইয়াবা বদি হাল আমলে ‘আইঁয়ো আইঁয়ো’ নামে পরিচিত। তিনি কক্সবাজার-৪ (টেকনাফ- উখিয়া) আসন থেকে ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে পর পর আওয়ামী লীগের টিকেটে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কক্সবাজার এবং টেকনাফে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসার কথা উঠলেই আবদুর রহমান বদির নাম উঠে আসে। ইয়াবাসহ মাদক চোরাচালানে বদি ব্যাপক আলোচিত। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর দেশব্যাপী একযোগে মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সে সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা তালিকায় কক্সবাজারে ১ হাজার ১৫১ জনকে ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে শুধু টেকনাফে রয়েছে ৯১২ জনের নাম। ওই তালিকায় ৭৩ জন শীর্ষ মাদক কারবারি বা পৃষ্ঠপোষক রয়েছে। তালিকায় বদিসহ তার পরিবারের ২৬ জনের নাম আছে । তালিকায় বদির আপন ভাই মো. আব্দুল শুক্কুর, মৌলভী মুজিবুর রহমান, দুই সৎ ভাই আবদুল আমিন ও ফয়সাল রহমানের নামও এসেছে। এর বাহিরে বদির বেয়াই আখতার কামাল, শাহেদ কামাল, মামা হায়দার আলী, মামাতো ভাই কামরুল ইসলাম রাসেল এবং ভাগ্নে নীপুও ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বাংলাদেশে ইয়াবা মূলত প্রবেশ করে কক্সবাজার জেলা দিয়ে। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী কক্সবাজার জেলার অন্তত ৪৫টি রুট দিয়ে ইয়াবা আসে। এই সব রুটের বেশিরভাগই নিয়ন্ত্রণ করে আব্দুর রহমান বদি ও তার আত্মীয় স্বজন। একইভাবে টেকনাফ, উখিয়া ও কক্সবাজারের আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অনেক রাজনৈতিক নেতার নাম রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইয়াবার প্রবেশদ্বার হিসাবে খ্যাত টেকনাফেও শুরু হয় মাদকবিরোধী এই বিশেষ অভিযান। শুরুতে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা এ অভিযানকে তেমন একটা পাত্তা না দিলেও পরবর্তীতে একের পর এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার ও বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটতে থাকলে নড়েচড়ে বসে শীর্ষ ইয়াবা কারবারিরা। এরপর চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা গা ঢাকা দিতে শুরু করে। অনেকে আত্ম সর্মাপন করে স্বেচ্ছায় কারাগারে যায়। পরবর্তীতে তারা জামিনে বেরিয়ে ফের ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। সেকারণে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে টিকেট দেয়নি আওয়ামী লীগ। তার পরিবর্তে টিকেট পেয়েছে বদিপত্নী শাহীন আকতার। দুইবারই তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। নামে শাহীন আকতার সংসদ সদস্য হলেও বদিই ছিলেন অঘোষিত সংসদ সদস্য। গত সাড়ে ১৫ বছরে আবদুর রহমান বদি ইয়াবা ও আইচ ব্যবসা করে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়ার কারণে দেশের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ি সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাহিরে। গত ৫ই আগষ্ট ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে বদিও গা ঢাকা দেয়। টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামের পাচলাইশ থানাধীন নাসিরাবাদ আবাসিক এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন করে। কিন্তু বিধি বাম, ২০ শে আগষ্ট মঙ্গলবার রাতেই গ্রেপ্তার হন দেশের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ি ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন ‘আইঁয়ো আইঁয়ো’ গ্রেপ্তার হয়েছে। আলোচিত –সমালোচিত সাবেক এই সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে কক্সবাজারের একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় । শামীমা চৌধুরী শাম্মী বিএনএ নিউজ টুয়েন্টিফোর