У нас вы можете посмотреть бесплатно দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: চট্টগ্রাম-৮ আসনে জিতবে কে? || или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
সংসদীয় আসন-২৮৫ চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনটি শ্রীপুর ও খরণদ্বীপ ইউনিয়ন ব্যতীত বোয়ালখালী উপজেলা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩ নং পাঁচলাইশ, ৪ নং চান্দগাঁও, ৫ নং মোহরা, ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ও ৭ নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ২৮৫ তম আসন। প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদের ২৮৫তম আসনটি ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ থেকে ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ পর্যন্ত এই আসনটি চট্টগ্রাম (বোয়ালখালী-পাঁচলাইশ) ১০ নামে পরিচিত ছিল। ২০০৮ সালে এটির পরিচয় হয় চট্টগ্রাম ৭ নামে। ২০১৪ সালের নবম জাতীয় সংসদ থেকে সীমানা পরিবর্তনের পর এই আসনটি চট্টগ্রাম-৮ নামে পরিচিতি পায়। তারই ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ১৯৯১ সালের ২৭ই ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ১৩ হাজার ১ শত ৫১ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ১০ হাজার ৩ শত ৫১ জন। নির্বাচনে বিএনপির সিরাজুল ইসলাম বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৫১ হাজার ১ শত ৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৪৬ হাজার ৭ শত ৫৭ ভোট । ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি,ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে বিএনপির মনজুর মোর্শেদ খান কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ই জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪২ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬ শত ৭৬ জন। নির্বাচনে বিএনপির মনজুর মোর্শেদ খান বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৮১ হাজার ৭ শত ১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৭৭ হাজার ৮৮ ভোট। ২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫৫ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ১২ হাজার ৪ শত ৩২ জন। নির্বাচনে বিএনপির মনজুর মোর্শেদ খান বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ১২ হাজার ৩ শত ৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের এস এম আবুল কালাম। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৯০ হাজার ৩ শত ৮০ ভোট। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী শুধুমাত্র ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনে ২৮৫তম সংসদীয় আসনটি চট্টগ্রাম- ৭ নামে পরিচিত ছিল। তখন এই আসনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৪ শত ২০ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৯৬ হাজার ৮ শত ৭৬ জন। নির্বাচনে জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৫১ হাজার ৬ শত ৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির এরশাদ উল্লাহ। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪ শত ৬৫ ভোট। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে র্নিবাচনের দাবিতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি। ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯ শত ৯৬ জন। ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ৬৫ হাজার ১ শত ৬৮ জন। নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৯ জন। নৌকা প্রতীকে জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির আবু সুফিয়ান, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফরিদ খান, টেলিভিশন প্রতীকে ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট -বিএনএফ এর এস এম ইকবাল হোসেন, মোমবাতি প্রতীকে ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দীন মো. আবদুস সামাদ, কুঁড়েঘর প্রতীকে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ এর বাপন দাশ গুপ্ত, সিংহ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক, কাস্তে প্রতীকে সিপিবির সেহাব উদ্দীন এবং আপেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসান মাহমুদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নির্বাচনে জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৮২ হাজার ৩ শত ১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির আবু সুফিয়ান । ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ৬০ হাজার ৪ শত ২৮ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। পরবর্তীতে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোছলেম উদ্দিন আহমদ সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। আবার গত ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম-৮ আসনটি পূনরায় শূন্য হয়। এরপর ২০২৩ সালের ২৭ এপ্রিল উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের নোমান আল মাহমুদ বিজয়ী হন। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম ,ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম সংসদে বিএনপি, নবম ,দশম ও একাদশ সংসদে জাসদ প্রার্থী এবং একাদশ সংসদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়। চট্টগ্রাম-৮ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের নোমান আল মাহমুদ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও মনোনয়ন চাইবেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন, মহানগর কোষাধ্যক্ষ আবদুছ ছালাম, সাবেক রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট থেকে একাধিকবার নির্বাচিত জাসদের প্রয়াত নেতা মাঈনুদ্দীন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা বাদল। বিএনপি এক দফার সরকার পতন আন্দোলনের অংশ হিসাবে হরতাল অবরোধ নিয়েই ব্যস্ত। বেশিরভাগ শীর্ষ নেতারা কারাগারে। এ অবস্থায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিতে পারে। যদি নির্বাচনে অংশ নেন সে ক্ষেত্রে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক এরশাদ উল্লাহ।